বোনের বিয়ের পর্ব-২ // ১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
হ্যালো
আমার প্রিয় বন্ধুরা
রোজঃ সোমবার |
---|
১৪ এ ফেব্রুয়ারী ২০২২ |
---|
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আপনাদের দোয়া আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি । প্রথমে জানাই আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আপনাদের সকলের দোয়ার জন্য আজকে বোনের বিয়ের দ্বিতীয় পর্ব টি আপনাদের সামনে উপস্থিত করলাম । তাহলে চলুন বন্ধুরা বোনের বিয়ের দিনটির কাটানো কিছু মুহূর্ত জেনে নেওয়া যাক
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি খিচুড়ি রান্না হয়ে গেছে । তাই দেরি না করে একটু ফ্রেশ হয়ে এসে খিচুড়ি নিতে গেলাম । |
---|
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি অনেক ভিড় কারণ সকাল বেলা খিচুড়ি খাওয়ার জন্য সবাই এখানে ভিড় করতেছে । তাই আমি অনেক চাপা ছবির মাঝে এক প্লেট খিচুড়ি নিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম । ওইখান থেকে আসার পর অন্য এক খানে খিচুড়ি খেতে লাগলাম । কিছুক্ষণ খাওয়ার পর একটা বোন এসে বলল সে নাকি এখনো খিচুড়ি পায় নেই । তাই আমারটা তার হাতে দিয়ে তার জন্য কিছু নিতে গেলাম কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি অল্প একটু রয়েছে । এগুলো নিয়ে এসে তার সাথে আমার কিছুটা দিয়ে তাকে দিয়ে দিলাম । দুই ভাইবোন মিলে কিছু সময় খাওয়ার পর খাওয়া শেষ করে দিলাম । খাওয়া শেষ করার পর বোনটি বলল তার নাকি পেট ভরেনি । তাই তাকে নিয়ে গেলাম একটি দোকানে । সেখানে গিয়ে সে তার ইচ্ছামত কিছু নিয়ে নিল । এরপর সেখান থেকে চলে আসলাম । তার একটু পর গোসল করতে চলে গেলাম কারণ দশটা হতেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য লোক চলে আসবে । তাই দেরি না করেই গোসল সেরে আসলাম । গোসল শেষে বাসায় যখন আসলাম তখন আপু বলল পরিবেশন করার মত সেরকম কোনো লোক নেই । |
---|
তবে খাইতে বসি আমি ভালো করে খাইতে পারলাম না । সারাদিন পরিবেশন করার কারণে কোনো কিছু খাইতে ইচ্ছা করলো না । তাই একটু খেয়ে সেখান থেকে উঠে আসলাম । |
---|
এরপর সবাই মিলে রাস্তার মাঝে একটু হাটাহাটি করলাম । হাটাহাটি শেষ করেই যখন বাসায় আসলাম তখন ভাইয়া বলল বরের গাড়ি আসতেছে । তাই আমি দেরি না করে বরের প্লেট সাজানো জন্য একটি রুমে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে ফুল দুই ঘন্টা ধরে প্লেট সাজানোর কাজটি সম্পন্ন হল । এরপর বর এর কাছে নিয়ে গেলাম । সেখানে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়ে গেল । কারণ আমি এত কষ্ট করে প্লেট টি সাজালাম কিন্তু তার ন্যায্য মূল্য দিল না । মাত্র 400 টাকা দিয়ে বলল এইটাই আপনাদের পারিশ্রমিক । |
---|
তখনই আমার মেজাজটা অনেক খারাপ হয়ে গেল । তারাও অনেক কিছু বলতে থাকলো । আমিও তাদের জবাব দিতে লাগলাম । অবশেষে আমি একটা রুমে একটা কার্ড নেওয়ার জন্য গেছিলাম । কিন্তু সেখান থেকে এসে দেখি একটা আপুকে তারা 400 টাকা দিয়ে সব কিছু মিটিয়ে দিয়েছে । তখন তার হাতে সে টাকাটা দেখেই মেজাজটা আরও গরম হয়ে গেল । কারণ এত কষ্ট করার পরও তারা আমাদের ন্যায্য মূল্য দিল না । তাছাড়া আমাদের অনেক কিছু বলে অপমান করল । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সবার শেষে মালা পড়ানো পরবর্তীতে তাদের অপমানের জবাব দিব । তাই মালা নিয়ে ক্যামেরার সামনে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে সবার সামনে শুধু বোনের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে আসলাম । তখন সবাই বললো শুধু কনের গলায় মালা কেন । বরের গলায় মালা কই । তখন রাগের মাথায় বললাম আমাদের বোন আমরা মালা পরায় দিচ্ছি । আপনাদের ভাইয়া আপনারা মালা পরিয়ে নিয়ে যান । তখন তারা চূড়ান্ত অপমান হল । তবে অপমান করার পর বাবার কথায় বরের গলায় আবারো মালা পরিয়ে দিলাম । এরপর বিয়ের রীতিনীতি মত সবকিছু করা হলো । পরবর্তীতে সবার সাথে কথাবার্তা বলে সবাইকে বিদায় দিলাম । |
---|
❤️ সবাইকে ধন্যবাদ ❤️ |
---|
বিয়ে মানে খুশির মুহূর্ত এবং ভিন্ন ধরনের অনুভূতি। বোনের বিয়েতে আপনি খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।বিয়ের খাবারের আয়োজন অনেক সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া