গড়াই নদীর পাড়ে এক সন্ধ্যার আড্ডা।
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আরেকটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি গড়াই নদীর পাড়ের আড্ডার গল্পটা আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কাজ দৌড়ঝাঁপ আর সময়ের পেছনে ছুটতে ছুটতে কখন যেন নিজের জন্য কিছু মুহূর্ত রেখে দিতে ভুলে যাই। অনেকদিন পর এক সন্ধ্যায় ঠিক করলাম এবার একটু শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানো যাক। তাই কয়েকজন বন্ধু এবং ভাই ব্রাদার মিলে চলে গেলাম গড়াই নদীর পাড়ে আমাদের চিরচেনা জায়গাটা। সন্ধ্যার আলো আর হালকা মেঘলা আকাশ মিলেমিশে নদীর পনি তৈরি করেছিল এক অন্যরকম সৌন্দর্য। বাতাসে ছিল হালকা শীতলতা আর চারপাশে ছিল শুধু নদীর ঢেউয়ের মৃদু শব্দ। নদীর পাড়ে বসে চায়ের কাপ হাতে আড্ডা শুরু হলো। কেউ পুরনো গল্প বলছে কেউ মজা করছে আবার কেউ চুপচাপ নদীর দিকে তাকিয়ে নিজের ভাবনায় হারিয়ে গেছে। সেই নীরবতাতেও ছিল এক গভীর প্রশান্তি। আকাশে যখন একটু অন্ধকার নামতে শুরু করল দূরে দেখা যাচ্ছিল একটা ছোট নৌকা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যটা যেন কোনো ছবির মতো লাগছিল নীলচে আকাশ শান্ত নদী আর তার মাঝখানে এক টুকরো চলমান ছায়া। সেই মুহূর্তটা আমাদের সবার মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দিয়েছিল।
এই সন্ধ্যার আড্ডাটা শুধু সময় কাটানো ছিল না এটা ছিল এক ধরনের মানসিক শান্তি। হাসি গল্প চা আর প্রকৃতির নিস্তব্ধ সৌন্দর্যে ভরপুর সেই বিকেলটা আমাদের স্মৃতির পাতায় চিরস্থায়ী হয়ে রইল। গড়াই নদীর পাড়ে এই ছোট্ট আড্ডা যেন মনে করিয়ে দিল জীবনের সবকিছুর ভেতরেই সৌন্দর্য আছে শুধু একটু সময় নিয়ে তা উপভোগ করতে জানতে হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো নদীর পাড়ে বাতাস আরও শীতল হলো। চারপাশে অন্ধকার নামতে শুরু করল তবুও কারও মন ফিরতে চাইছিল না। সবাই একদম নিরিবিলি পরিবেশে হারিয়ে গিয়েছিল নিজের ভাবনায়। কেউ চুপচাপ নদীর দিকে তাকিয়ে কেউ ফোনে ছবি তুলছে।
গড়াই নদীর এই সন্ধ্যাটা যেন আমাদের ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি ধুয়ে দিল। এখানে আসলে বোঝা যায় শান্তি মানে শুধু নিরবতা নয় এটা একটা অনুভূতি যা প্রকৃতির মাঝে মিশে থাকে। চায়ের সেই আড্ডা বন্ধুদের হাসি নদীর ঢেউ আর মেঘলা আকাশ সব মিলিয়ে এক অমলিন স্মৃতি তৈরি হলো সেদিন। জীবনের অনেক কিছুই আমরা ভুলে যাই কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত থেকে যায় মনের গভীরে। গড়াই নদীর পাড়ে কাটানো এই সন্ধ্যাটা তেমনই একটি মুহূর্ত যেখানে বন্ধুত্ব প্রকৃতি আর প্রশান্তি একসাথে মিশে তৈরি করেছে এক নিখুঁত গল্প। এটাই ছিল আমার আজকের গল্প। আশা করি আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তাহলে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার অন্য কোন গল্পে অন্য কোন পোস্টে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |













সন্ধ্যার সময় নদীর পাড়ে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। আপনারা গড়াই নদীর পাড়ে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছেন দেখছি। আমরাও মাঝেমধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে সন্ধ্যার সময় আড্ডা দিয়ে থাকি। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সন্ধ্যার শীতল প্রকৃতি আসলেই ভালো লাগে আর তা যদি হয় নদীর পাড়ে তাহলে তো কথাই নেই।সুন্দর সময় পার করেছেন বোঝা যাচ্ছে।গড়াই নদীর দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
গড়াই নদীর তীরে সবাই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। নিরিবিলি পরিবেশ আপনাদের ক্লান্তি অনেকটাই দূর করেছে।ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ জানাই শেয়ার করে নেয়ার জন্য।