লাইফস্টাইলঃ লাহোড়ি কাবাব রেস্টুরেন্ট কাটানো একটি সন্ধ্যা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২২শে বৈশাখ,গ্রীষ্মকাল, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
আমার ব্লগ যারা নিয়মিত পড়েন তারা জানেন যে আমার বড় বোন ঢাকায় এসেছে চিকিৎসা জন্য। বোনের মেয়ের বাসায় উঠেছে। সেখান থেকেই ডাক্তার দেখানো হয়েছে। মেয়ের জামাই আপাকে অন্য কোন বাসায় যেতে দিচ্ছিল না। বলেছে ডাক্তার দেখানো শেষ হলে তবেই বেড়াতে যাবেন। তাই আর আমাদের বাসায় আসা হয়নি আপার। আল্লাহর রহমতে তেমন কোন সমস্যা ধরা পরেনি। কেবল ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করার জন্য ডাক্তার কিছু ওষুধ প্রেস্ক্রাইপড করেছেন। এবং নিয়মিত হাঁটতে বলেছেন।
সব ডাক্তার দেখানোর পর যখন সবাই টেনশন মুক্ত হলাম,তখন আমার ভাই বলল সবাই যেনো, মানে আমরা তিন বোন ও ভাগ্নি যেনো তার বাসায় গিয়ে কয়েকদিন থাকি। কিন্তু তাতো সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত হলো আমরা ১ মে রাতে তার বাসায় থাকবো এবং ২রা মে বিকালে যার যার বাসায় চলে আসবো। কারন ১ মে আমার ভাগ্নির ছেলের স্কুল বন্ধ। কিন্তু এর মধ্যেই আমার মেজো বোন জানালো যে সে আসতে পারবে না। তার একটি দরকারী কাজ রয়েছে সেই দিন। অগ্যতা তাকে বাদ দিয়ে আমরা ভাইয়ের বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন ৩রা মে চট্টগ্রাম থেকে এসে দুলা ভাই আপাকে ৪মে নিয়ে যাবেন। সেই দিন না থাকলে আর সবাই মিলে থাকা হবে না। সবাই এক সাথে থাকার আনন্দ অন্য রকম। এখন আর এভাবেই সবাই এক সাথে থাকা হয় না যদি না কোন উপলক্ষ্য থাকে।আমার ভাই থাকে মিরপুর ১৩-র বিজয় রাকিন সিটি তে। বেশ বড় এরিয়া নিয়ে আবাসিক এলাকাটি বানানো। এবং বেশ গোছানো।
দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ আমার ভাই বলল যে পাশেই একটি কাবাবের রেস্টুরেন্ট আছে বেশ ভালো তাদের কাবাব গুলো। সন্ধ্যার কিছুটা পর আমরা সবাই গেলাম সেই কাবাব খেতে। রেস্টুরেন্ট এর নামটি হলো লাহোড়ি কাবাব। তেমন কোন ডেকোরেশন নেই। কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল দিয়ে সাজানো। তবে এই রেস্টুরেন্টটি চালায় দু'জন মহিলা। এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। মেয়েরা প্রচলিত জবের ও ব্যবসার পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের ব্যবসার সাথেও জড়িত । বেশ ভীড় ছিল রেস্টুরেন্টটিতে। রেস্টুরেন্টটিতে সর্বোচ্চ ৪০-৫০ জন্য বসার ব্যবস্থা রয়েছে। যে কারনে অনেককেই বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে, জায়গা খালি হওয়ার জন্য। তবে আমরা মাগরিবের নামাজ পড়েই বেড়িয়াছিলাম বলে অপেক্ষা করতে হয়নি। আমরা বাটার নান, পরোটা,দু ধরনের কাবাব,চাপ ও নেহারী অর্ডার করেছিলাম সেই সাথে ছিল কোল্ড ডিংস ও পানি। অল্প সময়ের মধ্যেই খাবার চলে আসে । খাবারগুলো বেশ মজা ছিল। খাবার খেয়েই আমরা আবার বাসার দিকে রওনা দেই। আমার ভাই এর ছেলে ও ভাগ্নির ছেলে কিছুক্ষন আবাসিক এলাকার মাঠে খেলে। আমরা কিছুটা সময় মাঠের পাশে থাকা চেয়ারে রেস্ট নিয়ে বাসায় বওনা দেই। বেশ সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটিয়েছিলাম সেই দিন সবাই মিলে। আসলে পরিবারের সবার সাথে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো সব সময় বেশ আনন্দের হয়।পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় হোক সবার। আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৫ই মে, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1919431582445875431
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Link
https://x.com/selina_akh/status/1919434108746297365
https://x.com/selina_akh/status/1919434943576387903
https://x.com/selina_akh/status/1919435937500520860
কত রকমের রেষ্টুরেন্টের নাম শুনলাম। আপনি কিন্তু খুব সুন্দর করে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা অনুভূতি শুনে তো আমার নিজেরই যেয়ে খেতে মন চাইছে। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ঠিক তাই কত নামের রেস্টুরেন্ট যে আছে। আর কত রকম খাবার। তবে খাবারগুলো ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপু।