গতরাতের প্রতিচ্ছবি

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

শহর থেকে মূলত গ্রামে এসেছি অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে। কেননা ঠান্ডার ভিতরে হীরার একার পক্ষে বাসায় রান্না করা, ব্লগিং করা আবার সঙ্গে বাবুকে সামলানো, তারপরে আবার ঠান্ডা জনিত অসুখ সবার লেগেই আছে। সব মিলিয়ে একদম যা তা সময় যাচ্ছিল। তাই এবার বাধ্য হয়েই কয়েকদিনের জন্য গ্রামে এসেছি।

20240111_202831.jpg

20240111_202844.jpg

ভিডিও লিংক

তাছাড়াও মাসের মধ্যে দুইবার একবারে গ্রামে এসে কয়েকদিনের জন্য কিছুটা সময় নরমালি আমরা কাটিয়ে যাই, তবে এবারের আসাটা কিছুটা বাধ্য হয়েই। গ্রামে আসলে মূলত বাসার মতো চাপ থাকে না, কেননা এখানে বাবুকে দেখাশোনা করার লোক আছে। বলতে গেলে আমরাও কিছুটা নিজেদের মতো করে স্বাধীন ভাবে থাকতে পারি।

আমাদের মফস্বল শহরটা যেহেতু উত্তরবঙ্গে, সেই তুলনায় এবার শহরেও যেমন বেশি ঠান্ডা, ঠিক তেমনটা গ্রামেও একই অবস্থা। হয়তো দু-এক ডিগ্রির তফাৎ মাত্র। যেহেতু গ্রামে অবস্থান করছি আর এখানে ঠান্ডার পরিমাণ অনেকটাই বেশি, তাই গতরাতে হ্যাংআউট করার সময় বেশ ভালই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আমাকে।

এত পরিমাণে ঠান্ডা লাগছিল যা বলে বোঝাতে পারবো না। মানে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যাকে বলে। তার মাঝেই রাত্রিবেলা, দুটো জ্যাকেট তার উপরে কম্বল গায়ে দিয়ে পুরো শরীর একদম ঢেকে, কোনরকমে ল্যাপটপের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে ছিলাম আর হ্যাংআউট পরিচালনা করছিলাম।

যেহেতু এটা আমার কাজ, তাই মূলত কাজের সঙ্গে কোন প্রকার অজুহাত দেওয়া যাবে না। পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, কাজ করতেই হবে এটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়। প্রথমদিকে ভালই ঠান্ডা লাগছিল, তবে পরের দিকে শো যখন একদম পুরোপুরি ভাবে চালু হয়ে গেল, তখন কিছুটা হলেও যেন স্বস্তিবোধ পাচ্ছিলাম।

কাজের ক্ষেত্রে আমি ভীষণ সিরিয়াস, কতটা পরিমান সিরিয়াস তা হয়তো বলে বোঝাতে পারবো না, কেননা এটা দিয়ে আমার রুজি রোজগারের ব্যবস্থা হয়, তাই সব রকম প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতেই হবে এটাই হচ্ছে প্রধান কথা। আমি মনেকরি, শুধু আমি একাই না। আমার কলিগরা যারা আছে বা আমার বাংলা ব্লগের যত সদস্য আছে, সবাই তারা নিজ অবস্থান থেকে ভীষণ দায়িত্বশীল এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান। তাই হয়তো গতরাতে এতো শীতের মাঝেও, সকলের উপস্থিতি আমাদেরকে বেশ ভালই মুগ্ধ করেছিল।

যে কোন পরিবেশে, যে কোন অবস্থাতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার নামই হচ্ছে জীবন। তাছাড়া কাজই যেহেতু আসল মুখ্য ভূমিকা পালন করে, তাই কর্মের জায়গায় অহেতুক অজুহাত দেখানোর কোন মানেই হয় না। আমি একটা বিষয় ভীষণভাবে বিশ্বাস করি, কর্মই হয়তো আমাকে মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে, হয়তো সেটা বর্তমান সময়ে নতুবা আমার অনুপস্থিতিতেও।

যদিও পারিপার্শ্বিক সময়ে, আবহাওয়া সত্যিই অনুকূলে নেই, তারপরেও সবকিছু মানিয়ে সবাই কর্মে মনোনিবেশ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা হয়তো আমার জায়গা থেকে করছি। শুভেচ্ছা রইল সকলের জন্য।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া জীবন যেখানে যেমন। আসলে কর্ম তো কর্মই। আসলে এক সাথে সব করা সত্যি কষ্টকর। আর শীতে বাচ্চাদের একটু সাবধানে না রাখলে অসুস্থ হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে। যাইহোক বেশি শীতে আপনারা গ্রামে এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে শীত যতই হোক গ্রাম বাবুকে দেখার লোক আছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ ভাইয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

মূরত বাবুর কথা চিন্তা করেই গ্রামে আসা আপু, যদিও সবকিছু এখন মোটামুটি ঠিকঠাক আছে।

 2 years ago 

আপনি একদম যথার্থ কথা বলেছেন ভাইয়া, যে কাজের প্রতি কোন রকম অজুহাত করা যাবে না। পরিস্থিতি যেমন হোক না কেন কাজের প্রতি যত্নশীল এবং শ্রদ্ধাশীল হতে হবে যেটা আপনার ছবি এবং পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর ভাবে বোঝা যাচ্ছে। ঠান্ডাটা একটু বেশিই হয়েছে। আপনার যেই কথাটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে কর্মের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকে আজীবন। কথাটি ভাইয়া চিরন্তন সত্য কথা।

 2 years ago 

কর্মই যেখানে মুখ্য বিষয়, সেখানে আসলে অজুহাত দিয়ে লাভ কি বলেন ।

 2 years ago 

হ্যা ভাইয়া ঠিক বলেছেন আপনি।আর আপনাদের থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার বাকি আছে ভাইয়া।

 2 years ago 

উত্তরবঙ্গের গ্রামের শীত কেমন, আমার বেশ ভালোই আইডিয়া রয়েছে। এরচেয়ে একটা মাল্টিপ্লাগ নিয়ে বিছানায় বসে কাজ করা যায় কিনা সেটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তাতে আরেকটু আরাম পাওয়া যেত!

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনার কথায় যুক্তি ছিল, তবে মাল্টিপ্লাগ এখানে নেই।

 2 years ago 

আজকেও অনেক ঠান্ডা পরছে।কম্বল গায়ে দিলেও যেন ঠান্ডা কমে না।আর গতরাতেও খুব ঠান্ডা ছিল। আপনি এভাবে কষ্ট করে পুরো সময়টা আমাদের দিয়েছেন তা দেখে খারাপ লাগছে। তবুও কাজের জায়গায় কাজ তো করতেই হবে।আমরা সবাই নিজেদের কাজের প্রতি আগ্রহী বলেই হয়তো প্রতিকূলতা কাটিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

 2 years ago 

অবশ্যই সবকিছুকে জয় করেই তো, এগিয়ে যেতে হবে, এটাই তো মূখ্য বিষয়।

 2 years ago 

বর্তমানে শীতের পরিমাণটাও বেড়েছে। রাতে বাতাসের সাথে ঘনকুয়াশা সবমিলিয়ে খুবই খারাপ অবস্থা গ্রামে। এতো ঠান্ডার মাঝেও সবকিছু চালিয়ে যাওয়াও কঠিন। যেহেতু কাজ নিয়ে অজুহাত দেয়া মানে নিজের সাথেই অজুহাত দেয়া। আপনার মতো আমারও রুজি রোজগারের জায়গা এটা। বলতে পড়াশোনাসহ একটা পরিবার এখন আমার দিকেই তাকিয়ে থাকে। তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক কাজ চালিয়ে যেতে হবে

 2 years ago 

এটাই ভাই, জীবিকার জন্যই তো সবকিছু।

 2 years ago 

সারা দেশে ঠান্ডা কমবেশি বেশ ভালোই পরেছে। আর আমার জানামতে উত্তরবঙ্গে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। যাইহোক বেশ কষ্ট করেই এবারের হ্যাংআউট পরিচালনা করেছিলেন ভাই। আসলে কাজ নিয়ে কোনো অজুহাত দিলে নিজেরই ক্ষতি হয়। তাই সবসময় যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের কাজ ঠিকঠাক মতো সামলানো উচিত। আমিও কাজের প্রতি সবসময়ই সিরিয়াস। সবসময় চেষ্টা করি যে দিনের কাজ সেদিন সম্পন্ন করার জন্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আপনি যে কাজের প্রতি যথেষ্ট সিরিয়াস, তা কিন্তু আমরা বেশ ভালো করেই জানি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।