লাইফ স্টাইল :- বিয়ে বাড়িতে মজা এবং খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

IMG_20250704_122729.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার হাজবেন্ডের দেখাতো ভাই ছেলের বিয়েতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমার হাজব্যান্ড এর জ্যাঠাতো ভাইয়ের ছেলে রাসেল কাকার বিয়েতে আমরা পুরো পরিবার দাওয়াত পেলাম। রাসেল ১ দিকে ভাতিজা হয় অন্যদিকে আমার হাজবেন্ডের ভালো বন্ধু। এই কারণে আমাদের পরিবারের সবাইকে বিয়েতে দাওয়াত দিলেন। অবশ্য বিয়েতে আমি আর আমার হাজব্যান্ড আর মেয়ে গিয়েছিলাম। কারন আমার শ্বশুর-শাশুড়ি বৃদ্ধ তারা বিয়েতে যেতে পারে নাই। রাসেল কাকা আবার আমার হাজবেন্ডের সাথে বিদেশে একসাথে থাকতেন। যদিও এখনো সেই বিদেশে থাকে। বিগত এক মাস আগে দেশে আসলেন বিয়ে করার জন্য। আর এসে পরিবারসহ দেখে তার জন্য বিয়ে ঠিক করলেন।

IMG_20250704_122530.jpg

IMG_20250704_124816.jpg

কিছুদিন আগে শুক্রবারে তার বিয়ে ছিল। যদিও ঐদিন অনেক বৃষ্টি ছিল আমাদের এদিকে। আর তার শ্বশুরবাড়ি আমাদের এই খান থেকে অনেক দূর। এই কারণে জুমার নামাজ এর আগে গাড়ি চলে আসলো বিয়েতে যাওয়ার জন্য। আর ওই সময় আমি বিয়েতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে রেডি হয়ে গেলাম। আমার হাজব্যান্ড রাসেল কাকার বিয়েতে কাজ করতে লাগলো। তবে যখন গাড়ি আসলো তখন আমরা মহিলারা একটি গাড়ি করে কিছু মহিলা প্রথমে চলে গেলাম। আর ওই সময় আমি নিজেও গাড়ি করে আমার মেয়েকে নিয়ে চলে গেলাম। মজার বিষয় হচ্ছে আমরা মহিলারা এক গাড়ি যখন গেলাম ড্রাইভার বিয়ে বাড়ি চিনে না।

আর অনেক খোঁজাখুঁজি করে আমরা বিয়ে বাড়িতে গেলাম। আমাদের পরে যেই গাড়িগুলো রওনা দিল ওই গাড়িগুলো আমাদের আগে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। তবে আমার মেয়ে রাসেল কাকা শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে অনেক দুষ্টামি করতে লাগলো। আর বউকে দেখে শুধু বউ বউ বলে ডাকতে লাগলো। এবং বৃষ্টির কারণে তেমন বাইরে যেতে পারলাম না। আমরা সবাই রুমের মধ্যে বসে রইলাম বৃষ্টির কারণে। তবে রাসেল কাকা নিজেও পড়ালেখা করেছে আর যে মেয়েটিকে বিয়ে করল সেও মোটামুটি পড়ালেখা করেছে। আর বিয়ে বাড়িতে প্রথমে পুরুষ লোকদেরকে খাওয়া-দাওয়া দিয়ে দিলেন। এবং আমাদের মহিলাদেরকে খাওয়া-দাওয়া একদম পরে দিল।

IMG_20250704_160453.jpg

IMG_20250704_160426.jpg

যদিও আমার হাজব্যান্ড আমার মেয়েকে নিয়ে প্রথমে খাওয়া দাওয়া করেছে। আর আমার মেয়েকে খাওয়া দাওয়া করানো বিদায় একটু সুবিধা হয়েছে। আর বিয়ে বাড়িতে গেলে তো খাওয়া দাওয়া কোন কিছুর অভাব হয় না। আর সবকিছু ক্ষেত্র ভালো লাগে। যদিও বাইরে বৃষ্টি ছিল এই কারণে যখন খাওয়া-দাওয়া করতে বসলাম বৃষ্টির কারণে গরম কম ছিল। এই কারণে খুব মজা করে বিয়েতে দাওয়াত খেতে পারলাম। আর ওই সময় আমার হাসবেন্ড ওইখানে মোটামুটি ছিল বিধায় খেতে একটু সুবিধা হয়েছে। আর আমি আর আমার হাজবেন্ডের বাতিজি একসাথে বসলাম বিয়েতে। তবে এই বয়সে শাশুড়ি হয়ে গেলাম। কারণ শাশুড়ি এই কারণে বলেছি ভাতিজার দিয়ে বিদায় চাচি শাশুড়ি আমি।

আর যারা যারা বেয়াইন আছে তাদের জন্য এক্সট্রা মুরগি দিল। যেহেতু আমি নিজেও বেয়াইন তো সে হিসেবে আমার জন্য এস্টা মুরগী দিল। তবে খাওয়া দাওয়া করার পর যখন রাসেল কাকার ওয়াইফকে বিয়ের প্যান্ডেলে আনলেন তখন আমি ওইখানে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এবং রাসেল কাকার ওয়াইফের আত্মীয়-স্বজন গুলো একে একে বিয়েতে সালামি দিতে লাগলো রাসেল কাকাকে। যদিও রাসেল কাকা খুব শান্ত একজন মানুষ। আর বিয়ে অনুষ্ঠানে গেলে ভালো মতে খাওয়া যায় এবং ভালো সময় কাটে। এরপর রাসেল কাকা শ্বশুরবাড়ি থেকে আসার সময় আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে একসাথে চলে আসলাম। কারণ ওই সময় আমি আর মহিলাদের সাথে আসিনি। এই হচ্ছে রাসেল কাকার বিয়েতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট দেখে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20250704_140840.jpg

IMG_20250704_143528.jpg

IMG_20250704_150006.jpg

IMG_20250704_160219.jpg

IMG_20250704_160453_1.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

Screenshot_2025-07-21-20-05-46-249_com.twitter.android.jpg

 3 days ago 

বিয়ের সময় বৃষ্টি হলে ভালো লাগে না।যাইহোক তারপরও বিয়েতে আনন্দ করাটা আলাদা।নতুন বউ থাকে, যাইহোক সবমিলিয়ে দারুণ সময় পার করেছেন আশা করি।ধন্যবাদ আপু।

 3 days ago 

বিয়ে বাড়িতে গেলে খুবই আনন্দ হয়। আপনি অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।