সকাল বেলা দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।

হ্যালো বন্ধুগণ কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার ছেলে আবু রায়হানের দাঁত ব্রাশ করার কিছু মুহূর্ত নিয়ে। বাচ্চাদের ছোট থেকে দাঁত ব্রাশ না করালে বড় হলে আর দাঁত ব্রাশ করতে চায় না। আমাদের সবারই দিন দুইবার করে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। তবে রাতে যদি ব্রাশ করে ঘুমায় তাহলে সকালে ব্রাশ না করলেও চলে মানে খাওয়া দাওয়া করে ব্রাশ করলেও হয়। কিন্তু দুইবার দাঁত ব্রাশ করা উচিত। যদি এটা আমরা বড়রা ঠিকভাবে মানি তাহলে ছোটরা অনেক সময় ঠিকভাবে মেনে দাঁত ব্রাশ করে। কিন্তু আমাদের কথায় চিন্তা করেন আমরাই ঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করি না ঠিক সময়ে। তাহলে বাচ্চারা আর কি শিখবে। এজন্য আমি আবু রায়হানের ছোট থেকে দাঁত ব্রাশ করানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে চেয়েছি। আবু রায়হানের ভয় যখন এক বছর তখন ওর চারটা দাঁত উঠে গিয়েছিল। আর তখন থেকে অল্প অল্প করে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করানোর শিখা ছিলাম। কেননা দাঁতের সমস্যা খুবই কষ্টকর। একবার যদি দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হয় তাহলে আর রক্ষা নেই।

আর তাছাড়া সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমাদের ছোট থেকে দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । কেননা যখন আমরা কথা বলি যদি আমাদের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে তো অন্য মানুষ এতে বিরক্ত হবে। এজন্য আমাদের প্রতিনিয়ত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। তাছাড়াও দাঁতে লেগে থাকা বিভিন্ন জীবাণু খাবার খাওয়ার সময় আমাদের পেটের মধ্যে চলে গেলে আরো বড় ধরনের অসুখ সমস্যা হতে পারে। এজন্য নিজেরা দাঁত মাজবে এবং বাচ্চাদেরকে দাঁত মাজতে উৎসাহিত করাটা খুবই জরুরী। আমার ছেলেকে প্রথম দিকে আমি ব্রাশ করতাম কিন্তু পেস্ট ব্যবহার করতাম না। পরে এইতো এক মাস মত হল ওকে সব সময় পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করায়। কেননা ওর বয়স দেড় বছরের উপরে হয়ে গেছে এখন বিশ মাস চলছে।

আর মাত্র কয়েকদিন তারপরে দুই বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। যাই হোক আবু রায়হানের জন্য আমার এই উদ্যোগটা কেমন হয়েছে আপনারা সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর আপনাদের বাড়ির আশেপাশে এমনকি আপনাদের নিজের মানুষজনকে সব সময় দাঁত মাজতে উৎসাহিত করবেন। আজকে আপনাদের মাঝে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।