আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য মিলে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য মিলে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে প্রথমেই মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে আমি নিজে সকালবেলার নাস্তা খেয়েছিলাম তার পরে বেশ কিছু সময় অনলাইন কাজের সাথে যুক্ত ছিলাম। তারপরে আবারো আজকে আমাদের মাঠের ভুট্টা কাটতেছে সেখানে খাবার দিতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাসায় ফিরে অনেক গরম লেগে যায় তাই একটু বাড়ির পাশে বাগানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে একটি মাচাল দেওয়া আছে সেখানে গ্রামের অনেক ছেলেরা এসে আড্ডা দেয় এবং সকলের সাথে বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম। তারপরে সেখান থেকে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে একটু ঘুমিয়ে ছিলাম ঘুম থেকে উঠেই পোস্ট লেখা শুরু করেছিলাম। তবে চলুন আজকের পোষ্টের বিস্তারিত আপনাদের মাঝে আলোচনা করা যাক.........

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই সুন্দরভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরায় দুটি ছবি ক্যামেরা বন্দী করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা সকলে জানেন বেশ কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় ঘুরতে এসেছিল রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু ও ছোট্ট মেয়ে নাশিয়া। আসলে রকি ভাই ফেনী জেলা থেকে আমাদের মেহেরপুর জেলাতে শুধুমাত্র আমাদের সাথে দেখা করার জন্যই এসেছিল আসলে কতটা ভালোবাসে এবং আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকলে এত দূর পথ পাড়ি দিয়ে দেখা করতে আসে আপনারাই একটু ভেবে দেখুন। আমাদের বাড়িতে এসে প্রায় এক সপ্তাহ ছিল রকি ভাই সহ তার পরিবার। তাই আমরা হঠাৎ করে একদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা একটু ঘুরতে বের হব। রকি ভাইরা যেদিন এসেছিল চতুর্থ দিন আমরা কুষ্টিয়া জেলাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দেখতে গিয়েছিলাম। আমরা বাড়ি থেকে মাইক্রো গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরে আমরা টিকিট সংগ্রহ করার জন্য টিকিট কাউন্টারের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তারপরে পায়ে হেঁটে আমরা কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেছিলাম সেই সময়েও বেশ কয়েকটি ছবি আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছি।

আপনারা আবারও উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে কয়েকটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে পৌঁছানোর পরে সেখানে অনেক বড় একটি জায়গা আমরা পুরো জায়গাটি পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেছিলাম। আপনারা উপরের ছবিগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি যেখানে অবস্থিত ছিল আমরা সেখানে যাওয়ার জন্য রাস্তা ধরে হাঁটতে ছিলাম সোনিয়া আপু এবং নাশিয়া আমাদের সামনের দিকে হাঁটতে ছিল তাই চমৎকারভাবে ছবিটাও আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আসলে আমি মনে করি জীবনে মানুষের অনেক স্মৃতি আসবে চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক তবে ভালোবাসার বন্ধন গুলো সারা জীবন স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে এটা সকলেই মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আমি মনে করি। এভাবেই কিছু সময় পায়ে হাঁটার পর আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়িতে এসে পৌঁছেছিলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়ির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দেখার মত জিনিস ছিল সেগুলো আমরা বেশ কিছু সময় ধরে ঘুরে দেখেছিলাম।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারো খুবই সুন্দর ভাবে দুটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আসলে আমরা যেদিন কুষ্টিয়াতে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তার আগের দিন কুষ্টিয়াতে আরো অনেকগুলো স্টিমিট ইউজার ছিল আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি তখন কাজি রায়হান ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছিলাম কাজী রায়হান ভাই কে বলেছিলাম আমাদের সাথে যে সকল ইউজার কাজ করে তাদের সকলকে নিয়ে আসতে কিন্তু তাদের সকলের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততার কারণে হয়তো আসতে পারিনি তবে আমাদের সাথে কাজি রায়হান ভাই দেখা করতে এসেছিল এজন্য আমরা সকলেই বেশ আনন্দিত ছিলাম। আসলে একটা অনলাইন পরিবারের সদস্যরা যখন মুখোমুখি সাক্ষাৎ করে তখন সত্যিই সকলের মাঝে বেশ ভালো লাগা কাজ করে। সব মিলিয়ে আমরা সেই দিন পুরো সময়টা বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম। আশা করি আজকের মত পোস্ট লেখা এখানেই শেষ করছি। আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।