জীবনের গল্প || বিশ্রামের যত অবাস্তবতা

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং ব্যস্ত জীবনের ব্যস্ততার সাথে পুনরায় নিজেকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছি। কারণ আমরা আদতে বাঙালি, টানা কয়েক দিন ছুটিতে থাকলে যা হয়, যা হয় মানে হলো আলসেমিতে আবার সেরা হয়ে যাই। এমনিতে আমরা সব কিছুতে সেরাসের সেরা, আর সেটা যদি হয় আলসেমিতে তাহলে তো কোন কথাই থাকে না। ছুটির সাথে দারুণ স্বাদের সকল খাওয়া দাওয়া, তারপর সারাদিন জুড়ে শুধু বিশ্রাম আর বিশ্রাম, এরপর কি পুনরায় কাজে সংযুক্ত হতে মন চাইবে?

জানি তো আপনিও বলবেন মন চাইবে না হি হি হি। আসলে এটাই বাস্তবতা, বিশ্রামের পরিমান একটু বেশী হয়ে গেলে পরবর্তীতে আর কাজে মন বসতে চায় না, এটা মন কিংবা মানসিকতার দোষ না বরং বিশ্রামের দোষ। সে যাইহোক, আমরা আমাদের অবস্থানে যদি সচেষ্ট থাকতে পারি তাহলে হয়তো বিশ্রামের পরবর্তীতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। অবশ্য সেটা হয় না। একটা কথা মনে পড়ে গেলো কথা প্রসঙ্গে, স্কুল জীবনে আমরা খুব বেশী ছুটি উপভোগ করতে পারতাম না, তখন এতো বেশী ছুটি দেয়ার সুযোগও ছিলো না। কারণ শিক্ষকরা জানতেন বেশী ছুটি দিলে নতুন পড়া তো পড়বেই না বরং পুরাতন পড়াও ভুলে যাবে।

benches-560435_1280.jpg

বিষযটি অনেকটাই সেই রকম, কোন কাজে সামান্য একটু গ্যাপ হলে গেলে সেটা খুব সহজেই আর পূরণ করা সম্ভব হয় না। তবে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা যদি চলমান থাকে তাহলে কোন গ্যাপই আপনার কাছে গ্যাপ মনে হবে না, বরং ছোট একটা নালা মনে হবে আর আপনি সেটা তাৎক্ষনিকভাবে লাফ দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবেন। আমাদের বাস্তব জীবনে এমন অনেক ঘটনা আছে, একটু লক্ষ্য করলেই সেটা অনুধাবন করতে পারবেন। তাই কাজের ক্ষেত্রে বেশী গ্যাপ কখনোই কাংখিত হতে পারে না, আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে অবশ্য।

আবার আলসেমি যে একদমই খারাপ সেটা কিন্তু আমি বলছি না, মাঝে মাঝে আলসেমি থাকাটা ভালো। কারণ আলসেমির ছুতোয় যদি একটু বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ হয়। এখন আলসেমি বলে যদি বিশ্রামের সুযোগটা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেটা কাংখিত হবে না। যে কোন ক্ষেত্রে যদি টানা কাজ করা হয় তাহলে সেখানে কাংখিত ফলাফল নাও আসতে পারে, এই জন্যই হয়তো বিশ্রামের প্রচলন হয়েছে। আমার ছেলেও মাঝে মাঝে এমন করে, পড়ার টেবিলে বসে মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে যায় আর বলে একটু বিশ্রাম নিলাম, হি হি হি।

অসময়ে বিশ্রামের ব্যবহার করে তারা নিদারুণভাবে বিশ্রামের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে, আর সেটা কুপ্রভাব পড়ছে আমাদের উপর। মানে বিবাহিতদের উপর, আমরা যখন বিশ্রাম নিতে চাই তখন বউ বলে উঠে এতোটুকু কাজ করেই হাপিয়ে গেছো, বিশ্রামের ছুতোয় কোন ফাকিবাজি করা যাবে না, এবার বুঝেন কেমন অবস্থায় আটকে গেছি আমরা হি হি হি। আসল কথা হলো, বিশ্রাম যেন বিশ্রামের মতোই হয় সেটার সীমানা অতিক্রম না করে।

Image Taken From Pixabay

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Hello @hafizullah!

What a delightful post about the sweet torment of returning to work after a holiday! I especially enjoyed your humorous take on how we Bengalis excel at laziness after a few days off – so relatable! 😄 The analogy to school days and forgetting old lessons after a long break is spot-on.

The way you've woven in the struggle between the desire to rest and the need to stay productive is something many of us can understand. And the bit about your son's "strategic" naps and the wife's expectations? Absolutely hilarious! 😂

Thanks for sharing this light-hearted yet insightful reflection on work, rest, and the delicate balance in between. It's a great reminder to enjoy our breaks but also to find that sweet spot of consistent effort.

Keep sharing your wonderful perspective! Looking forward to reading more from you. What are your tips for getting back into the groove after a long vacation?

 20 hours ago 

মনে হচ্ছে, বিবাহিতদের জীবনে বিশ্রাম নেই!আসলেই জীবনে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে বিশ্রামের খুবই প্রয়োজন।আর স্কুল জীবনে বিশ্রাম নেই কারন বাচ্চাদের থেকে বইয়ের ব্যাগের ওজন বেশি।ধন্যবাদ ভাইয়া।