প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। গত মঙ্গলবার বন্ধুদের সাথে কেএফসি তে গিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই আমার বরাবরই খুব পছন্দ। বলতে গেলে শুধু আমার না,বরং আমার বন্ধু বান্ধবরাও কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই খেতে খুব পছন্দ করে। আমি যখন সাউথ কোরিয়াতে ছিলাম, তখনও কেএফসি এর চিকেন ফ্রাই প্রায় সবসময়ই খেতাম। যদিও সেখানে লোট্টেরিয়া এবং ম্যাকডোনাল্ডস এর মতো অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ছিলো। কিন্তু কেএফসি এর ফ্রাই আমার কাছে সবচেয়ে স্পেশাল মনে হয়। যাইহোক গত মঙ্গলবার বিকেলে একটু বের হয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। বলতে গেলে অনেকদিন পর আড্ডা দিতে বের হয়েছিলাম সেদিন।

কোলাজ মেকার অ্যাপ দিয়ে কোলাজ করা হয়েছে

কারণ প্রচন্ড ব্যস্ততার জন্য এখন অবসর সময় বের করাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে এবং এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালে কিন্তু মনটা ভালো থাকে। তো আড্ডা দেওয়ার সময় হঠাৎ করে এক বন্ধু বলে উঠলো,কেএফসি তে যাবে চিকেন ফ্রাই খেতে। কারণ মঙ্গলবার স্পেশাল অফার থাকে কেএফসি তে। এর আগেও বেশ কয়েক মঙ্গলবারে আমরা কেএফসি তে গিয়েছিলাম চিকেন ফ্রাই খেতে। তো সন্ধ্যার পর আমরা সবাই চাষাড়া চলে গেলাম। সেখানে একটু হাঁটাহাঁটি করে কেএফসি তে ঢুকে গেলাম। কেএফসি তে প্রবেশ করেই দেখলাম যে লম্বা সিরিয়াল। এমনিতেই কেএফসি এর নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া শাখায় সন্ধ্যার পর প্রচুর ভিড় হয়ে থাকে। আর মঙ্গলবার অফার থাকার কারণে, সন্ধ্যার পর তো আরো বেশি ভিড় হয়ে থাকে। তো আমাদের এক বন্ধু সিরিয়ালে দাঁড়ালো এবং আমরা তিনজন টেবিলে বসার ট্রাই করতে লাগলাম। যদিও একটা টেবিলও খালি ছিলো না।

তারপর একটা লোককে বলে রাখলাম, উনাদের খাওয়া শেষ হলে আমাদেরকে বসার সুযোগ দিতে। সেই লোকদের খাওয়া শেষ হতে হতে,আমাদের চিকেন ফ্রাই রেডি হয়ে গেলো। মূলত আমরা যেহেতু চারজন গিয়েছিলাম সেদিন, তাই আমরা ১,৫৯৯ টাকার একটা কম্বো অর্ডার করেছিলাম। সেই কম্বোর মধ্যে ছিলো, ৮ পিস হট এন্ড ক্রিসপি চিকেন ফ্রাই,৬ পিস হট উইংস,৬ পিস স্ট্রিপস,ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং চার গ্লাস কোল্ড ড্রিংকস। অর্থাৎ আমাদের চারজনের জন্য কম্বোটা একেবারে পারফেক্ট ছিলো। আমরা চারজন গল্প করতে করতে খাবার খেতে লাগলাম। যেহেতু সবাই মোটামুটি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তাই অল্প সময়ের মধ্যেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলেছিলাম। খাবারের মান ছিলো এককথায় দুর্দান্ত। তারপর কেএফসি থেকে বের হয়ে,কিছু কেনাকাটা করে বাসায় চলে এসেছিলাম। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। আর এই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।