জীবনের গল্প || অপব্যয়ের যত প্রভাব
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। শীতল প্রকৃতির সাথে হৃদয়ের শীতলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যদিও মাঝের কয়দিনের উষ্ণতা বেশ অস্থির করে দিয়েছিলো, হৃদয়ের চঞ্চলতাকে নিস্তেজতায় ডুবিয়ে দিয়েছিলো, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে চঞ্চলতার সাথে সুন্দর ব্যাকুলতা আবার হৃদয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে। বৃষ্টিময় প্রকৃতি সত্যি অন্য রকম একটা আবহ তৈরী করে, হৃদয় ও প্রকৃতির মাঝে দারুণ একটা সতেজতা ছড়িয়ে দিতে পারে, অন্য রকম একটা ভালো লাগার অনুভূতি তৈরী করে দিতে পারে।
হ্যা, এখানে প্রকৃতির দারুণ একটা প্রভাব বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠে আমাদের কাছে কিন্তু আরো একটা বিষয় আছে যা আমরা স্পষ্ট দেখেও অনুধাবন করতে পারি না কিংবা সেটা কাংখিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি না। আর সেটা হলো ফলস, বৃষ্টিময় প্রকৃতিতে ফসলের উৎপাদন দারুণভাবে বেড়ে যায়। অবশ্য বৃষ্টিপাত অত্যাধিক হতে ভিন্ন করে হয়ে যেতে পারে তখন, কিন্তু কাংখিত বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এই ফসলের সঠিক ব্যবহার কি আমরা করতে পারছি? কিংবা কাংখিত বন্টন ব্যবস্থা কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি?
প্রশ্নটা এই জন্য করলাম, কারণ কয়েক দিন আগে পত্রিকায় একটা খবর পড়েছিলাম, সেটা অনেকটা এমন ছিলো যে, প্রয়োজনের দ্বিগুণ খাবার উৎপন্ন হলেও অনেক অঞ্চলে এখনো খাবারের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। কি অবাক করা তথ্য, তাই না? আসলেই আমরা এসব নিয়ে চিন্তা করি না, কারণ আমার বাড়িতে খাবার আছে আর আমি সেটা উৎসবের সাথে দারুণভাবে অপচয়ও করছি। খাবার নষ্ট করছি আমি আর অন্যদিকে অনেকেই সেই খাবারের অভাবে ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, কি দারুণ একটা অনুভূতির দৃশ্য। যদিও এসব বিষয়ে আমরা খুব একটা মাথা ঘামাতে চাই না, কারণ আমার খাবারের সমস্যা নেই!
আধুনিক সভ্যতার মানুষগুলো সত্যি অনেক বেশী অমানবিক এবং নিষ্ঠুর হয়ে গেছে। নিজের বাড়িতে খাবার আছে বলে সেটা যথেচ্ছাচার ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে না। যেটাকে আমি আনন্দ চিত্তে অপচয় করছি, সেটার কাংখিত ব্যবহার নিয়ে চিন্তা করছি না, ঠিক সেটার অভাবে অনেকেই ছটফট করতে করতে দুনিয়া হতে বিদায় নিচ্ছে। আমরা সত্যি খাদ্যের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারছি না, হ্যা এখানে নানা কারণ আছে। কিন্তু খাদ্যের অপচয়ও একটা অন্যতম কারণ। না হলে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ খাবার উৎপন্ন হলেও সকলের খাবারের অধিকার সেখানে কেন নিশ্চিত হচ্ছে না?
অথচ আমরা আধুনিক সভ্যতার ধারক বাহক হিসেবে গর্ববোধ করি, আমরা শিক্ষিত হওয়ার দারুণ গৌবরবোধ করি, কিন্তু মানবিকতা? সেটা কতটা আমাদের মাঝে আছে সেটা নিয়ে চিন্তা করি না। হৃদয়ের অনুভূতি দিয়ে তাদের কথা চিন্তা করি না, যারা কাংখিত খাবার খেতে পারে না কিংবা অনাহারের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ডাস্টবিনে গিয়ে খাবার খোঁজে! আফসোস, আমরা উন্নত হয়েছি কিন্তু আমাদের ভাবনাগুলো উন্নত হতে পারে নাই, মানবিকতার বিচারে আমরা দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হয়েছি।
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR