স্মৃতিচারণ মূলক পোস্ট: শৈশবে নানার বাড়িতে কাটানো সেই মধুর স্মৃতি

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বুধবার, ০৭ ই মে ২০২৫ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে শৈশবের কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


photo-1502086223501-7ea6ecd79368.jpeg

Source

শৈশব মানেই এক রঙিন জগৎ। আমার শৈশবের সবচেয়ে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত অধ্যায় জুড়ে রয়েছে নানার বাড়ির স্মৃতি। গ্রীষ্মের ছুটির দিনগুলো এলেই মনটা ছটফট করত, কখন যাব নানার বাড়ি। শহরের কোলাহল ছেড়ে গ্রামের সেই শান্ত পরিবেশে পা রাখামাত্রই একটা অন্যরকম আনন্দে মন ভরে যেত। কাঁচা রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে ছোটার আনন্দ, পুকুরপাড়ে বসে মাছ ধরার চেষ্টা, আর বিকেলের মধুর আলোয় খেলাধুলার সেই সব মুহূর্ত এখনো চোখে ভাসে। এখনো মাঝে মাঝে মনে এসব কথা ভাসলে সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে মন চায়।

নানার বাড়ির উঠোনে বড় জামগাছটা ছিল যেন আমার ছেলেবেলার অজানা এক জগৎ। আমি আর আমার খেলার সাথিরা প্রতিদিন সেই গাছের নিচে জড়ো হতাম। কেউ গল্প বলত, কেউ আবার লুকোচুরি খেলত। দুপুরে নানা ঠান্ডা ঘরে বসে গল্প করতেন, তার মুখে পুরোনো দিনের নানা কাহিনি শুনতে শুনতে কখন যে সময় কেটে যেত বুঝতাম না। নানির হাতের রান্নার স্বাদ এখনো যেন জিভে লেগে আছে। খেজুরের রস দিয়ে বানানো পায়েস কিংবা সরষে ইলিশের ঝাঁঝ, সেই স্বাদ আর কখনো কোথাও পাইনি।

বৃষ্টির দিনে টিনের চালের উপর টুপটাপ শব্দ শুনে জানালার পাশে বসে থাকা ছিল এক অনন্য অভিজ্ঞতা। কখনো কখনো নানা হাত ধরে নিয়ে যেতেন হাটে, আর ফিরতাম হাতে করে লজেন্স, বাতাসা কিংবা ছোট একটা কাঠের খেলনা নিয়ে। রাতে খাটে মশারির ভেতর শুয়ে নানির কোলে মাথা রেখে চাঁদ দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়তাম।আরো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের দুষ্টুমি।আমি প্রায় সময় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসলে আমার নানা নানী কে অনেক বেশি জ্বালাতন করেছিলাম। অনেক সময় তারা বিরক্ত হয়ে আমাকে আমার বাসায় রেখে আসতেন।

আজ এতদিন পর যখন ব্যস্ত জীবনের ঘূর্ণিতে দাঁড়িয়ে ভাবি, তখন সেই দিনগুলোকে মনে হয় এক স্বপ্নের মতো। কতটা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর আনন্দ ছিল সেই দিনগুলোতে, তা বুঝি আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। নানার বাড়ির সেই শৈশব যেন আমার হৃদয়ের এক অমূল্য ধন, যা কোনো কিছুর বিনিময়ে ফিরিয়ে পাওয়া সম্ভব নয়। এখন চাইলে ও আর সেই সব দিনের মধ্যে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন সেগুলো শুধু মাত্র স্মৃতি হয়ে মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে। তবে এসব দিনের কথা কখনো ভোলার মতো নয়। সারাজীবন আমার মনের মধ্যে গেঁথে থাকবে এসব কথা গুলো।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।