সিদ্ধান্তহীনতা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
অরিজিনাল ছবির গিবলি ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে।
ধরুন একজন মানুষ কে আপনি নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসেন। তার জন্য সবকিছু করেছেন আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব। কিন্তু এতোকিছুর পরেও সেই মানুষ টা আপনাকে ভালোবাসেনি। আপনাকে ধোঁকা দিয়েছে। আপনাকে ঠকিয়ে চলে গিয়েছে। একদিন আবার যদি সেই মানুষটা ফিরে আসে আপনি কী করবেন? সে যদি এসে ক্ষমা চাই আপনি কী করবেন? কী করা উচিত এমনটা হলে? সেই মানুষ টাকে কী ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। না তাকে সারাজীবনের জন্য দূরে চলে যেতে বলা উচিত। এমন কঠিন মূহূর্তের সম্মুখীন আপনারা কেউ কেউ হয়ে থাকতে পারেন। এইজন্যই আপনাদের কাছে জিজ্ঞেস করা। ২০২২ সাল থেকে ওকে পছন্দ করি। প্রথম থেকেই সেটা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে। তখন বয়স কম ছিল অনেক কিছুই বিবেচনা করি নাই। সবকিছুই আবেগ দিয়ে বিচার করেছি।
কিন্তু গত বছর আগষ্ট মাসে যখন জানতে পারলাম ও অন্য কারোর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। তারপরের কয়েকটা মাস অনেক ঘটনা ঘটেছে। অনেক নিদ্রাহীন রাত কেটেছে আমার। সবার অগোচরে চোখের পানিও পড়েছে। শেষমেশ যখন যোগাযোগ একেবারে শেষ হলো তারপর থেকে কিছুটা অভ্যাস হয়ে গেল। অনেক খারাপ লাগত কিন্তু মানিয়ে নিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে ফোনের গ্যালারিতে ওর এবং আমার ছবিগুলো দেখতাম। ভেবেছিলাম ওর বাড়ি থেকে ওর পছন্দ করা ছেলের সাথেই বিয়ে ঠিক করেছে। ভেবেছিলাম বিয়েটা হয়তো হয়েও গিয়েছে। কিন্তু প্রায় ৬ মাস পরে এপ্রিলের ৮ তারিখ মানুষ টা আমাকে ফোন দেয় একটা অচেনা নাম্বার থেকে। ঐদিন অনেক কথায় বলে। সেই কান্নাভেজা কন্ঠে আমার কাছে ক্ষমা চাই। সবকিছুই নাকী ও বাধ্য হয়ে করেছে।
ওর কান্না আমি কোনদিনই নিতে পারতাম না। পরে অনেক কিছুই খুলে বলে। এখনও ওর বিয়ে হয়নি। সম্ভবত ঐ ছেলের সাথেও ওর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ওর কথাটা শুনে আমি একটু তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়েছিলাম। কথার একটা পর্যায়ে ও নিজেও স্বীকার করে আমার মতো কেউই ওকে ভালোবাসেনি আর না ভবিষ্যতে বাসবে। ঐদিন ঐ পর্যন্তই। এর ঠিক ১৮ দিন পরে ২৬ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে দশটা। ঐ অচেনা নাম্বার থেকে আবার ফোন আসে। ওর বাড়িতে কেউ ছিল না ঐ সুযোগে ও বন্ধ নাম্বার টা একটিভ করে আমাকে ফোন দিয়েছিল। তবে ঐদিনের কথার শুরুটাই ছিল আলাদা। আগের দিন আমার কাছে ক্ষমা চাইলেও এইদিন ও সরাসরি আমার কাছে আবার ফিরে আসার কথা বলে। কথাটা শুনে আমার বুকের মাঝে একটা মোচড় দিয়ে উঠে।
প্রায় এক ঘন্টা কথা হয়। কথায় কথায় ও বলে এখন নাকী আমাকে অনেক মিস করে। একটা পর্যায়ে গিয়ে বলে ইমন তুমি আমাকে বিয়ে করতে পারবা এখন। আমার বাড়িতে থাকতে আর ইচ্ছা হয় না। ওর কথাগুলো শুনে আমার মনে হচ্ছিল আমি ওকে বলি ঠিক আছে। কিন্তু না আমি বলিনি। সত্যি বলতে আমি কিছুই বলতে পারিনি ওকে। হ্যা অথবা না কোনটাই না। আমি ওকে এখনও ঐ আগের দিনের মতোই ভালোবাসি। কিন্তু এখন ঐ অবস্থা টা আর নেই। তারপর থেকে আজ কদিন একটু অন্যরকম ভাবে কাটছে আমার। সত্যি বলতে আমার ক্লোজড যে কয়েকজন শুভাকাঙ্খি ব্যাপার টা জানে তারা সরাসরি না বলেছে। আমি নিজেও কোন সিদ্ধান্তে অটল হতে পারছি না। কী করা উচিত আমার??
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1917147478807445648?t=HAKZ_N8al4yTpbj52T8IKA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিদ্ধান্তহীনতা জীবনের একটি সাধারণ সমস্যা, তবে আপনি এটি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।আমিও আগে এমন অবস্থায় ছিলাম—একটা ছোট সিদ্ধান্ত নিতেও দিনের পর দিন ভাবতাম।সিদ্ধান্তহীনতা মানেই আপনি সচেতন এবং ফলাফল নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন—এটি ইতিবাচক! ছোট সিদ্ধান্ত দিয়ে শুরু করুন, ধীরে ধীরে বড় বিষয়গুলোতে কনফিডেন্স বাড়বে।
সারা জীবনের সিদ্ধান্ত এটা। তাই সব দিকে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। আবেগের বসে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না যে কস্ট সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তাই সময় নিয়ে ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।