জীবনের গল্প || গরমের যত যন্ত্রণা

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। যদিও গরমের মাত্রা আবার বাড়তে শুরু করেছে এবং অস্বস্তি নতুনভাবে ফিরতে শুরু করেছে। এটা আমার জন্য এক কঠিন সমস্যা, কারণ আমি গরম একদমই সহ্য করতে পারি না, আমার ঠান্ডার মাঝে থাকবো সেই সুযোগও নেই, সুতরাং বুঝতেই পারছেন গরমকে সহ্য করে জীবনকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করতে হয়। মাঝে দুই দিন আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিলো, একটু ঠান্ডাময় ছিলো প্রকৃতি, সেটা সত্যি দারুণ উপভোগ্য ছিলো আমার জন্য।

যাদের শীতকাল অপছন্দ তারা হয়তো বুঝতে পারবেন আমার কষ্টের বিষয়টি। তবুও কিছুটা ভালো আছি যেহেতু বাড়িতে আইপিএস লাগিয়েছিলাম আগের বছর, যার কারণে রাতের ঘুমটা কিছুটা হলেও ভালো হচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে গতিশীল থাকতে পারছি। একে তো গরম তার উপর যদি রাতের ঘুম ক্লিয়ার না হয়, তাহলে পুরো দিনটাই অস্বস্তিতে ভোগতে হয় এবং সেটার ভিন্ন প্রভাব পড়ে কাজের ক্ষেত্রে। আর আমাকে যেহেতু একাধিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়, সেহেতু মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করাটা অনেক বেশী কঠিন হয়ে যায়।

mood-7529900_1280.png

অবশ্য অনেকেই নানাভাবে এখন ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে আর সেটা হলো বিদ্যুতের ঘাটতি এবার বেশী থাকবে আর সেটার কারণে লোডশেডিং এর মাত্রা আরো বেড়ে যাবে। এটা কমন একটা বিষয়, বিদ্যুতের ঘাটতি হওয়া মানেই লোডশেডিং, আর সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে থাকা মানুষগুলোকে একটু বেশী ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। যেহেতু আমাদের শহরগুলোতে ভিআইপি নামক মানুষদের বসবাস একটু বেশী, সেহেতু তাদের সুবিধাটাও একটু বেশী দিতে হয়। আর এই বেশী সুবিধা দিতে গিয়ে বিপদে পড়তে হয় শহরের বাহিরে যারা থাকেন তাদেরকে।

শুধু যে এই গরমের সিজনে গ্রামীণ পরিবেশে থাকা মানুষগুলো ত্যাগ স্বীকার করেন, সেটা কিন্তু নয়। বরং সব সময়ই নানাভাবে এবং নানা বিষয়ে শহরের মানুষগুলো বেশী সুবিধা পেয়ে থাকে এবং গ্রামের মানুষগুলো বঞ্চিত হয়ে থাকে। এটা হয়তো সুদূর অতীত হয়েই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে, তাই নির্দিষ্ট করে কোন কর্তৃপক্ষকে আমি দোষারোপ করছি না, সেই সুযোগও নেই আমার হাতে। তবে একটা বিষয় অবশ্যই আছে আর সেটা হলো আমরা যদি একটু সচেতন হই এবং বিদ্যুতের অপচয়রোধ করার চেষ্টা করি, তাহলে হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই অনেকই কিছুর পরিবর্তন করা সহজ হয়ে যাবে।

আমরা চাইলেই যেমন অনেক কিছু করতে পারি না, আবার না চাইলেও হয়তো অনেক কিছু করতে পারি। এখানে মুল বিষয়টি হলো আমাদের ইচ্ছাশক্তি এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করার মানসিকতা। সেখানেই আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি, সেখানেই আমরা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারছি না। তাই দোষ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে কোন লাভ নেই, বরং যেখানে যেরূপ আচরণ করলে লাভ হবে, সেই দিকে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিবর্তন আসুক আমাদের মাঝে, পরিবর্তন আসুক আমাদের মানসিকতায়।

Image Taken From Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

যতই শীত হোক সেটা আমি সহ্য করতে পারি। কিন্তু গরম সহ্য করতে পারি না। এখন মাত্র গরম শুরু হয়েছে, সামনে যে কি পরিমাণ গরম পড়ে সেই টেনশনেই আছি।

 2 months ago 

আপনার ব্লগটি সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। গরমের কষ্ট আর গ্রামীণ-শহরের বৈষম্য নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ খুব স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত। সচেতনতার কথা তুলে ধরে যেভাবে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। খুব ভালো লিখেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।