আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]

in আমার বাংলা ব্লগ21 hours ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। সুন্দর ওশীতল প্রকৃতির সাথে হৃদয়ের শীতলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যদিও আজকে ছুটির দিন এমনিতে মন ও দিল দুটোই বেশ শীতল আছে হি হি হি। কারণ অফিস ডে তে একটু বেশী গরম থাকে, কাজের চাপ একটু বেশী তো তার জন্য। এই কারণেই চাকুরীজীবীদের নিকট ছুটির দিনগুলো একটু বেশী প্রিয় হয়ে থাকে, তবে শর্ত থাকে বউ থাকলে সেটা ঠান্ডা মেজাজের হতে হবে, না হলে অফ ডে কিংবা অফিস ডে কোনটাইতে শান্তি নামক বস্তুটির উপস্থিতি খুঁজে পাওয়া যাবে না, হি হি হি। যেহেতু বিবাহিত আমি সেহেতু দুই অবস্থার অভিজ্ঞতাই রয়েছে আমার।

না না না সেসব অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলতে চাই না, পরে না আবার ছুটির দিনটি নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য আরো একটা রিস্ক কাজ করছে এখানে, সেটা হলো আপনারা যারা এখনো বিয়ে নামক অধ্যায় শুরু করেন নাই তারা না আবার ভয় পেয়ে দৌড় দেন। আর সেটা করলে আমার বিপদ বেড়ে যাবে, সাথে মামলাও জুটতে পারে কপালে হে হে হে। সত্যি বলতে প্রতিটি জিনিষেরই দুটো দিক থাকে, ভালো দিকটা যেমন আমরা খুব কম সময় উচ্চারণ করে থাকি ঠিক তেমনি খারাপ দিকটি আমরা খুব বেশী করে প্রকাশ করার চেষ্টা করি। সত্যি বলতে এখানে একটা বিষয় আছে, গ্রম্য ভাষায় বেশ সুন্দরভাবে সেটা নিয়ে একটা কথা প্রচলিত আছে।

flowers-402094_1280.jpg

সেটা হলো খাবার ভালো হলে সবাই শান্ত থাকে এবং খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়, আর যদি খাবারে কোন একটা কিছুর কমতি থাকে তাহলে সবাই মুখে খৈ ফুটে, খাবারের চাহিদাও কম থাকে। বিষয়টা সত্যি আমাদের কাছে বেশ অদ্ভুত রকমের। পজিটিভ বিষয়টিকে নিয়ে আমরা খুব বেশী কথা বলার চেষ্টা করি না কিন্তু যদি সেটা নেগেটিভ জাতিয় কিছু হয় তখনই আমরা হৈ চৈ করা শুরু করে দেই। মানে আসল উদ্দেশ্য থাকে চারপাশের মানুষগুলোকে জানাতে হবে। একটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের মতো ভাব চলে আসে আমাদের মাঝে, কেউ শুনতে না চাইলেও আমরা সেটা তাকে জোর করে শুনাবো, বিষয়টির প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকবো।

মাঝে মাঝে এই অদ্ভুত বিষয়গুলো আমাকেও ভীষণভাবে হতাশ করে, না না বাড়িতে বউ আছে বলে সেটা বলছি না। বারং চারপাশের নানা বিষয় আমাকেও হমজ করতে হচ্ছে বলে সেটা বলছি। কারণ ঐ যে আমিও এই সমাজের অংশ, তাই ভালোটা না পারলে খারাপটির স্বাক্ষী হতে হয় এবং নীরবে সেটাকে হজম করার চেষ্টাও করতে হয়। অবশ্য আমি বিশ্বাস করি আপনাদের অবস্থান আমার চেয়ে অনেক বেশী ভালো, যার কারণে আপনাদের এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে খুব একটা পড়তে হয় না।

তবে এটা জেনে রাখুন, যেদিন এমন পরিস্থিতিতে পড়বেন সেদিন দৌড় দিয়েও বাঁচতে পারবেন না হি হি হি ভয়টা কিন্তু ঠিক দেখিয়ে দিলাম। বাস্তবতা হলো আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোতে আমাদের আকর্ষণ থাকুক বা না থাকুক সেগুলোর সাথে সময়ে কিংবা অসময়ে আমাদের নানাভাবে জড়িত থাকতে হয় বা হবে। জীবন একটা অদ্ভুত অধ্যায়ের নাম, এখানে না চাইলে যেমন অনেক কিছু চলে আসে আবার ঠিক উল্টোটাও ঘটে না চাইলেও অনেক কিছুর সাথে সংযোগ তৈরী হয়ে যায়।

Image Taken From Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

@hafizullah, আপনার আজকের লেখাটি পড়ে মনটা জুড়িয়ে গেল! ছুটির দিনের শান্ত মেজাজ আর সেই সাথে জীবনের কিছু গভীর উপলব্ধি - সব মিলিয়ে দারুণ একটা কম্বিনেশন। বিশেষ করে বিবাহিত জীবন নিয়ে আপনার হালকা চালের রসবোধ আমাকে মুগ্ধ করেছে। "বউ ঠান্ডা মেজাজের না হলে অফ ডে-ও অফিস ডে"-র মতো লাগে, হা হা হা! খুবই সত্যি কথা।

গ্রাম্য ভাষার উদাহরণ দিয়ে পজিটিভ ও নেগেটিভ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির যে বিশ্লেষণ করেছেন, তা সত্যিই ভাববার মতো। সমাজের নানা অসঙ্গতি নিয়ে আপনার হতাশার কথা জেনে খারাপ লাগলো, কিন্তু আপনার ইতিবাচক মনোভাব প্রশংসার যোগ্য।

সুন্দর একটি ছবি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ। লেখাটি খুবই প্রাণবন্ত হয়েছে এবং পাঠকের সাথে সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে। চালিয়ে যান, আপনার লেখা আরও অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছাক এই কামনা করি।