মহিন আহমেদ ভাইয়ের সাথে চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মহিন আহমেদ ভাইয়ের সাথে চিড়িয়াখানায় কাটানো কিছু মুহূর্ত । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে গোসল শেষ করে হালকা একটু নাস্তা করে রুম থেকে বের হয়ে পড়ছিলাম। আপনারা সকলে জানেন বেশ কিছুদিন আগে আমি আবারও সিঙ্গাপুরে এসেছি আসলে এখানে বেশ কিছুদিন থাকার পরে আবারও দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করব হয়তো খুব অল্প সময়ের মধ্যে। যেহেতু সিঙ্গাপুরে আছি তাই চেষ্টা করছি সিঙ্গাপুরের প্রাকৃতিক এবং সামাজিক সৌন্দর্যগুলো নিজ জায়গা থেকে উপভোগ করার জন্য। তাই প্রতিনিয়ত সিঙ্গাপুরের সৌন্দর্য দেখার জন্য আমি এবং আমার বেশ কিছু বন্ধু বের হয়ে পড়ি এভাবেই প্রতিনিয়তই সিঙ্গাপুরের সৌন্দর্য দেখে চলেছি সত্যি সিঙ্গাপুরের সুন্দর জায়গাগুলো আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছে আসলে এখানে বাইরের দেশ থেকে প্রায় প্রতিনিয়ত অনেক টুরিস্ট ভ্রমণের জন্য এসে থাকে। তবে চলুন আজকের পোষ্টের মূল বিষয় আপনাদের মাঝে শুরু করা যাক..........

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে চমৎকার দুইটি ছবি তুলে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আপনারা ছবির টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আমি আজকে আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত কোরবানির ঈদের আগে আমি মূলত ঢাকাতে ছিলাম আসলে ঢাকাতে আমার আব্বুর গরুর ব্যবসা আছে আমি মূলত আমার আব্বুর সাথে কোরবানির সময় ঢাকাতে গিয়েছিলাম সেখানেই যাওয়ার পরে আমি মহিন আহমেদ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য। আসলে এই প্লাটফর্মে আমরা অনেকেই অনেক ভাবে জড়িত আমি চেষ্টা করি এই প্লাটফর্মের ইউজারদের এলাকার আশেপাশে গেলে আমি দেখা করার জন্য আসলে দেখা করলে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগা কাজ করে। মহিন আহমেদ ভাই যখন আমার সাথে দেখা করতে আসবে তখন ভাই বলে আমি বাসা থেকে বের হচ্ছি আধা ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাব আপনার কাছে। তখন আমিও গোসল শেষ করে হালকা একটু খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মাহিন আহমেদ ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য বের হয়ে পড়লাম। আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল গাবতলী গরুর হাটের সামনে যেহেতু সেখানে আমার আব্বু গরুর ব্যবসা করে তাই মূলত আমিও সেখানে ছিলাম। তারপরে মহিন আহমেদ ভাই আমাকে সাথে নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়েছিল সেখানে গিয়ে চিড়িয়াখানার মধ্যে হাঁটতে ছিলাম এবং দুজন গল্পে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম দারুন কিছু ফটোগ্রাফিও আমার মোবাইলের ক্যামেরায় সংগ্রহ করেছিলাম।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে দুইটি ফটোগ্রাফি ধারণ করে শেয়ার করেছি। হরিণগুলো খুবই ছোট ছোট এবং বেশ দারুন ভাবে যখন চিড়িয়াখানার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন আমি আমার হাতের মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ দারুন ভাবে ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছিলাম। এভাবে আমরা প্রায় প্রত্যেকটা জায়গা ঘুরে দেখেছিলাম চিড়িয়াখানার মধ্যে। তার কিছু সময় পরে আমরা সেখানে বেশকিছু ময়ূর দেখতে পেয়েছিলাম ময়ূরের ছবিগুলো আমি বেশ দারুণভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরা ধারণ করেছিলাম। সেখানে অনেক পশু পাখি চিড়িয়াখানার মধ্যে আটকানো ছিল যেগুলো দেখে ছোট্ট ছেলেমেয়েরা বেশ মজা পাচ্ছিল এবং আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল। যেহেতু মহিন আহমেদ ভাইয়ের সাথে আমার অনলাইনে পরিচয় তাই সামনাসামনি দেখা হয়ে সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লাগা কাজ করছিল। এভাবেই আমি এবং মহিন আহমেদ ভাই দুজন দুজনের সাথে বেশ কিছু সময় চিড়িয়াখানার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে গল্পে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরায় ধারণ করে শেয়ার করেছি। চিড়িয়াখানার মধ্যে আমি এবং মহিন আহমেদ ভাই দুজন বেশ দারুন ভাবে একটি সেলফি তুলে ছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। চিড়িয়াখানার মধ্যে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করার পরে আমরা দুজন মিলে আবারো গাবতলী পশুর হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখানে এসে মহিন আহমেদ ভাই আমাকে বিরিয়ানি খাইয়েছিল। বিরিয়ানি খাওয়ার সময় হোটেলের মধ্যে বেশ কিছু সময় বসে আমি এবং মহিন আহমেদ ভাই গল্পে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। সেখানে দুজন মিলে বেশ দারুন মজা করে খেয়েছিলাম এবং মহিন আহমেদ ভাইয়ের কাছ থেকে তখন আমি বিদায় নিয়ে আবারও গরুর হাটের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম এভাবে আমারা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে বেশ দারুন আড্ডা দিয়েছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।