শুভ পরিণয়!!!

in আমার বাংলা ব্লগ12 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ১৬ ই সেপ্টেম্বর ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000587573.jpg


লিখনের সাথে শিউলির সম্পর্ক সেই ২০১৯ সাল থেকে। শিউলির সাথে আমার পরিচয় থাকলেও ঐভাবে কখনও যোগাযোগ ছিল না। তবে লিখন নিজ থেকেই ২০২১ সালে শিউলির সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর ওর সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। আমি শিউলিকে নিজের ছোট বোনের মতো দেখতাম। লিখন এবং শিউলির বিয়ে শুক্রবার। আমি লিখনের সাথে বরযাএী যাব। শুক্রবার দুপুরের পরে বিয়ে। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠতেই সাড়ে নয়টা বেজে যায় কারণ বৃহস্পতিবার রাতে অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠেই আমাকে বাজারে যেতে হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে। ঐদিকে লিখন সকাল ৯ টা থেকে ফোন দেওয়া শুরু করেছে কখন আসবি কখন আসবি বলে। সাড়ে ১২ টার দিকে গোসল শেষ করে পুরোপুরি তৈরি হয়ে বের হয় বাড়ি থেকে।


1000587599.jpg

1000587592.jpg

1000587477.jpg

1000587589.jpg

1000587498.jpg

1000587480.jpg


গন্তব্য লিখনের বাড়ি। লিখনের আরেক বন্ধু অনিক আমাকে নিতে আসে। লিখনের মাধ্যমে পরিচয় হলেও অনিক এখন আমারও বন্ধু। অনিকের বাইকে করে চলে গেলাম লিখনের বাড়ি। দেখি আমাদের বর নামাজ পড়তে যাচ্ছে তখনও সে রেডি হয়নি। লিখনের সাথে আমিও গেলাম। নামাজ শেষ করে লিখনের বাড়িতে এসে বসলাম। তখন লিখন তৈরি হতে শুরু করল। বুঝতেই পারছেন বর তৈরি হচ্ছে বিয়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হা হা। লিখনকে সাহায্য করলাম। মোটামুটি ও তৈরি হয়ে গেল। তারপর শুরু হলো আনুষ্ঠানিকতা। লিখনের বাবা মায়ের সাথে কিছু মূহূর্ত। ঐগুলো শুধুমাত্র ফর্মালিটি বলতে পারেন। সেগুলো শেষ করে যখন লিখনের বাড়ি থেকে বিয়ের গাড়ি ছাড়লো তখন বেলা আড়াইটা। মেয়ের বাড়ি কাছেই ছিল এইজন্যই খুব একটা সমস্যা হয়নি।


1000587566.jpg

1000587559.jpg

1000587560.jpg

1000587573.jpg

1000587535.jpg

1000588463.jpg

1000587580.jpg

1000587504.jpg


আমরা যাএা শুরু করার পরে খুব বেশি সময় লাগেনি শিউলিদের বাড়ি যেতে। ওখানে গিয়ে দেখি মোটামুটি বিয়ে বাড়ির লোকজন ব‍েশ ব‍্যস্ত। এরপর আস্তে আস্তে লিখনকে নামিয়ে গেট কাঁটার পর্ব শেষ হলো। সে আরেক ঝামেলা। কী এক চাঁদাবাজি চিন্তা করেন এক গ্লাস শরবত আর ফিতা কাটার জন্য ৫ হাজার টাকা। সেসব শেষ করে আমরা ভেতরে গিয়ে বসলাম। অন‍্যরা সবাই খেতে বসে গেলেও আমরা চারজন আর বসলাম না। এরমধ্যে আমরা তিন বন্ধু এবং লিখন ছিলাম। বিয়ের পরে আমাদের খাবার সময়। সবমিলিয়ে বিয়ে যখন শেষ হলো তখন চারটা বেজে গিয়েছে। একটা গোপন কথা বলি। লিখন এবং শিউলি ২০২৩ সালেই কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল। আমি লিখনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষী ছিলাম। তবে এইদিন পূণরায় আবার কাবিন করে নতুন করে বিয়ে হয়। আগেরটা দুই বাড়ির কেউই জানতো না।

লিখন আমাকে বলে দেয় কাউকে এই বিষয়ে না বলতে। যাইহোক বিয়ে শেষে আমাদের খাবার দেওয়া হয়। বরের সাথে বসে খাওয়ার ব‍্যাপার টা বেশ আলাদা হা হা। সবকিছুর ব‍্যবস্থা মোটামুটি ভালো ছিল। সব শেষ হলো শুরু হলো ছবি তোলার পর্ব। তখন আমি বের হয়ে এসেছিলাম বাইরে। পুরো সময়ে লিখন কখনোই তার মুখে রুমাল নেয়নি। অর্থাৎ বলতে পারেন ঐতিহ্য মানেনি ও। যদিও আমি বলেছিলাম মুখে রুমাল নে। দেখা গেল মেয়ে বিদায়ের সময় মেয়ের বাড়ির লোকজন কান্নাকাটি করলে তুই হেসে দিতে পারিস। সিরিয়াস মোমেন্টে তোর হেসে ফেলার অভ‍্যাস আছে। রুমাল নে মুখে। কিন্তু ও নেয়নি। যাইহোক বিয়ের কার্যক্রম শেষ করে বরের গাড়ি ছেড়ে দেয় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে। এরপর আমি আর অনিক অন্য দিকে চলে যায়।কারণ তখন গরমের মধ্যে আর ভালো লাগছিল না।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  
 12 days ago 

বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে দারুণ মজা করেছেন ভাই। বিয়ে বাড়িতে আনন্দই আলাদা। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 11 days ago 

আপনার বন্ধু লিখনের বিয়ে উপলক্ষে আপনার অনুভূতি দেখতেছি খুব দারুণ ছিল। লিখন এবং শিউলির মত প্রত্যেকটা ভালোবাসাই এরকম সফলতা পাক। আপনার ভালো লাগার একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।