অনুভূতি :- রাসেলের বিয়েতে যাওয়ার মুহূর্ত।(দ্বিতীয় পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20250704_123741.jpg

IMG_20250704_123757.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার ভাতিজার রাসেলের বিয়েতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমার জ্যাঠাতো ভাইয়ের বড় ছেলের কিছুদিন আগে বিয়ে করেছেন। রাসেল বয়সে আমাদের ছোট। তবে চলাফেরা একসাথে করার কারণে আমরা একজনের সাথে একজন ফ্রি থাকি। কিছুদিন আগে রাসেলের বিয়ের গায়ে হলুদের পোস্ট আমি করেছিলাম। আজ বিয়েতে যাওয়ার পোস্ট করতে লাগলাম। যেদিন আমরা রাসেলের শ্বশুরবাড়িতে যাব ওই দিনটি ছিল শুক্রবার। শুক্রবার সবকিছু বন্ধ থাকলেও দিনটি থাকে মানুষের কাজের মধ্যে। ঐদিন হাতের কাজ এবং জুমার দিন থাকে বিদায় মানুষ একটু তাড়াহুড়া করে। আর শুক্রবার আমরা সবাই জলদি রেডি হয়ে গেলাম রাসেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য।

আর আমাদের ফ্যামিলি ভাবে বিয়েতে সবাইকে দাওয়াত দিয়েছেন। এই কারণে আমি আমার ওয়াইফ এবং মেয়ে আমরা বিয়েতে গেলাম। যদিও আমার মা-বাবা অসুস্থ এই কারণে বিয়েতে যেতে পারে নাই। আমরা ১১ টা বাজে রেডি হয়ে গেলাম বিয়েতে যাওয়ার জন্য। আর গাড়ি আসার পর পরে আবার ওয়াইফ এবং মেয়ে মহিলাদের গাড়ি করে চলে গেল। ভাতিজা রাসেল যখন বর সেজে বাইর হলো তখন আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তবে রাসেল আমাকে বললেন সবগুলো লোক গাড়িতে তুলে তারপর আসার জন্য আমাকে। কারণ কোন লোক জুম্মার দিন যেন না থেকে যায়। এই কারণে আমি লাস্ট গাড়ি করে রাসেলের শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।

IMG_20250704_123710.jpg

IMG_20250704_123729.jpg

তবে ওই দিন অনেক বৃষ্টি ছিল বিদায় মানুষগুলো আস্তে আস্তে লাগলো তার বিয়েতে। আর রাসেল বিদেশ থেকে আসার কারণে তার বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকার লোক অনেক গুলোকে দাওয়াত দিলেন বিয়ের জন্য। তবে রাসেলের শ্বশুরবাড়ি আমাদের বাড়িতে অনেক দূরে। একদিকে রাসেল জেঠাতো ভাইয়ের ছেলে অন্যদিকে ভালো বন্ধুত্বের কারণে নিজেও আন্তরিকতা দিয়ে তার বিয়েতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। তবে আমরা জুমার নামাজ পড়ে তারপরে আমাদের বাড়ির সামনে থেকে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। একদিকে দেরিতে বাড়ি থেকে বাইর হলাম অন্যদিকে কিছু পথ যাওয়ার পর গাড়ি নষ্ট হয়ে গেল। আর গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।

কারণ বিয়ে অনুষ্ঠানে দেরিতে গেলে অনেক সময় খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো হয় না। আর গাড়ির ড্রাইভার অনেকক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করলেন সে গাড়ি আর ঠিক করতে পারলেন না। পরবর্তীতে তার বদলি অন্য একটি গাড়ি এসে আমাদেরকে রাসেলের শ্বশুরবাড়িতে নেওয়ার জন্য নিয়ে গেলেন। যদিও ওই সময় আমি গাড়ি থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম প্রাকৃতিক দৃশ্যের। মেঘলা আকাশ দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে এই বুঝি বৃষ্টি চলে আসবে। আর বৃষ্টির সময় ছাতা না থাকলেও অনেক সময় বিপদ। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির মধ্যে ভিজলো মানুষের অসুখ হয়। তবে আমরা গাড়িতে ১২ জন লোক দাঁড়িয়ে রইলাম পরবর্তী গাড়ির জন্য।

IMG_20250704_123708.jpg

IMG_20250704_123701.jpg

আর যখন গাড়ি আসলো তখন আমরা গাড়ি করে বিয়ে বাড়িতে চলে গেলাম। আর আমরা যখন বিয়ে বাড়ির সামনে গেলাম তখন কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তখন দেখি কিছু মানুষ খাওয়া-দাওয়া করে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল। আর আমরা যখন ভিতরের দিকে যাচ্ছিলাম গেট দিয়ে তখন অনেক জনে আমাদের সাথে দুষ্টামি করতে লাগলো। বলতে লাগলো খাওয়া-দাওয়া সবগুলো আমরা খেয়ে ফেলেছি এখন কিছুই নেই। আর আমি পরিচিত লোকদেরকে বলতে লাগলাম আমরা খেতে আসি নাই দেখতে আসলাম ভাতিজা শ্বশুরবাড়ি। আর এই কথা বলে আমরা দুষ্টামি করতে লাগলাম। আর ওইখানে বসার পর তাড়াতাড়ি আমাদেরকে খাওয়া-দাওয়া দিয়ে দিল। সেই পোস্টটি আমি অন্য দিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। এই হচ্ছে ভাতিজার রাসেলের বিয়েতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

IMG_20250704_122703.jpg

IMG_20250704_122711.jpg

IMG_20250704_123730.jpg

IMG_20250704_131157.jpg

IMG_20250704_131143.jpg

IMG_20250704_131121.jpg

IMG_20250704_124817.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

IMG-20240904-WA0000.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 7 days ago 

IMG_20250715_191956.jpg

 6 days ago 

বিয়ে বাড়িতে যেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর দারুন সময় কাটানো যায়। বিয়ে বাড়ির সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। সবাইকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।