পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ওজন দেওয়ার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি পুকুরে পাঙ্গাস মাছের ছোট্ট বাচ্চা কেমন সাইজের বা ওজনের হয়েছে সেটা মেপে দেখার অনুভূতি নিয়ে। এ পোষ্টের মধ্যে দিয়ে আপনারাও জানতে পারবেন আমাদের পুকুরের মাছের বাচ্চা গুলোর বর্তমান অবস্থান।
মাছের বাচ্চার ফটোগ্রাফি
বেশ অনেকদিন হলো আমাদের পুকুরে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা দেওয়া হয়েছে। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চাগুলো ওজনে এক কেজিতে ৩৫০ পিস ছিল। এই পোড়া গুলো পুকুরে দেওয়া হয়েছে এক মাসের বেশি দিন। এতদিনে দানাদার খাবার খাওয়ায়ে কেমন ওজন হয়েছে সেটা দেখার পালা। এই পাঙ্গাসের পোনাগুলো যশোর থেকে এনেছিল পাড়ার কয়েকজন মিলে। তবে অন্যান্য মানুষের পাঙ্গাস মাছের পোনা কেজিতে ত্রিশটা চল্লিশটা চলে এসেছে। এখন আমাদের গুলো সেভাবে মেপে দেখা হয়নি, এই জন্যই উপস্থিত হয়েছে পুকুর পাড়ে। তাই আমিও উপস্থিত হলাম ফটো ধারণ করার জন্য, সাথে সহযোগিতা করার জন্য এবং জানার জন্য। প্রথমে মাছের খাবার পুকুর পাড়ে নিয়ে আসা হল। এরপর ডিজিটাল স্কেল নিয়ে আসা হল। মাছের পোনা পুকুরে খাবার দেওয়ার জায়গায় সবসময় থেকে থাকে। তাই খাবার দিতে হবে আর সে সুযোগে ডালা দিয়ে ধরার চেষ্টা। প্লেটের মধ্যে থাকা ভাসমান খাবার একটু একটু করে পুকুরে দেয়া শুরু হল।
পুকুরে যেমন খাবার দেওয়া চলছে, ঠিক সেভাবে মাছগুলো খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসতে থাকলো। এই ভাসমান খাবারগুলো এতটাই পাস না হয়ে থাকে যে পুকুরে খাবার ফেলার সাথে সাথে মাছগুলো কাড়াকাড়ি করে খাওয়া শুরু করে দেয়। আর খাবার যে দিকে ফেলা হয় ঠিক সে দিকেই মাছগুলো লাফাতে থাকে। তাই একটু দূরে খাবার ফেলতে ফেলতে একদম পুকুরের পাড়ের নিকট থেকে খাবার ফেলতে থাকলো। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চারাও খাবার খাওয়ার জন্য একদম নিকটে চলে আসলো। তাদের এদিকে খেয়াল নেই সামনে মানুষ বসে রয়েছে বা তাদের ধরবে। তারা খাবার কেড়ে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এদিকে আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি সুযোগ-সুবিধা বুঝে ডালা দিয়ে ধরে ফেলব। যেমন চিন্তা ঠিক তেমনি কাজ। মাছের বাচ্চাগুলো খাবারে খাওয়ার ছলে একদম কোলে চলে আসলো। আর সেই মুহূর্তে ডালা দিয়ে ধরে ফেলা হলো বেশ অনেকগুলো। ডলার মধ্যে ওঠার পর মাছগুলো বেশ লাফাচ্ছিল। আর খাবার খাওয়ার মাছগুলো অনেকের ছুটে পালিয়ে গেল জায়গা থেকে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ফিরে আসলো নির্দিষ্ট জায়গায়।
এরপর মাছের বাচ্চাগুলো ওজন দেয়া শুরু হলো। ডালাথালা সহ একবারে ওজন করা হলো। মাছগুলো যখন ওজন করা হয়েছিল তখন ঢালার মধ্য থেকেও বেশ লাফালাফি করছিল। ওজন দেওয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটা পরীক্ষা করা হয়। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার গায়ে বিজলি হয়েছে কিনা। তাদের গায়ে কোন ভাইরাসজনিত লাল দাগ আছে কিনা। শুধু ওজন দেওয়া নয় এভাবে বেশ কিছু পরীক্ষা করে ধারণা নেওয়া হয় কোন ট্রিটমেন্টের আওতায় আনতে হবে কিনা। এই সমস্ত বিষয়ে দিক থেকে বেশ ফ্রেশ ছিল। তারপর ওজন দেওয়া হলো। মাছের বাচ্চাগুলোর সাইজ কিছুটা উনিশ-বিশ। তবে মাছের বাচ্চার বৃদ্ধি তেমন হয়নি। অন্যান্যদের যেমন ৩০-৪০ টায় কেজি, আমাদের গুলো ৬০-৬৫ টাকা কেজি হবে। যেহেতু এটা বাড়ির পুকুর ছায়াযুক্ত স্থান। তাই বৃদ্ধি তেমন একটা হয়নি। আর অন্যান্যদের মাছগুলো মাঠের পুকুরে। খাবার একটু বেশি দেয় এবং পুকুরের ব্যবস্থা ভালো। এজন্য তাদের মাছ দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। যাইহোক মাছগুলো মেপে দেওয়ার পর আবার একটা একটা করে ধরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হলো। কারণ ওজন দেওয়ার পর গুনা হলো কতটায় কেজি আসছে। আর এভাবেই আজকের সকালে, বাড়ির পুকুরের পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা মেপে দেখা হল। পরবর্তীতে আবারো উপস্থিত হব আপডেট জানানোর জন্য। ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | মেলা থেকে ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনার এই ধরনের পোস্টগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ যেমন আপনাদের পুকুরের মাছের ওজন ও তার সাথে মাছের পরীক্ষা কিভাবে করতে হয় তা আমাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরলেন।আর সাথে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করলেন। আর এই পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
আপনার ভালো লাগে যেন খুশি হলাম
আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন আপনাদের পুকুরের পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা ওজন দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন। এক কেজি মাছের বাচ্চাই মাছ হয়েছিল ৩৫০ পিস । আমার কাছে মনে হয় পাঙ্গাস মাছ বড় করার থেকে ছোট অবস্থায় বেঁচে দিলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নিজেদের চাষ করতে হবে
আপনাদের বাড়ির পুকুরে ও অনেকগুলো পাঙ্গাস মাছের পোনা দিয়েছেন। তবে যেহেতু বাড়িতে পুকুর চারিপাশে অনেক গাছপালা তাই ছায়ার জন্য হয়তো বা গ্রোথ কম হয়েছে। আশা করছি পরবর্তীতে আরো সুন্দর হবে মাছগুলো। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার ওজন দেওয়ার সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ছোট হয়ে আছে
"আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সাহায্যতা করা এবং এই কমিউনিটির সাথে জড়িত থাকা আমার লক্ষ্য। পাশাপাশি, নতুন অনুভব এবং সহজে খোদাই করা আমার লক্ষ্য।