জন্মদিনের উপহার পাওয়া।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
এটা ছিল গত মাসের কথা, যখন আমার জন্মদিন ছিল। জন্মদিন উপলক্ষে ঘুরাঘুরি করার মুহুর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। এর আগে পরে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ তেমন একটা ছিল না। আর বাসায় বসে থাকতেও খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এখন সব সময় বের হওয়া যায় না। যাই হোক যেহেতু প্রত্যেকটা জন্মদিনে আমার হাজব্যান্ড আমাকে কিছু না কিছু গিফট করে থাকে। কারণ এর মাঝেই যেন আলাদা রকম ভালোলাগা তৈরি হয়। আমিও চেষ্টা করি আমার ছেলে এবং হাজব্যন্ডকে জন্মদিনের সময় কিছু না কিছু গিফট করার জন্য।
আর গিফট আদান প্রদানের মাধ্যমে ভালোবাসার আদান প্রদান যেমন হয় তেমনি বাড়ে আন্তরিকতা।যাইহোক বেশ অনেকদিন ধরেই আমার একটা ব্যাগের প্রয়োজন ছিল। বাইরে বের হওয়া হচ্ছিলো না তাই কিনতেও পারি নি। সেদিন ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কারণে বাইরে বের হয়েছিলাম।আর সেদিন আমার হাজব্যন্ড বললো একটা ব্যাগ দেখে নিতে।আসলে প্রয়োজনের জিনিস গিফট পেলে তখন আরও বেশি ভালো লাগে।
এজন্য অফিস থেকে বের হয়ে কয়েকটা দোকান ঘুরলাম।কিন্তু কোনো ব্যাগ পছন্দ হচ্ছিলো না।আর পছন্দ হলেও দাম বেশি। আমি যেহেতু বেশি দাম দিয়ে ব্যাগ নিবো না তাই সেগুলো আর দেখি নি।যাইহোক পরে আরেকটা শপিংমলে গিয়ে দেখলাম। সেখানে গিয়ে একটা ব্যাগ পছন্দ হলো।ছবিতে দেয়া ব্যাগটাই নিয়েছিলাম সেদিন।আসলে বাচ্চা নিয়ে এভাবে ব্যাগ ইউজ করা অনেকটাই ঝামেলার হয়ে যায়। কারণ তাদের জামা কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম জিনিস নিতে হয় ব্যাগের মধ্যে। সেটা শুধু একজন বাবুর মা ই জানে। যাই হোক একটু বড় সাইজ দেখে এটা নিয়েছিলাম। যদিও আমার আগের ব্যাগ ছিল,সেটাও ইউজ করি তবুও এই ব্যাগটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে তাই নিয়ে নিলাম।
এরপর নিভৃত বেশ কান্নাকাটি করছিল। আর সেজন্যই মূলত তাকে খাওয়ানোর জন্য রেস্টুরেন্টে গেলাম। যদিও সেখানে গিয়ে সে সব সময় দধি খাওয়ার জন্যই বেশি বলে। তবে মিষ্টি দেখলেও সে কিন্তু অনেকটাই আগ্রহ করে খাওয়ার জন্য। তাই ভাবলাম সেদিন সবাই মিলে ক্ষীরমোহন খাওয়া যাক। তাই একটা করে ক্ষীরমোহন নিয়ে নিলাম। যেহেতু খাওয়া-দাওয়া করে গিয়েছিলাম তাই আর বেশি কিছু খাওয়া হয়নি, এদিকে ছেলেটাও বেশ খুশি।
যাইহোক এই আনন্দঘন মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জন্মদিনে বিশেষ উপহার পেয়ে নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছেন! আপনার জন্য রইলো অনেক শুভকামনা। আগামী বছরগুলোও যেন এমনই সুন্দর মুহূর্তে ভরে ওঠে।উপহার শুধু বস্তু নয়, এটা ভালোবাসা ও যত্নের প্রতীক। আপনার জন্মদিনে কেউ আপনাকে স্মরণ করেছে—এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয়।