ঢাকা থেকে গ্রামে ফেরা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১ লা জুন, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে তাই তো মাঝেমধ্যে গ্রামে ছুটে আসি। আমার কাছে শহরে জীবন খুবই বিরক্তিকর লাগে। আসলে শহরে পড়ে আছি ইউনিভার্সিটি লেখাপড়ার কারণে। কয়েকদিন আগেই ঠিক করলাম আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়িতে আসার জন্য ঢাকা থেকে রওনা দেব। কারণ আমাদের ইউনিভার্সিটিতে গতকালকে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। যাইহোক আজকে আমি বাইক নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজকে যেহেতু বাইক নিয়ে বাড়িতে আসবো তাই গতকালকেই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম। প্রতিবার বাড়িতে আসার আগে অবশ্য একই কাজ করি। গতকালকে রাতে আমার নতুন ফোনে ৫: ০০ এ এম এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম। তারপর সকালে এলামে ঘুম ভাঙ্গার পরে তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ পত্র নিয়ে বের হলাম।
খুবই সকালে ঢাকা শহরে বাইক চালাতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ ঢাকা শহরে খুব সকালে যানজট থাকে না বললেই চলে। গতকালকে একা একা ছিলাম তাই একটু অন্যরকম লাগছিল। প্রতিবছর ঈদের আগে ছুটিতে আমি আর আমার বন্ধুরা একসাথে বাড়িতে আসি কিন্তু বন্ধু রাহুল চাকরি পাওয়ার পরে একা একাই আসতে হয়।
তবে আগের সেই দিনগুলোকে এখন ভীষণ পরিমাণে মিস করি। গত কয়েকদিন হল নিম্নচাপের কারণে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত পরশুদিন পাটুরিয়া দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। আর এই কারণেই আমি পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
এর আগে অবশ্য একবার পদ্মা সেতু হয়ে গ্রাম থেকে ঢাকাতে এসেছিলাম। তারপর আর কখনো পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়া আসা করা হয়নি। একা একা প্রথমবারের মতো ভাই কি পদ্মা সেতু বাড়ি যাওয়ার অনুভূতিটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। এই সুন্দর বেশি সময় অতিবাহিত হয়নি। কালকে আমাদের উপজেলায় ন্যাশনাল হাইওয়েতে একটি বড় ধরনের অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছে।
এই এক্সিডেন্টটা হওয়ার কয়েক মিনিট পরে আমি সেই স্থানে উপস্থিত হই। তারপর দেখি যে, যাত্রীবাহী বাস এবং ট্রাকের সংঘর্ষের ফলে যাত্রীবাহী বাস সম্পূর্ণ কস্তুরীর পুকুরে গিয়ে পড়েছে। অসাধারণ যাত্রীরা কেউ কেউ রক্তাক্ত অবস্থায় উপরে উঠে আসছে আর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরকম দৃশ্য দেখার পরে মনের ভিতরে ভীষণ খারাপ লাগছিল।
কারণ এই অ্যাক্সিডেন্টটা অনেক ভয়াবহ ছিল। এই অ্যাক্সিডেন্টে কেউ নিহত হয়নি তবে একজন মহিলার ডান হাত সম্পূর্ণ কেটে পড়ে গেছে। এই দৃশ্যটা দেখার পর আরো বেশি খারাপ লাগছিল। আমি স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হল। যদিও এলাকার মানুষজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই ঘটনা স্থলে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের বাস থেকে উদ্ধার করছিল।
আমি ব্যক্তিগতভাবে চলার পথে এরকম দৃশ্য জীবনে অনেক কম বার দেখেছি। যাই হোক অনেকটা সময় সেখানে অতিবাহিত করে তারপর আবার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। যেহেতু এক্সিডেন্টের স্থান থেকে একটা বেশি দূরে ছিল না তাই খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে বাড়িতে আসতে মোটামুটি আমি আজকে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে সময় লেগেছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন: ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Comment Link:
https://x.com/aongkonbd/status/1929587560000483392?t=1fShynXh4v83RzxWE8Y08g&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1929587922782564803?t=kIJDxt0U2Wq7XvpTx_MF6g&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1929588272516469214?t=h8hYJpy6YG2BAHh-HgoktA&s=19
Wow, @aongkon! What a fantastic post! Your journey from Dhaka to your village, shared through your vivid storytelling and beautiful photos, truly captivated me. I especially appreciate how you balanced the excitement of your trip home with the somber reflection on the accident you witnessed. That shows real depth and empathy.
It's wonderful to see your passion for the "আমার বাংলা ব্লগ" community shining through. Keep sharing your experiences and unique perspective – posts like these are what make Steemit so special. I'm looking forward to reading more about your life and adventures in Bangladesh! ধন্যবাদ্!
প্রতিবারই ঈদে বাড়ি যাওয়ার আপনার প্রথম পোস্ট পায়। কলেজ আগে আগে ছুটি দেয় আপনিও মনের আনন্দে চলে যান। আমরা যায় সবার পরে।
হ্যাঁ ভাই প্রতিবার ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে আমি পোস্ট করে থাকি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আপনার পোস্টটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক ও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। আপনার যাত্রার প্রতিটি মুহূর্ত আপনি এত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন, যেন আমরা নিজেরাই আপনার সাথে সেই বাইকে চড়ে গ্রামের পথে পাড়ি দিচ্ছি। বিশেষ করে ভোরবেলা ঢাকার নিরব রাস্তায় বাইক চালানোর যে অনুভূতির কথা বললেন, তা সত্যিই অসাধারণ।পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম একা বাড়ি ফেরা, আবার রাস্তায় ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথাও খুবই মানবিকভাবে বর্ণনা করেছেন।আপনার সংবেদনশীলতা আর সচেতনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আপনি আপনার ভালোবাসার জায়গাগুলো মা, মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও আমাদের কমিউনিটি এত আন্তরিকভাবে উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
খুব সকালে ঢাকা নীরব রাস্তায় গাড়ি চালানোর মজা সত্যি অনেক সুন্দর। ঈদের আনন্দে বাড়িতে আসতে পেরে ভীষণ ভালো। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।