মাছ ধরতে দেখার অনুভূতি প্রকাশ
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি আমাদের মাছ ধরার বেশ কিছু চিত্র উপস্থাপন করব। ইতোমধ্যে আমি অনেকগুলো মাছ ধরার বিষয় পোস্ট শেয়ার করেছি। আজকে সৌভাগ্য হলো আবারো একটি পোস্ট উপস্থাপন করার। আমি মনে করি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লাগবে আমারে ব্লগটি।
আমি ছোট থেকে মাছ ধরা দেখতে অনেক পছন্দ করি। আমি ছোট যখন ছিলাম তখন মনে পড়ে আমাদের বাড়ির পাশে একটি খালে ছোটরা মাছ ধরেছি। বুদ্ধি জ্ঞান হয়ে লজ্জা শরমের কারণে হয়তো আস্তে আস্তে বাদ পড়ে গেছে। কিন্তু মাছ ধরা এখনো বন্ধ হয়নি। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সুযোগ যেমন পেয়েছি। ঠিক তেমনি মাছ ধরতে দেখার সুযোগ টা একটু বেশি হয়েছে। কারণ এখানে রয়েছে মেলা পুকুর। আমাদের পুকুর ছাড়াও অন্যান্য মানুষদের রয়েছে অসংখ্য পুকুর। বাড়ির বাইরের দৃষ্টি মিললেই মাছ ধরার বিভিন্ন কার্যক্রম চোখে বাদে।
যখন অনেক ব্যক্তি একসাথে মাছ ধরে এই দৃশ্যটা আরো ভালো লাগে। তবে এই মুহূর্তে আমি যতগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি সব একটি পুকুরে মাছ ধরার মুহূর্তে ধারণ করা ছবি। এটা ছিল আমাদের বড় পুকুরটা। আমি প্রায় প্রায় যখন মাছ ধরা দেখি তখন প্রচন্ড রোদের কারণে ছবি উঠাতে পারিনা। এটাই হয়ে যায় বড় সমস্যা। মোবাইল প্রচন্ড গরম হয়ে যায়। আবার অনেক সময় মাছ ধরার দিন সময় দিতে পারি না বা সেখানে থাকতে পারিনা। তবে যেদিন সৌভাগ্য হয় সেদিনটা আর ছাড়ে না। চেষ্টা করি মনের মত ফটো ধারণ করে নিতে। কিন্তু সমস্যা হয়ে যায় মোবাইল প্রচন্ড গরম হয়। যাই হোক এখানে যে সুন্দর দৃশ্য আপনারা লক্ষ্য করছেন, যদি আমার পাশে থাকতেন তাহলে বুঝতেন আনন্দটা কতখানি ছিল। আমার কয়েকটা পাড়ার চাচাতো যা একসাথে ছিল। আমাদের সবাই মিলে কিন্তু অনেক আনন্দ হয়েছিল এই মাছ ধরা দেখার সময়। কারন আমরা সবাই কম বেশি মাছ ধরাটাকে অন্যরকম আনন্দ হিসেবে দেখি।
আমাদের এখানে সব সময় মাছ ধরা মাছ বেচা কিনা চলতে থাকে। দিনে যেমন রাতে তার চেয়ে অধিক পরিমাণ। যখন সবার পুকুরে মাছ অনেক বড় বড় হয়ে যায় তখন দেখা যায় সারারাত গাড়ির শব্দ মানুষের আওয়াজ। এখানে যে সমস্ত জেলেরা রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ আমাদের গ্রামের। গ্রামের মানুষগুলা রাত্রেও মাছ ধরে। সেক্ষেত্রে বলা যায় উনারা দিনে এবং রাতে দুইবার মাছ ধরে ইনকাম করতে পারে। আবার উনাদের মধ্যে যারা অসুস্থ বা বয়স্ক করেছে তারা দুইবার পারে না। এ সমস্ত বিষয়গুলো আমি যখন প্রথম এই গ্রামে এসেছিলাম তখন শোনার পর আশ্চর্য হয়ে যেতাম। কিন্তু এখন দেখি এদের পেশা এটা। এজন্য এরা খুব সহজে এগুলো করতে পারে যা আমাদের কাছে হয়তো কঠিন মনে হতে পারে।
মাছ ধরা এবং মাছ মেপে কাজ শেষ করার সময় আর একটা আনন্দ আমাদের জন্য থেকে থাকে। সে আনন্দটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় সাইজের মাছগুলো নিজেদের খাওয়ার জন্য আলাদা করে রাখা এবং সেগুলো বাড়িতে নিয়ে আসে। আর এই বিষয়ে বাবুর আব্বা সব সময় উপস্থিত থাকে যে বড় মাছটা আলাদা করে রাখতে হবে। তাদের কাজ শেষ হয়ে গেলে আমাদের কাজ যেন শুরু হয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে এসে ভালোভাবে কুটে ধুয়ে রান্না করে খাওয়ানো।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | মাছ ধরতে দেখার অনুভূতি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কাজ সম্পন্ন
এরকম দৃশ্য অনেক বছর সামনাসামনি দেখা হয় না। আপনার আজকের পোস্টে দৃশ্য গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক বড় পুকুর নিশ্চয়ই। অনেক মানুষ মিলেই মাছ ধরছে। এরকম মুহূর্ত গুলো দেখতে আসলেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
আসলে মাছ ধরতে এবং মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। আপনার মাছ ধরার দৃশ্য দেখে খুব ভালো লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুব দুর্দান্ত হয়েছে। অনেক বড় বড় মাছ পেয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু পুকুরে মাছ ধরতে দেখলে এমনিতে ভালো লাগে। বিশেষ করে মাছগুলো লাফালাফি করে এবং মাছ একসাথে বেশি থাকলে দেখতেও চমৎকার লাগে। তবে আমাদের এদিকে এরকম মাছের পুকুর নেই। তবে এটা শুনে ভালো লাগলো পুকুরে বড় মাছ নিয়ে যান খাওয়ার জন্য। আর তাজা মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।