শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সবসময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। ৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

বর্তমানে চট্টগ্রামে আমি। গত ৩০ তারিখে চট্টগ্রামে এসেছে বাবার বাড়ি। যদিও বাবা নেই কিন্তু মা ও ভাই ভাবীরা ও বাচ্চারা আছে। যথারীতি সময়ের আগেই স্টেশনে এসেছি। আমার বড় ভাইয়ার সাথে এসেছি। তিনি আবার সব সময় সময়ের অনেক আগেই স্টেশনে চলে আসেন। রাস্তায় যেনো কোন ঝামেলায় পরে ট্রেন মিস না হয়। তাই সাড়ে চারটার ট্রেনের জন্য আমরা সাড়ে তিনটায় স্টেশনে পৌছে গেলাম। তখনও আমাদের ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস এর দরজা খুলেনি। আমরা প্রায় ১ ঘন্টা স্টেশনেই অপেক্ষা করলাম। ট্রেন এর এসি চালু হওয়ার পর আমরা আমাদের কাংখিত সিটে বসলাম। কিন্তু বিমান বন্দর স্টেশনে এসেই ঘটলো বিপত্তি । আমাদের সিট নম্বরের আর একজন যাত্রি এসে হাজির।একই সিট নম্বার আমাদের দু;জনের। কিন্তু অনলাইন টিকেট কাটার পর এটা কিভাবে সম্ভব বুঝতে পারলাম। পরে এটেন্ডনেট সহায়তায় সব ঠিক হলো।সময়ের ৫মিঃ পর ট্রেন ছাড়লো। এবং ঠিক ৫ মিঃ লেটেই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌছালো।


স্টেশনে নেমেই দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। তাই সি এন জিন পেতে বেশ সময় লাগলো। সি এন জি যখন টাইগারপাস দিয়ে আমাদের বাসায় আসার রাস্তা ধরলো, তখনই টাইগারপাস রোড দেখেই আমার মনটা খারাপ হয়ে গেলো ।উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি এলিভেটর এক্সপ্রেস আর ওভার ব্রিজের কল্যানে আমাদের প্রিয় আকাশ আর দেখা যাচ্ছে না। উন্নয়নের ছোঁয়ায় আমাদের প্রিয় টাইগারপাস তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। এমন উন্নয়ন কেনো প্রয়োজন আমি ঠিক বুজতে পারি না। অন্যান্য দেশ যেখানে প্রকৃতিকে নস্ট না করে তাদের দেশের উন্নয়ন করে সেখানে আমদের দেশে উন্নয়ন করা হয় প্রকৃতিকে ধবংস করে। ৮ মাস আগে যখন চট্টগ্রাম এসেছিলাম তখন টাইগারপাস দিয়ে না আসায় এই চিত্র দেখি না। টাইগারপাস এর এই বেহাল দশা দেখে আমার মনটা বেশ খারাপ হয়ে গেলো। এই উন্নয়নের আগে টাইগারপাস দিয়ে রিক্সায় ঘুরলেই মনটা ভালো হয়ে যেতো। দু'পাশে পাহাড় আর উপরে বিশাল আকাশ দেখে। এবারের চট্টগ্রামে এসে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো এই দৃশ্য দেখে। কিছুদূর আসতে আসতেই দেখলাম পুলিশ লাইন ও জি ই সি মোড় এর আকাশ যেনো ঢেকে গেছে ফ্লাইওভার আক্র আকাশ ছোঁয়া বিল্ডিং এর কারনে। চট্টগ্রাম দিন দিন তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে এই উন্নয়নের নামে। উন্নয়নের এই ধারা দেখে মনে হচ্ছে কোন প্ল্যান ছাড়াই ই কাজ করা হচ্ছে। রাস্তা বড় না করে কেবল ফ্লাই ওভার করা হচ্ছে। আসতে আসতে যত টুকু রাস্তা দেখলাম দেখে তাই মনে হলো।

চট্টগ্রামে আসার পর থেকেই বৃষ্টি।তাই কোথাও বের হতে পারিনি। এমনকি বড় বোনের বাসায়ও যেতে পারিনি। আজ যাওয়ার চেস্টা করবো রোদ উঠেছে। বান্ধবীদের সাথে প্ল্যান আছে বের হওয়ার, জানি না কত টুকু পারবো। যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে ইচ্ছে আছে। আগামী শনিবারে সম্ভবত ঢাকায় ফিরে যাবো। সবাই দোয়া করবেন যেনো ভালভাবে ঢাকায় ফিরে যেতে পারি। আজ এ পর্যন্ত। আবার দেখে হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন। শুভ দুপুর।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩রা আগস্ট, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।



https://x.com/selina_akh/status/1951902978451128412
Link
https://x.com/selina_akh/status/1951903385671598452
চট্টগ্রাম আগমনের অভিজ্ঞতা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। যাত্রার সময় যা যা ঘটেছে, সেগুলো একদম বাস্তব ও সহজভাবে লেখা।ভাইয়ের সময়ানুবর্তিতার প্রসঙ্গটা ভালো লেগেছে। পরিবারের প্রতি এমন দায়িত্ববোধ সত্যিই প্রশংসনীয়।আপনার ট্রেন যাত্রা, স্টেশনে অপেক্ষা, এমনকি টিকিট বিভ্রাট—সব মিলিয়ে যেন একটা গল্পের মতো লাগলো।