সকালে পেঁপে বাগান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও কিছু ফটোগ্রাফি
কভার ফটো
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা ভালো থাকি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে #lifestyle ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হলাম। মূলত আমি আজ সকালে আমার পেঁপের বাগানে ভ্রমণে গিয়েছিলাম এবং আমি সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। চলুন ছোট গল্প আকারে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকের এই ব্লগ উপভোগ করে আসি।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে ব্রাশ করে আমি সকালের হালকা নাস্তা শেষ করে আমি আমার পেঁপের বাগানে গিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন পূর্বে আমি মোট ছয়টি পেঁপের চারা নিয়ে আমার বাগান শুরু করেছিলাম। কারণ আমি বর্তমানে আমার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছি এবং সেখানে সবজির চাহিদা মেটাতে আমাকে নিজে ফসল চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে ।
সকালে বাগানে যাবার পর আমার মন আনন্দে নেচে উঠেছিল। কারণ আমি জীবনে প্রথম চাষাবাদ শুরু করেছি এবং ফসল আমার ঘরে উঠতে শুরু করেছে।
সকালে আমি আমার পেঁপের বাগানে গিয়ে লক্ষ্য করলাম কিছু কিছু গাছে ছোট ছোট ফুল এসেছে। আবার কিছু কিছু গাছে পেঁপে মাঝারি আকার ধারণ করেছে এবং কয়েকটি পেঁপে অনেক বড় বড় হয়ে গিয়েছে।
চমৎকার এই দৃশ্য দেখে আমার মনের ভেতরে অনেক বেশি আনন্দ হয়েছিল এবং আমি খুবই মজা পেয়েছিলাম আমার ছয়টি গাছের পেপে দেখে।
আমি ইতিপূর্বে আশাবাদী, আমার ছয়টি গাছে মোট ১০ কেজি পেঁপে বড় হয়েছে। কিছু কিছু পেঁপে এখনো খুবই ছোট এবং অনেকগুলো ফুল এসেছে। পর্যায়ক্রমে পেপেগুলো বড় হচ্ছে এবং আমার স্বপ্নগুলো বড় হচ্ছে। মূলত এগুলো কোন পেঁপে নয়, বরং এগুলো আমার স্বপ্ন যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হচ্ছে এবং আমার মনে আনন্দ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাদা সুন্দর ফুল থেকে কিভাবে পেঁপে হচ্ছে বিষয়টি আমাকে সত্যি অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছিল। আমি আমার বাগানে এসে পেঁপের গাছের কাছে গিয়েছিলাম এবং গাছের গোড়া থেকে কিছু আগাছা পরিষ্কার করেছিলাম। কারণ আকাশ না থাকলে গাছ সঠিকভাবে বৃদ্ধি হয় না। তাই আমি হালকা পরিচর্যা করেছিলাম এবং কিছু গাছের ছত্রাক জনিত ডাল ভেঙে দিয়েছিলাম। কেননা পরবর্তীতে যেন আর আমার গাছে সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
এবারে চলুন কয়েকটি পেঁপে ও পেঁপের গাছের ফটোগ্রাফি উপভোগ করি ;
আমি যেখানেই যাই ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। তাই দেরি না করে আমি ফটোগ্রাফি শুরু করলাম।
আমি পেঁপের গাছের কাছে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে আমি বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম।। মূলত চমৎকার সুন্দর এই তরতাজা পেঁপে গুলো দেখে আমার মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল। তাই আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বের করলাম এবং ফটোগ্রাফি শুরু করলাম।
ছোট পেঁপে থেকে শুরু করে বড় পেঁপে এবং পেঁপের ফুল আমি সব কিছু ফটোগ্রাফি করি। অবশেষে আপনাদের মাঝে চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে পারি আমার অনেক বেশি ভালো লাগছে।
আমি আশাবাদী নিজে একজন উদ্যোক্তা হয়ে চাষাবাদ শুরু করলে অনেক বেশি ভালো হবে। শুধুমাত্র ছয়টি পেঁপে গাছ থেকে আমি খুব ভালো ভরসা পেতে শুরু করেছি। চাইলে আপনারাও শুরু করে দেখতে পারেন।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পেঁপে বাগান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং কিছু ফটোগ্রাফি উপভোগ করার জন্য। আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1940608768481677358?t=6Sn78r3K6_Dn5AOM_IeFgA&s=19
https://x.com/steemforfuture/status/1940623392425889967?t=_3Mk_vJugsEskVGS03fTIQ&s=19
https://x.com/steemforfuture/status/1940624320407253468?t=qvCNsfmuDeV3SgZTb_wNog&s=19
আপনার বাগানের এমন সুন্দর পেঁপে গাছ দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার বাগানের গাছে ভীষণ সুন্দর পেঁপে হয়েছে। নিজের লাগানো গাছে ফলন ধরলে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে এবং আপনার এত সুন্দর কিছু পেপে গাছের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো।।
পেঁপে বাগানের সৌন্দর্য দেখে ভালো লাগলো। এই জায়গাটি অনেক সুন্দর। আপনি দারুন একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন ভাই।