বিকেলবেলা নদীর পাড়ে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বিকেলবেলা নদীর পাড়ে কাটানো সুন্দর কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আসলে মাঝেমধ্যে বিকেলবেলা বের হতে খুব ভালো লাগে। সারাক্ষণ এক জায়গায় থাকতেও আর ভালো লাগেনা। সেজন্যই মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি বাইরে বের হলেও মনটাকে একটু ভালো রাখার। বাইরে বের হলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বাইরের ঠান্ডা বাতাস এগুলো যখন শরীরে লাগে তখনই মনটাই যেন একদম ভালো হয়ে যায়। সেদিন বিকেলে হঠাৎ করে বেরিয়েছিলাম বেরোনোর কোন আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল না হঠাৎ ইচ্ছে হলো সে জন্য বেরিয়ে গেলাম। বেরিয়ে চিন্তা করছিলাম কোথায় যাব কোথায় যাওয়া যায় আশেপাশে সেই রকম কোন পার্ক নেই বা খোলা আকাশের নিচে বসার জায়গা নেই আমাদের এই এলাকায়। শুধু আছে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট এখানে কৃত্রিমভাবে সবকিছু সাজানো। আসলে সব সময় কৃত্রিম জিনিস একদমই ভালো লাগে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে যে অদ্ভুত একটা ভালো লাগা রয়েছে সেই সবকিছু মানুষের সাজানো জিনিসের মধ্যে একদমই পাওয়া যায় না।
আমরা অনেকটাই বিকেল করে বেরিয়েছিলাম সেখানে যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। যাওয়ার সময় ভাবছিলাম সন্ধ্যে হয়ে আসছে একা একা সেখানে যাব মানুষ আছে কিনা । কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি অনেক অনেক মানুষ সেখানে। আমার যে একটু বাইরের বাতাস খেতে মন চাইলে একদমই তা না দেখে অনেক মানুষেরই বাইরে খোলা আকাশের নিচে বসে বাতাস খেতে ইচ্ছে করছে সবাই দেখছি সেখানে আছে। সেখানে যে এত মানুষ থাকবে সেটা একদমই আশা করিনি যেহেতু গ্রামের ভিতরে একটা সুন্দর নদীর পাড়। সেখানে গিয়ে মনটা খুবই ভালো হয়ে গিয়েছিল খুবই সুন্দর একটি জায়গা প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরপুর। সূর্যাস্ত যাচ্ছিল আকাশের রংটাও বদলে গিয়েছিল। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আকাশে যে রং থাকে সেটা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। সেখানে গিয়ে এই দৃশ্যটা দেখতে পেরেছিলাম খুবই ভালো লাগলো।
এরপর আমি সেখানে অনেকক্ষণই ছিলাম নদীর পানির ঢেউ দেখছিলাম চারপাশে গাছপালা অন্ধকার হয়ে আসছিল। আকাশটাও আস্তে আস্তে নীল থেকে কালো রং ধারণ করছিল। এসব দৃশ্য দেখে একেবারে চোখটা জুড়িয়ে গিয়েছিল। আর সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে ঠান্ডা বাতাস সব কিছু মিলিয়ে মন ফ্রেশ হয়ে গিয়েছে। এরপর আমরা সেখানে গিয়েছিলাম তবে একটি মজার বিষয় হয়েছে নদীর উপর একটা ব্রিজ ছিল। সেই ব্রিজের উপর দিয়ে যখন বড় কোন গাড়ি যাচ্ছিল সেই ব্রিজটা একটু কাঁপছিল। সেটা দেখে তো আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম কখন যেন ভেঙে পড়ে যায়। সেখানে অনেক ফাস্ট ফুডের দোকান ছিল যেহেতু অনেক মানুষ এখানে বিকেল হলে ঘোরাঘুরি করতে আসে সেজন্য অনেক দোকান রয়েছে। তেমন কিছুই খেতে মন চাইছিল না তাই ভাবলাম ফুচকা খাব। এরপর ফুচকা খেয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর সেখান থেকে চলে গেলাম। এই ছিল আমার একদিন বিকেল বেলা নদীর পাড়ে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://x.com/APatwary88409/status/1936990626345885713?t=K4ZCrnbKFUoGwawqDCZJvg&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936991531581550893?t=1fNv4v2f1g8dLAWGgcXapg&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936992102585643137?t=kG8fIN2OrIYqQ3_ku_TtQQ&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936991531581550893?t=1fNv4v2f1g8dLAWGgcXapg&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936992102585643137?t=kG8fIN2OrIYqQ3_ku_TtQQ&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936992707693744221?t=6khDq1Jwj4-oXz1UWog9QA&s=19
https://x.com/APatwary88409/status/1936992887616766335?s=19
সোনিয়া আপু, আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যিই মনটা ভরে গেল। আপনি যেভাবে বিকেলের নদীপাড়ের মুহূর্তগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।একদিকে প্রকৃতির নির্মলতা, অন্যদিকে আপনার সরল অনুভূতির প্রকাশ দুটো মিলিয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
বিকেলবেলায় নদীর পাড়ে চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন। সুন্দর কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। সবার সাথে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন আর এই পোস্ট উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।