"অনেকদিন পরে মামা বাড়িতে"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১ লা মার্চ, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ ভালো সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রকৃতিতে থাকতে আমি সবসময়ই অনেক বেশি পছন্দ করি। গ্রামীণ প্রকৃতির খোলা বাতাস হৃদয়কে শীতল করে দেয়। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমি ঘুরে বেড়াতে বেশ পছন্দ করি। তবে সেটা আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খুব একটা নয়, আমি ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি কোন দর্শনীয় স্থান বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে। তারপরেও আজকে অনেকদিন পরে বাবার সাথে সমীর মামাদের বাড়িতে আসলাম। এক সময় প্রচুর পরিমাণে সমীর মামা দের বাড়িতে আসতাম। কিন্তু এখন বড় হয়ে গেছি আর ঢাকায় থেকে লেখাপড়া করি তাই আসার তেমন একটা সুযোগ হয় না।
এবারেও হয়তো আমাদের বাড়িতে আসা হতো না কিন্তু বর্তমানে সমীর মামার বিয়ের কথাবার্তা চলছে তাই আর কি মামাদের বাড়িতে আসা। কিছুদিন আগেই সমীর মামা সহ অনেকেই পার্শ্ববর্তী জেলাতে একটি মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ে দেখে এসেছিলো। তাই আজকে মেয়ে পক্ষ থেকে মামাদের বাড়িতে এসেছে। আমার সমীর মামা ম্যাথমেটিক্স এ অনার্স মাস্টার্স করে এখন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছে।
আমি ঢাকাতে থাকা অবস্থায় মা ফোন করে জানিয়েছিল যে, মেয়ে পক্ষ থেকে মামা বাড়িতে লোক আসবে। আর তাই আমি ঢাকা থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম যে এবারে বাড়িতে গেলে মামাদের বাড়িতে বেড়াতে যাবো। গতকালকে রাতেই বাবা মাকে বলে রেখেছিল যে, আজকে সকালে বাবার সাথে মামা বাড়িতে আসতে হবে। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে অন্য কোথাও না গিয়ে সকালের খাওয়া দাওয়া করে মোটরসাইকেল নিয়ে বাবার সাথে মামা বাড়িতে চলে আসলাম।
আমাদের বাড়ি থেকে সমীর মামাদের বাড়ির দূরত্ব ১০ কিলোমিটার মতো। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মায়ের সাথে ভ্যানে অথবা বাবার সাথে সাইকেলে করে সমীর মামা আমাদের বাড়িতে আসতাম। তারপর একটু বড় হওয়ার পরে নিজেই সাইকেল নিয়ে সমীর মামাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতাম। একটা সময় ছিল যখন বাইসাইকেল চালাতে মোটেই কষ্ট লাগতো না বরং বেশ আনন্দ লাগতো। কিন্তু মোটরসাইকেল চালানো শেখার পরে বাইসাইকেল একটু চালালেই হাফ লেগে যায়। তারপরও বাড়িতে আসলে মাঝেমধ্যে বাইসাইকেল নিয়ে এদিক সেদিকে বেরিয়ে পড়ি।
সমীর মামাদের বাড়িতে মেয়ে পক্ষ থেকে মানুষজন আসার আগেই আমি আর আমার বাবা চলে আসি। তারপর মেয়ে পক্ষকে আপ্যায়ন করার জন্য বিভিন্ন কাজকর্ম করতে থাকি। যদিও সব কাজ আগে থেকে রেডি করে রেখেছিল মামারা তারপরও যে, কাজগুলো বাকি ছিল সেগুলোতে সাহায্য করি। অনেক আগেই মামাদের বাড়িতে বাঁশের চাটাইয়ের বেড়ার ঘর ছিল তারপরে টিনের ঘর আর এখন সমীর মামা চাকরি পাওয়ার পরে ওয়াল করে ঘর করছে।
আসলে বর্তমান যুগে একজন চাকরিজীবীর ছেলের বেশ ডিমান্ড। আমি বা আপনি বেকার হয়ে বাড়িতে বসে থাকবো তখন কোন বিয়ের সম্বন্ধে আসবে না। কিন্তু আমি বা আপনি একটি ভাল চাকরি করব তখন দেখবেন বাড়িতে প্রচুর বিয়ের সম্বন্ধ আসছে। তাই সবার জন্যই ভালো করে লেখাপড়া করে চাকরি পাঠাবে জরুরী। যাইহোক মেয়ে পক্ষ আসার পরে তাদেরকে আপ্যায়ন করে আমরা নিজেরা খাওয়া-দাওয়া করলাম।
আহ্ অনেকদিন পর মামা বাড়ির খাওয়া বুঝতেই তো পারছেন একদম পেট পুরিয়ে খেলাম। তবে দুপুরের লাঞ্চ এখনো করিনি সকালের নাস্তা করেছিলাম লুচি, সুজি, তরকারি আর তিন পদের মিষ্টি। অতিথিদেরকে দুপুরের লাঞ্চ করানো হলো এখন ছেলে পক্ষ এবং মেয়ে পক্ষের ভেতরে বিয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা চলবে। তারপর পাকা কথাবার্তা শেষ হলে অতিথিদেরকে বিদায় জানিয়ে আবার পেট পুরে খেয়েদেয়ে আমাদের বাড়ির দিকে রওনা দিবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১লা মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


মামা বাড়িতে গিয়ে পেট ভরে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এরকম অনেকদিন পরে আমিও আমার মামার বাড়িতে কয়েকদিন আগেই গিয়েছিলাম। অনেকদিন পরে মামা বাড়ি যাওয়ার চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন পরে মামা বাড়িতে গিয়ে পেট ভরে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মামা বাড়ি নানাবাড়িতে গেলে আলাদা রকম মজা হয়। বেশ অনেকদিন পর মামা বাড়ি গিয়েছিলেন ছোট মামার বিয়ের দেখাশোনা উপলক্ষে। আশা করছি সেখানে খুব ভালো সময় কেটেছে আপনার। আপনার মামার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।
হ্যাঁ আপু মামা বাড়িতে গেলে আলাদা রকম মজা হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার মত আমিও ঘোরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। আপনাদের বাড়ি থেকে আপনাদের মামাদের বাড়ি ১০ কিলোমিটার যা মোটামুটি কাছেই আমাদের বাড়িতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই।
আমার মত আপনিও ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
কোথায় আছে মামার বাড়ি মুধুর হাড়ি ৷ তবে মামার বাড়ির সবচেয়ে মজা শৈশবে জীবনে ৷ যা হোক সময়ের তাগিদে তো পরিবর্তন আসবেই ৷ যা হোক আপনার মামার বিয়ের প্রস্তাব চলছে শুনে ভালো লাগলো ৷ তবে একটা কথা বেশ বলছেন সেটা হলো বেকার ছেলের সঙ্গে কোনো বাবার মেয়ে বিয়ে দিতে চায় না ৷ তাই দিনশেষে আমি মনে করি প্রতিটি ছেলেকে কোনো না কোনো কিছু করতে হবে ৷চাকরি হলে তো কথাই নেই ৷
যা হোক বাবা কে সাথে মামার বাড়ি মেয়ে পক্ষকে আপ্যায়ন সেই গ্রামের পরিবেশ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি জাষ্ট ওয়াও ছিল ৷
অনেক ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর একটি ব্লগ উপস্থাপনা করার জন্য ৷
সত্যি বলেছেন দাদা মামা বাড়ির সব থেকে বেশি মজা হয় শৈশবে। বর্তমানে বিয়ে করার জন্য হলেও একটি চাকরির প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Twitter post
অনেকদিন পর মামা বাড়িতে গেলেন মামার বিয়ের কথা শুনে।মেয়ে পক্ষ এলো তাদের আপ্যায়ন করলেন।সবার সাথে খুব মজার মজার খাবার খেয়েছেন। সময়টা খুব ভালো ই কেটেছে আপনার।সুন্দর মূহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এটা সত্যি ভালো একটা বিয়ের জন্য হলেও পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা চাকুরীর খুব দরকার।
মামা বাড়িতে গিয়ে মজার মজার খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। হ্যাঁ আপু অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম মামা বাড়িতে গিয়ে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন পরে মামার বাড়ি যাওয়ার মজাই আলাদা। মামার বাড়িতে ছোটবেলা থেকেই আমাদের অনেক ধরনের স্মৃতি জড়িয়ে থাকে৷ এই স্মৃতি থেকে মামার বাড়ির প্রতি ভালবাসা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকি৷ আপনি আপনার মামার বিয়ের কথা শুনে মামার বাড়িতে গিয়েছেন এবং মেহমানদেরকে খুব ভালোভাবে আপ্যায়ন করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ খুব সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷
সত্যি বলেছেন ভাই মামার বাড়িতে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। হ্যাঁ ভাই অতিথিদের অনেক সুন্দর আপ্যায়ন করা হয়েছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মামার বিয়ে উপলক্ষে তাহলে অনেকদিন পর মামা বাড়িতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে আপনি একটু বেশি মাত্রায় খাদক আছেন এটা আমরা সকলেই জানি হাহাহা। যাইহোক মামা বাড়িতে কাটানো মুহূর্তগুলো সবসময়ই অনেক বেশি সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর হয়। যেহেতু অনেকদিন পরে গিয়েছিলেন যার কারনে সবকিছু নতুন নতুন মনে হচ্ছিল। আশা করি আপনার মামার বিয়ে ফাইনাল হয়ে যাবে পরবর্তীতে আবার গিয়ে যাতে করে পেট পুরে খেতে পারেন হাহাহা। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোষ্ট তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ ভাই বেশি করে দোয়া করেন যাতে বিয়েটা ফাইনাল হয়ে যায় আর আমি পেটপুরে খেতে পারি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মামার বাড়িতে গেলে তো ভরপুর খাওয়া দাওয়া হবেই ভাই। মামার বাড়ি বলে কথা। আবার যেহেতু আপনার সমীর মামার বিয়ের পাকা কথাবার্তা বলতে, মেয়ে পক্ষের লোকজন বাসায় এসেছে, তাহলে তো খাওয়া দাওয়া সেই লেভেলের হয়েছে। আসলেই ভাই বর্তমানে বেকার ছেলেদের কোনো দাম নেই। কারণ প্রতিটি মেয়ের মা-বাবা চায়, তাদের মেয়ে যেনো আর্থিক কষ্ট না করে। মোটকথা মেয়ে যেনো সুখে থাকে। আর বর্তমান যুগে টাকা পয়সা না থাকলে তো চলেই না। যাইহোক দোয়া করি আপনার সমীর মামার বিয়ে যেনো তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই মামারবাড়িতে গেলে ভরপুর খাওয়া দাওয়া হয়। প্রতিটা মেয়ের বাবা এসেছে তার মেয়ে বিয়ের পরে সুখে থাকুক। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।