আপাতত গ্রামে আছি

in আমার বাংলা ব্লগlast year

গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা আসলে চিন্তার বাহিরে। কোন অবস্থাতেই টিকে থাকা যাচ্ছিল না বাসার ভিতরে। তাছাড়া যে বাসাটাতে থাকি সেটা টিনশেড, প্রচুর পরিমাণে তাপ লাগে ঘরের ভিতরে, এই কয়েকদিনের গরমে মনে হচ্ছিল, আমি যেন কোন গরম চুল্লির ভিতরে আছি।

1000025119.jpg

1000025182.jpg

1000025181.jpg

সবচেয়ে বাবুর অবস্থা ভীষণ নাজুক হয়ে গিয়েছে এই গরমে। গাছপালার তো কোন চিহ্নমাত্র নেই এই শহুরে জীবনে, সব যেন শুধুমাত্র কংক্রিটের জঞ্জাল। এতোদিন তাও কষ্ট করে বেশ সহ্য করেছিলাম, তবে গত দুইদিন থেকে আর কোনভাবেই তা নিতে পারছিলাম না।

অবশেষে একপ্রকার ভাবনাচিন্তা করেই গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি। ইচ্ছে আছে মোটামুটি গরম যতদিন কমেনি, ততদিন এখানে থাকার। এখানেও যে তাপমাত্রা খুব কম তেমনটা না, তবে আর যাইহোক শহরের মতো অতো তীব্র না।

ঘরের জানালা খুললেই পাশে বিশাল আম বাগান, প্রচুর গাছপালা এখানে আর অন্য পাশে সুবিশাল ফসলের জমি। প্রকৃতির শীতল বাতাস জানালা দিয়ে যেন ঘরের ভিতর প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে। বলা যায় শহরের থেকে অনেকটাই প্রশান্তিতে আছি এখন।

নেই কোন অতিরিক্ত চিৎকার চেঁচামেচি কিংবা যানবাহনের শব্দ দূষণ, বড্ড দারুণভাবে এখানকার আবহাওয়াকে মানিয়ে নিয়েছি নিজের সঙ্গে। বই নিয়ে এসেছি তাছাড়াও উকুলেলে তো আছেই, ফুরফুরে মেজাজে অনেকটা সময় ধরে আজ বই পড়েছি, টুংটাং করে গান গেয়েছি দীর্ঘ সময়।

এখানে হয়তো আধুনিকতার খুব একটা ছাপ লাগেনি, তবে নোংরা প্রতিযোগিতা কিংবা বৈষম্য নেই এখানে। নিজেকে নিজের মতো করে দেখছি, ভাবছি কিংবা সময় দেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিবার নিয়েও খুব একটা আহামরি ভাবতে হচ্ছে না, কেননা তাদের সঙ্গ দেওয়ার লোকের অভাব নেই এখানে।

সব মিলিয়ে যদি বলতেই হয়, সময়টা দারুন উপভোগ করছি। শীতলতায় প্রাণ জুড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপাতত আরো কিছুটা দিন এভাবেই সময় কাটাতে চাই এখানে।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

গ্রামে এখনো আধুনিকতার ছাপ লাগেনি বলেই হয়তো এখনো মানুষ প্রশান্তি খুজতে গ্রামের দিকেই ছোটে। কী দারুণ পরিবেশ। জানালা খুললেই গাছপালা সুন্দর বাতাস বয়ে আসছি কোন শব্দ নেই মানুষের পদচারণা নেই। গ্রামে চলে গিয়ে ভালোই করেছেন ভাই। দিনগুলো একটু শান্তিতে অতিবাহিত করতে পারবেন।

 last year 

জি ভাই এমনটা ইচ্ছে আছে, এখানে কয়েকটা দিন একটু শান্তিতে থাকার।

 last year 

বাহ ভাইয়া দারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন ।শহরের তীব্র গরম সত্যিই সহ্য করা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন গাছপালা ঘন জঙ্গলে ভরপুর কোন গ্রামে চলে যাই ।আপনার উদ্যোগটি আমার কাছে দারুন লাগলো। গ্রামে অন্তত শহরের মতো এতটা যানবাহনের শব্দ দূষণও নেই ।আবার গাছপালা হীন তীব্র গরমও সহ্য করতে হবে না। ভাবি এবং বাচ্চারাও বেশ ভালো সময় কাটাতে পারবে। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে মোটামুটি এখন ভালো একটা সময় কাটাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

হীরা ও বাবু এখানে এসে একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছে এবং ফুরফুরে মেজাজে আছে ওরা, আমার সময়টাও বেশ ভালো কাটছে আপু। আপনাদের যদি সুযোগ হয়, আপনারাও গ্রামে চলে যান।

 last year 

না ভাইয়া আমাদের গ্রামে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই, কেননা গ্রামে কেউ নেই। আপনার সময় ভালো কাটুক সেই প্রত্যাশায়।

 last year 

গ্রামের বাড়িতে গেলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। সবুজ প্রকৃতির মাঝে আলাদা একটা রিফ্রেশমেন্ট কাজ করে। আর গ্রামে যেহেতু মানুষ আছে তাই এতো ভাবনা চিন্তারও দরকার পরে না। নিজের মতো করে সময়টা কাটানে যায়। আমার মনে হয় ভালো একটা কাজ করেছেন। গরমের সময়টা এখানেই থেকে গেলে ভালো হবে।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, মোটামুটি চিন্তামুক্ত আছি এখানে এসে, তাছাড়া সময়টাও বেশ দারুণ কাটছে।

 last year 

এই তীব্র গরমে গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা একেবারে পারফেক্ট হয়েছে ভাই। গরম যতই বাড়ুক না কেনো, গ্রামে তুলনামূলক ভাবে গরম কম লাগাটা স্বাভাবিক। কারণ গ্রামে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। তাছাড়া বিকেলে গ্রামের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতে ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটাতে পারবেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, মোটামুটি বেশ প্রশান্তি পাচ্ছি। ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

 last year 

ভাইয়া আপনি শহর ছেড়ে গ্ৰামে ছুটে গিয়েছেন শান্তির আশায় আর আমি তার উল্টো করেছি। গ্ৰাম ছেড়ে শহরে এসেছি শান্তির আশায়। এই গরমে গ্ৰামে লোডশেডিংয়ের অবস্থা খুবই করুণ যার জন্য টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। দিনের বেলায় গাছতলায় বসে দিন কাটালেও রাতের বেলা অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। আইপিএস থাকলেও কারেন্ট না থাকলে চার্জ দেওয়া সমস্যা হয়ে যেতো তারজন্য সেটাও বন্ধ হয়ে যেতো। তবে এটা ঠিক শহরের তুলনায় গ্ৰাম অনেক ভালো। সেখানে নেই কোনো কোলাহল, কলকারখানা ও গাড়ির দূষিত ধোঁয়া। তাই তো গ্ৰামে গেলে মন খুলে প্রাণ খুলে বেঁচে থাকার অক্সিজেন খুঁজে পাওয়া যায়। এই গরমে শহর ছেড়ে গ্ৰামে গিয়ে খুব ভালো করেছেন। নিজে যেমন ভালো থাকা যায় তেমনি বাচ্চারাও খুব ভালো থাকে। আপনার লেখা পড়ে আর ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি খুব ভালো সময় কাটাচ্ছেন।

 last year 

জীবন যেখানে যেমন আপু, তবে আমার সময়টা গ্রামে এসে ভালোই কাটছে।

 last year 

ভাইয়া, খুব ভালো কাজ করেছেন গ্রামের শীতল ছায়া পরিবেশে সময় কাটাতে গিয়ে। যেহেতু ঘরের জানালা খুললেই বিশাল আম বাগান আবার বিস্তৃত ফসলের জমি রয়েছে, তাই নিঃসন্দেহে গ্রামীন প্রকৃতির ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া আপনাকে খুবই শান্তি দিবে। যে গরম পড়েছে তাতে করে ইট পাথরের এই শহরে থাকার চেয়ে না থাকাটাই শ্রেয়। আবার অন্যদিকে গ্রামীন পরিবেশে গিয়ে আমাদের শায়ান বাবু স্বস্তিতে দিন কাটাতে পারবে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করবেন এই প্রত্যাশা করছি ভাইয়া।

 last year 

জি ভাই, সময়টা মোটামুটি বেশ ভালই কাটছে এখানে আসার পরে।

 last year 

যে বাসাটাতে থাকি সেটা টিনশেড, প্রচুর পরিমাণে তাপ লাগে ঘরের ভিতরে, এই কয়েকদিনের গরমে মনে হচ্ছিল, আমি যেন কোন গরম চুল্লির ভিতরে আছি।

এমনিতেই যে প্রচন্ড গরম তাতে টিকে থাকাই অনেক কষ্টের দাদা। তারপর যদি আবার বাড়ি হয় টিনশেড এর তাহলে তো আরো খারাপ অবস্থা হয়ে যাওয়ার কথা আপনাদের। যাইহোক, ভালো করেছেন দাদা সবাইকে নিয়ে গ্রামে চলে এসে। অন্তত এই গরমের কয়দিন একটু শান্তিতে থাকতে পারবেন। আর আপনাদের বাবু যেহেতু অনেক ছোট, সেক্ষেত্রে তারও কষ্টটা কম হবে।