গায়ে হলুদ!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২ তারিখে বাড়িতে যায় প্রায় তিনমাস পরে। এবার বাড়িতে যাওয়ার বেশ কিছু কারণ ছিল। প্রথম কারণ ছিল মা কে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। এবং দ্বিতীয় কারণ ছিল আমার নিকট বন্ধু লিখনের বিয়ে। এর আগে অনেক বার লিখনের কথা আমার ব্লগে বলেছি। লিখনের ছবি শেয়ার করেছি। লিখন আমার একেবারে নিকট বন্ধু। সেই ২০১৬ থেকে আমাদের বন্ধুত্ব। আর লিখনের বিয়েতে আমি যাব না এটা হতে পারে না। যদিও লিখনের আবদার ছিল আমি যেন ৩ তারিখ থেকেই ওর সঙ্গে থাকি। ৪ তারিখ ছিল ওর গায়ে হলুদ ৫ তারিখ বিয়ে এবং ৬ তারিখ বউভাত। তবে আমি সেটা রাখতে পারিনি। কারণ আমার নিজেরও অনেক কাজ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার আমি যেন কোনভাবেই মিস না করি সেই বিষয়ে ও আমাকে বারবার করে বলেছিল। কিন্তু উপায় ছিল না।
মায়ের ব্যাক পেইন হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। ডাক্তারের পরামর্শ মতো এমআরআই করা হয়। সেই রিপোর্ট দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে চলে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। যেহেতু ডাক্তার ঢাকা থেকে আসে কুষ্টিয়াতে বৃহস্পতিবার শুক্রবার তার সিরিয়াল পাওয়া দুস্কর হয়ে যায়। আমি সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রিপোর্ট দেখানোর জন্য ডাক্তারের কাছে বসে রয়েছি। অন্যদিকে লিখনের গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম ছিল সন্ধ্যার সময়। ও বার বার আমাকে টেক্সট করছিল কখন আসবি কখন আসবি। কিন্তু কিছুতেই আমি আমার কাজটা শেষ করতে পারছিলাম না। দায়িত্ব অনেক সময় এড়িয়ে যাওয়া যায় কিন্তু কর্তব্য কখনোই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ডাক্তারকে রিপোর্ট দেখিয়ে যখন বের হলাম তখন রাত ১১ টা।
কুষ্টিয়া থেকে কুমারখালী যখন আসলাম তখন বেজে গেল সাড়ে এগারো টা এর বেশি। ততক্ষণে লিখনের বাড়ির গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম অফিশিয়ালি শেষ। তবুও ওর আবদার আমি যেন একবার যায়। আমি বললাম একেবারে আগামীকাল বিয়ের দিন যাবনে কিন্তু না আজ একবার যেতেই হবে। কী আর করার আমার এক চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে ওর বাইকে করে চলে গেলাম লিখনের বাড়ি। লিখনের বাড়ি আশেপাশে যেতেই রঙিন আলোর সাজসজ্জা চোখে পড়লো। লিখন আমাকে দেখেই বলল তোর তাহলে আসার সময় হলো। তারপর ওকে শুভকামনা জানালাম। এবং আমি ওকে মিষ্টি খাইয়ে দিলাম আমাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী। যদিও আমি কোন টাকা দেয়নি। ওকে খাওয়াতে আমাকে যদি টাকায় দিতে হয় তাহলে কিছু হলো হা হা।
যদিও তখন খাওয়ার কোন ইচ্ছায় ছিল না। লিখন জোরপূর্বক খেতে বসিয়ে দিল। খাওয়া শেষ করে লিখনের সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম। ঘড়িতে সময় তখন রাত ১ টা। আর বেশি দেরি করা ঠিক হবে না। এরপর লিখনের সাথে কথা বলে বাড়ির দিকে রওনা দেয় আমার ঐ চাচাতো ভাইয়ের সাথে। ভাইয়ের বাইক ছিল বলে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তখন লিখন বলে রাখে আগামীকাল যেন দ্রুত চলে যায় আজকের মতো যেন দেরি না করি। আমি হেসে বললাম আরে বিয়ের দিন দেরি করব না। যদিও আমি পুরো গায়ে হলুদ প্রোগ্রাম টা উপস্থিত ছিলাম না। তবে থাকতে পারলে বেশ ভালো হতো। যাইহোক সবকিছুই নিয়তি। আমি নিজেও তো কম ঝামেলার মধ্যে ছিলাম না। বাড়িতে যখন পৌছালাম তখন রাত দেড়টা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1967128829689995380?t=vv_QEBkTeXd_zMx_HbmJog&s=19
https://x.com/Emon423/status/1967129043314373113?t=RzdS187ud96g5YIXy2_Rng&s=19
বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেলো এবার তো তাহলে আপনার পালা ভাই। দারুন সময় কাটিয়েছেন আপনি। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন ভাই। অনেক শুভকামনা রইলো।