স্টুডেন্ট লাইফ এ দূরে থাকুন তথাকথিত সত্যিকার ভালোবাসা থেকে
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে আমার নিজের কিছু চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে এসেছি।প্রথমেই বলে নিই আমি খুব একটা ব্রিলিয়ান্ট মানুষ না।এরপর আমার সেইভাবে কোনো বিষয় নিয়ে পারদর্শিতা নেই ।তাছাড়া আমি অত জ্ঞানী ব্যক্তিও না।তাই আমার কথার সাথে আপনারা একমত নাও হতে পারেন।এজন্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।আজকাল বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের খুবই কমন একটি সমস্যা আমরা দেখে থাকি সেটা হচ্ছে তারা নাকি সত্যিকারের ভালবাসার সন্ধান পেয়ে গেছেন।বর্তমান যুগে স্টুডেন্ট যারা রয়েছেন তারা তাদের মূল্যবান সময়কে ওই তথাকথিত সত্যিকারের ভালোবাসার পিছনে ব্যয় করছেন।অতঃপর গিয়ে যা হওয়ার সেটাই হচ্ছে একজনের ছেলে বা মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে উঠছে।
প্রেমের সম্পর্ক বা ফ্রি মিক্সিং কে আমাদের ইসলাম ধর্মে হারাম করা হয়েছে এবং যিনার পর্যায়ে রাখা হয়েছে।তার একমাত্র কারণ ছেলে মেয়েদের এট্রাকশন এর এই বিষয়টার জন্য।অথচ দেখুন যখন কোনো বৈধ সম্পর্ক করা হয় সেটাই কিন্তু এত সহজে ভাঙন দেখা যায়না।আমি প্রেমকে অবৈধ এবং বিয়েকে বৈধ বলছি।একটি বিয়ের সম্পর্ক থেকে আরেকটি সম্পর্কে লোকজনকে সেইভাবে যেতে দেখা যায়না।এর কারণ বৈধ সর্ম্পকে পরিবার ,সমাজ,সৃষ্টিকর্তা সবাই আপনার উপর প্রসন্ন থাকে।
আর অবৈধ সর্ম্পকে শুধু থাকে এট্রাকশন।আপনারা সবসময় মনে রাখবেন ভালোবাসার শেষ নেই কিন্তু এট্রাকশন এর শেষ আছে।আরেকটি উদাহরণ দিই চলুন সত্যিকার ভালোবাসা কি সেটা নিয়ে।যখন আপনি ক্যান্সার নামক রোগ বা অন্য বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হবেন তখন আপনার ভালোবাসার মানুষ কোনো না কোনো রিজন দেখিয়ে আপনাদের সম্পর্ক শেষ করে দিবে।কারণ আপনি অসুস্থ আর দুনিয়ায় বেশিদিন সময় আপনার নেই। অথচ আপনার বাবা - মা তারা আপনার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আপনাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগাবেন।এজন্য তারা দুনিয়ার সকল কষ্ট আপনার জন্য ফেইস করতে পারেন।সত্যিকার ভালোবাসায় আপনার গুরুত্ব টা বেশি হবে।অবশ্য এটাও ঠিক অনেককে দেখা যায় ক্যান্সার রোগীর সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে সেটা কিন্তু কোনো অবৈধ সম্পর্কে না।আর বৈধ সম্পর্ক সত্যিকার ভালোবাসা আনতে পারে,অবৈধ সম্পর্ক নয়।
আমি আমার নিজের পরিচিত বন্ধু বান্ধবীদের দেখেছি তারা স্টুডেন্ট লাইফে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেদের জীবন একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকিয়েছে।আমরা তথাকথিত যেই ভালোবাসার পিছনে ছুটে চলি সেই সত্যিকার ভালোবাসা বলতে কিছুই হয়না। সবই মোহ এবং আসক্তি।কোনো এক বই এ লিখা ছিল ছেলে মেয়ে কখনোই বন্ধু হতে পারেনা।কারণ তাদের মধ্যে এট্রাকশন রয়েছে।কোনো না কোনো একটি সময়ের জন্য একজন ছেলে মেয়ে যদি শুধুমাত্র বন্ধু হয়ে থাকে তারপরেও তাদের প্রেমের অনুভূতি জন্মাবে শুধুমাত্র ওই এট্রাকশনের জন্য।আর আমরা এটিকে সত্যিকার ভালোবাসা ভেবে ভুল করে থাকি।বর্তমান যুগে ব্রেকআপ একটি কমন ইস্যু এটা কেন হয় বলুন তো !শুধুমাত্র এই এট্রাকশনের জন্যই।যখন দুজন ব্যাক্তির এট্রাকশন শেষ হয়ে যায় দুজনের প্রতি তখনই তারা ব্রেকআপ করে।
আমরা ইতিহাস ,সাহিত্য থেকে কিছু কিছু ভালোবাসার গল্প পড়েছি ।লায়লি-মজনু,রোমিও - জুলিয়েট , আরও বিখ্যাত কিছু জুড়ি।এখন কথা হচ্ছে আপনারা এই যুগে এসে কি এরকম ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছেন! নিশ্চই না হবে আপনাদের উত্তর।বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই একজন লয়াল হলে অপরজন ধোঁকাবাজ ।সর্বোপরি সত্যিকার ভালবাসার পিছনে ছুটবেন না বিশেষ করে স্টুডেন্ট লাইফে ।কারণ অদৃশ্যে ছুটে চললে সেখানে শুধু ধোঁকার সম্মুখীন হতে হয় তাছাড়া অন্য কিছুই নয়।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date - 23rd September,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

বর্তমান সমাজে ভালোবাসা হয়ে গেছে সস্তা। একে অপরের কাছে আসে মনের চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু চাহিদা মেটানো হয়ে গেলে আর ভালোবাসা থাকে না। কারণ খুব সস্তায় আবারো আরেক জায়গায় লাইন করতে পারে। তাই মন থেকে মনের গভীর থেকে আশা ভালবাসা খুব কম। কারণ মানুষের রুচি বিকৃতি হয়েছে। তাই স্টুডেন্ট লাইফে চিন্তা রাখতে হবে লেখাপড়া শিখতে লেখা পড়া শিখব। বাবা মা খরচ করে মানুষ যখন করতে পেরেছে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে, বিয়ের পর ভালোবাসা।
আসলেই আপু বাইরে চলাচলের সময় অনেক কিছুই সামনে পড়ে সেগুলো থেকেই লেখা,ধন্যবাদ।
বর্তমানে ঘটে যাওয়া সমস্যা নিয়ে সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু।বর্তমানে প্রেমের সম্পর্ক একটা রোগের মতো হয়ে উঠেছে।আসলে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক বর্তমান প্রজম্ম নিজের পায়েই কুঠারাঘাত করছে,যেটা মোটেও ঠিক নয়।সচেতনমূলক পোষ্ট করার জন্য,ধন্যবাদ আপু।
জি আপু ,ধন্যবাদ।