রমনা পার্কে কিছুক্ষণ
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি রমনা পার্কে কাটানো কিছু মুহূর্তের চিত্র উপস্থাপন করার জন্য। আশা করব, আমার এই সুন্দর পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এই পার্ক সম্পর্কে কিছু ধারণা লাভ করি।
রমনা পার্ক। এটা ঢাকা শহরে অবস্থিত। সুদূর অতীত কাল থেকে মানুষের বসে থাকার সময় কাটানো এবং একাকিত্বের মুহূর্ত দূর করার জন্য সুন্দর একটি স্থান। শত শত কবি সাহিত্যিকরা এই পার্কে ঘিরে অনেক কিছু লিখেছেন। কেউ লিখেছে কবিতা, কেউ লিখেছে গল্প। আবার বিভিন্ন নাটক সিনেমার শুটিং হয়েছে এই পার্কের মধ্যে। এ পার্ক যেন হাজার হাজার মানুষের প্রাণকেন্দ্র। একটু প্রশান্তির আশায় দিনের পর দিন মানুষ ছুটে আসে এই জায়গাতে। ঠিক তেমনি একটু ভালো লাগাতে উপস্থিত হয়েছিলাম বিকেল মুহূর্তে। সুন্দর এই লোকেশনের কেন্দ্রে রয়েছে একটি বটগাছ। আর দীর্ঘ একটি লেক রয়েছে। যেখানে মানুষের চলাচল করার জন্য অসাধারণ ভাবে তৈরি করা হয়েছে লোহার ব্রিজ।
আয়তনে অনেক বড় একটি জায়গা। চারিপাশে খুব সুন্দর করে পাচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। জায়গায় জায়গায় রয়েছে অনেক বড় বড় পুরাতন গাছ। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে সর্বশ্রেণীর মানুষের বিনা খরচে উপস্থিতির সুব্যবস্থা। যার যতটা সময় ধরে ইচ্ছে এর মধ্যে বসে থাকতে পারে। এখানে পরিবারের সদস্যদের সাথে করে নিয়ে এসে অনেক সময় কাটানো যায়। একজন মানুষ মন ভালো রাখতে সহজে এর মধ্যে প্রবেশ করতে পারে এবং মন ভালো করে বাসায় ফিরতে পারে। কারণ এটা এতটাই সুন্দর একটি লোকেশন যে। ইচ্ছে মতো চলাচল করতে পারা যাবে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। রাস্তার এপাশ থেকে ওই পাশে বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে সুন্দর গেট। যে গেট দিয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারেন বিনা টিকিটে। ফজরের নামাজের শেষ থেকে শুরু হয়ে যায় এই পার্কের ব্যস্ততা। একের পর এক মানুষ প্রবেশ করতে থাকে এর মধ্যে।
সকাল ভোরে বেশিরভাগ মানুষ এর মধ্যে প্রবেশ করে থাকে ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করার জন্য। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন এবং ডায়াবেটিসের পেশেন্ট রয়েছে সে শ্রেণীর মানুষ এখানে বেশি চলাচল করে। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন পর্যটক ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করা মানুষ স্টুডেন্ট সহ সর্বশ্রেণীর মানুষের উপস্থিতি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসুস্থ রোগী নিয়ে আসা ভুক্তভোগী মানুষেরাও কিছুটা সময়ের জন্য এখানে প্রশান্তির আশায় এসে যায়। থেকে এভাবেই রমনা পার্কটা হয়ে ওঠে জনবহুল।
বিভিন্ন সময়ে মানুষের পার্কের বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করে থাকে। আমার ফটোগ্রাফির মুহূর্তটা ছিল পাতা ঝরা দিন। যার জন্য দেখা যাচ্ছে গাছে গাছের পাতাগুলো সব পড়ে রয়েছে পায়ের নিচে। আবার নতুন পাতা গজালে নীতি চমৎকার দেখতে পাওয়া যায় এই পার্কের কাজগুলো। পার্কের সৌন্দর্য যেন নতুন রূপে সেজে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করা হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি এখানে। ইউটিউবার টিকটকার সহ বিভিন্ন মিডিয়ার মানুষেরা এখানে উপস্থিত হয়ে থাকে তাদের ভিডিও বা কনটেন্ট তৈরি করার জন্য। আপনি যদি ১/২ ঘন্টার জন্য এখানে উপস্থিত থেকে চারপাশে লক্ষ্য রাখেন তাহলে দেখতে পারবেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা তাদের বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে। ঠিক তেমনি এই মানুষের ভিড়ে আমিও কিছুটা সময়ের জন্য সময় পার করেছিলাম প্রশান্তির আশায়।
ফটোগ্রাফি | রমনা পার্ক |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 50 pro |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক