জীবনের গল্প || মানসিকতার যত মারপ্যাঁচ
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। হৃদয়ের চঞ্চলতা কিংবা অস্থিরতা সবকিছুকে আগলে রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কারণ সময় এক কঠিন বস্তু, নানাভাবে আমাদের মানসিকতাকে প্রভাবিত করে, যার প্রভাবে যেমন বৃদ্ধি পায় জীবনের চঞ্চলতা ঠিক তেমনি আবার অস্থিরতায় তৈরী হয় নিস্তেজতা। না না না অনেক সময়ই আমরা চাইলেও নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, সময়ের সেই কঠিন সার্কেল এর বন্দিত্ব হতে নিজেদের মুক্ত করতে পারি না, কারণ সব কিছু আমাদের হাতে থাকে না।
কোন কিছুই কিন্তু আমাদের হাতে থাকে না, আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এটা মনে করি যে, এটা করলে হয়তো আরো একটু ভালো হতো, এই ভুলটা না করলে হয়তো আমার আজকের এমন অবস্থা হতো না, ইত্যাদি ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে আমরা অস্থিরতায় ভুগে থাকে। হ্যা, এখাএন আমাদের মানসিকতার একটা বিষয় আছে সত্য, কিন্তু বাস্তবতা হলো এটা ঘটবে সেটা আগেই চূড়ান্ত হয়ে ছিলো, এখন আমার চাওয়া কিংবা না চাওয়া কোনটাই এখানে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে না, সেটার সুযোগও নেই। সুতরাং যা হওয়ার তাই হয়েছে, সেটার পরিবর্তনের কোন সুযোগ ছিলো না।
এখন কথা হলো এখানে কি আমাদের কিছুই করার নেই? আমরা কি এভাবেই সময়ের সার্কেলের ভিতর বন্দি থাকবো? নিজের ইচ্ছা-আগ্রহ কিংবা ভাবনাগুলোকে কি কখনো প্রকাশ করতে পারবো না? আকাংখাগুলোকে কি কখনো পূর্ণতা দিতে পারবো না? হ্যা, সময় এখানে আমাদেরকেও সেই সুযোগ দেয় কিংবা দিবে, তবে আমাদের তাকদির হতে বের হওয়ার সুযোগ দেয় না, সেখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আপনি চাইলে সোজা পথ ব্যবহার না করে বাঁকা পথ ব্যবহার করতে পারেন, তাতে হয়তো সময় ও পরিশ্রম একটু বেশী হবে কিন্তু আপনার কাংখিত গন্তব্যে ঠিক পৌঁছে যাবেন।
কিন্তু আপনি চাইলেও আপনার চলা বন্ধ করতে পারবেন না, আবার না হেঁটেও সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা পোষন করতে পারবেন না। কাংখিত বিষয়টি বা ঘটনাটি ঘটবে, সেটা হতে পারে আমার পছন্দের উপায়ে আবার হতে পারে আমার না পছন্দের উপায়ে। আমাদের স্কুল শিক্ষকগুলো সত্যি একটু অন্য রকম ছিলো, এই তাকদির নিয়ে নানা ঘটনার উদাহরণ দিয়ে আমাদের বুঝানোর চেষ্টা করতেন, সহজসাধ্য হিসেবে সেগুলো আমাদের সম্মুখে উপস্থাপন করতেন, যাতে পুরো বিষযটি আমরা সহজেই বুঝতে পারি। এখন অবশ্য সেই সুযোগ নেই, এগুলো বিশ্বাসও করে না।
বাস্তবতা, আমাদের প্রতিটি মুহুর্তে নতুন কিছুর স্বাক্ষী করে, নতুন অবস্থানে হাজির করে, আমরা কখনো সেগুলোকে আমলে নেই, বিশ্বাস করি এবং নিজের ভেতর একটা পজিটিভ মানসিকতা তৈরী করার চেষ্টা করি। কিন্তু যখনই সেটা নেগেটিভ হয়ে যায়, তখন হতেই আমরা ভুল করতে শুরু করি, ভিন্নভাবে চিন্তা করি আর ভিন্ন চিন্তার ফল কখনো সঠিক ফলাফল প্রদান করতে পারে না, এটাই দিন শেষে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Hello @hafizullah!
This is a thought-provoking post about fate, free will, and our perception of reality. I appreciate your reflections on how we grapple with the idea that some things are predetermined while still striving to achieve our goals. Your writing beautifully captures the human experience of wrestling with uncertainty and the desire for control.
The analogy of taking the "crooked path" to reach our destination, even if it takes more time and effort, is particularly insightful. It's a reminder that we always have choices, even within the boundaries of what's meant to be. Thank you for sharing these reflections, @hafizullah. It has truly inspired me. Keep writing and sharing your unique perspectives!
What are some of the ways you reconcile fate and free will in your own life? Let's discuss!