শাপলা অটো হিরো শোরুম গাংনী বাজার, গাংনী মেহেরপুর। আমি আর আমার বন্ধু মারুফ দুজন মিলে গাংনী বাজারে বেশ কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম, কিছুটা জিনিস কেনাকাটা করা হয়ে গেছে ঠিক এই মুহূর্তে আমার শশুর আব্বা হঠাৎ করে একটি মোটরসাইকেল এর পিছন থেকে আমাকে সুমন! বলে ডাক দিয়ে উঠলো। তাকিয়ে দেখলাম রানিং একটি মোটরসাইকেলের পিছনে বসে রয়েছে উনি। আমরাও রানিং অবস্থায় ছিলাম। মারুফকে বললাম মোটরসাইকেলটা বিপরীত দিকে নিয়ে চল, শ্বশুর হঠাৎ করে হেমায়েতপুর বাজার থেকে ৮/১০ কিলো পথ অতিক্রম করে গাংনী বাজারে, রানিং মোটরসাইকেল থেকে ডেকে উঠল কেন? সেটা তো বুঝলাম না। সামনেই ছিল রাজা ক্লিনিক! কারো কোন বিপদ হলো কিনা? সেটাও ঠিক জানা নাই। তাই তাৎক্ষণিকভাবে মারুফ মোটরসাইকেল দক্ষিণ দিক থেকে অর্থাৎ মেহেরপুরের রাস্তা থেকে বামুন্দি কুষ্টিয়ার রাস্তার দিকে ঘুরালো। এরপর দেখলাম আমার শ্বশুর বসে রয়েছে যে মোটরসাইকেলে সেই সাইকেলটা আস্তে আস্তে চলে গেল শাপলা অটো হিরো শোরুমে। তখনই বুঝতে পারলাম আমার ভায়রা ভাই কিছুদিন আগে কুয়েত থেকে বাড়িতে এসেছে সে একটি মোটরসাইকেল কিনবে। যাইহোক আমরা ওখানে উপস্থিত হলাম এবং শশুরের কাছে জানতে চাইলাম উনি তখন বলল তোমার ভাইয়ের একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে তাই সে আগে থেকে এসেছে। আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে। আসতে প্রথমে তোমাকে দেখলাম, ভালো হলো। সবাই একসাথে থাকলে হয়তো একটু ভালো হয়। এই মুহূর্তে বেশ টেনশন মুক্ত হলাম। আমি তো খবরে গিয়েছিলাম। রানিং মোটরসাইকেল এর পিছন থেকে শ্বশুর যেন আমাকে ডাকছে, না জানি কারো কোন দুর্ঘটনা হলো নাকি। আর এই টেনশন টা তখন মাথার ভেতর বড় আকারে কাজ করছিল আমার। গাড়ি থেকে নেমেই শোরুম এর মধ্যে প্রবেশ করলাম, যে দেখি আমার ভায়রাভাই সেখানে বসে রয়েছে। উনার সাথে মতবিনিময় হলো। উনি বলল ভাইয়া দেখতো কোন গাড়ি কিনলে আমার জন্য ভালো হয়। তখন আমি একটু হাসি আসলো, বললাম ভাইয়া গাড়ি সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম বরং আমার সাথে আমার বন্ধু রয়েছে তাকে বলুন ও খুব ভালো এ সম্পর্কে ধারণা রাখে। ঠিক এই মুহূর্তে মারুফ আমার শ্বশুর আর ভায়রাভাই গাড়ি দেখতে থাকলো। আর আমি সবেমাত্র পাশে থেকে ফটোগ্রাফি করলাম।


Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর তারা একটি গাড়ি চয়েস করল যেটা আপনারা প্রথম ফটোগ্রাফিতে দেখেছেন। এই মুহূর্তে গাড়িটার নাম কিন্তু আমার স্মরণে নেই বললেই চলে। যাই হোক তারপর আমরা বসে পড়লাম ম্যানেজারের পাশে। বেশ কথা হল সবার সাথে। শুনতে পারলাম এই শোরুমের মালিক কালো গেঞ্জি গায়ে উনি আমার ভায়রা ভাইয়ের খালাতো ভাই। তখন মনে হল আমি শুধু দূরের মানুষ বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ কি তাই বেশি কথা না বলে শুধু হা হু করে শুনতে থাকলাম মাথা নাড়ালাম।



Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর তারা একটি ম্যামো করে দিল, কিছু টাকা জমা করা হলো বাকি টাকা কুড়ি দিন পরে পরিশোধ করবে এমনটাই বলাবলি করছিল ভাইরা ভাই। মেমো করা শেষ করে গাড়ির চাবি আমার হাতে তুলে দিল। তখন আমি ভাবলাম নতুন গাড়ি চালানোর মোটে ইচ্ছে নেই আমার । কারণ গাড়ি চালানোর দিক থেকে আমি খুবই দুর্বল। খুব কম সংখ্যক গাড়ি চালিয়েছে জীবনে তাই এই মুহূর্তে গাড়ি চালাব তাও আবার মেন রোডে মোটেও আশা করলাম না। এরপর উনারা বলল গাড়িটা সার্ভিসিং করে দিতে হবে।



Photography device: Infinix hot 11s
Location
গাড়িটা সার্ভিসিং করে দেওয়ার জন্য পাশের একটি রুমের মধ্যে নিয়ে গেল। আমরা সেখানে চলে গেলাম। দেখলাম বেশ সুন্দর একটি জায়গা। যেখানে প্রত্যেকটা গাড়ি ভালোভাবে সার্ভিসিং করে দেওয়া হয়,ধুয়ে দেওয়া হয় আরো অনেক কিছু। চেয়ে চেয়ে শুধু দেখলাম তাদের কার্যক্রম গুলো আর ভায়রা ভাইয়ের সাথে এটা সেটা নিয়ে গল্প করতে থাকলাম। এই মুহূর্তে সেখানে আমাদের গ্রামের একটি চাচা উপস্থিত ছিল সেই শোরুমে কি জানি করে সে আমাকে বলে বসল সুমন গাড়ি কিনবা না? আমি তার প্রশ্নের উত্তর দিলাম এভাবে গাড়ি কিভাবে চাচা? তখন সে বলল বাড়িতে একটা গাড়ি নিয়ে গাড়িতে এখন তো পর্যন্ত তোমাদের জন্য। আমি বললাম সেটা না হয় পরে দেখা যাবে। থেকে এভাবেই এক একটা বিষয়ে এক একজনের সাথে কথা চলতে থাকলো ওদিকে গাড়ি সার্ভিসিং শেষ হলো।




Photography device: Infinix hot 11s
Location
গাড়ি সার্ভিসিং শেষে সেই রুমটা থেকে আবার শোরুম এর পাশে নিয়ে এসে দিল। আমরা জানি প্রত্যেকটা গাড়ি দুইটা চাবি থাকে। তারা তখন গাড়িটা রেখে চাবিটা ভাইরা ভাইয়ের হাতে তুলে দিল ঠিক এই মুহূর্তে স্মরণ হলো আমার হাতেও তো একটি চাবি দিয়েছিল। যেহেতু আমার ভাইরা ভাইয়ের বাড়ি আমাদের বাসা থেকে ২০ ২৫ কিলো দূরে তাই স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে চাবিটা তার হাতে দিয়ে দিলাম। কারণ আমি তো তাদের সাথে যাচ্ছি না বা হঠাৎ মনে না থাকলে আবার সমস্যা রয়েছে অত দূরে কে চাবি দিতে যাবে। আমি আমার শশুর আব্বাকে বললাম আব্বা ভাইয়া বাইরে থেকে এসেছে এই রোডে মোটরসাইকেল চালানোর অভ্যাস যেহেতু তার নেই আপনি চালিয়ে নিয়ে যান তাকে। উনি বললেন আমি শুধু আমার হেমায়েতপুর বাজার পর্যন্ত তাকে নিয়ে যাব তারপর তাকে গাড়িসহ ছেড়ে দেবো বাড়ি চলে যাও আমার এখন বেশি সময় নেই অনেক সময় লস হলো। আমি খেয়াল করে দেখলাম আমারও অনেক সময় গেল যেহেতু আমার আরো কিছু কেনাকাটা রয়েছে, এদিকে সন্ধা লেগে যাচ্ছে। ওদিকে বিকেল টাইমে মাছের খাবার দিতে হবে সে সময়টা হয়তো আর পাবো না। এভাবেই তাদেরকে বিদায় দিয়ে দিলাম এবং মোটরসাইকেল কেনার পর্ব সম্পন্ন হল।



Photography device: Infinix hot 11s
Location
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

বেশ ভালোই করলেন তাহলে অনেক সুন্দর মোটর সাইকেলটি কিনলেন। তবে কোন কিছু কেনাকাটা করতে হলে দেখে শোনে কেনা ভাল। একটু ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখেছেন ভাল হলো। নিজের জিনিস নিজে ভালোমতো বুঝে কেনা ভালো। অযথা অন্যের মতামত না দেওয়ায় ভাল তবে সহযোগিতা অনেক করলেন। মোটরসাইকেল দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। বিস্তারিত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জতটা পারলাম সহযোগিতা করলাম ভাইয়ের ভাইকে
গাংনী বাজার থেকে ভায়রা ভাইয়ের মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার অনুভূতি পড়ে ভালই লাগলো। এক লাখ আটত্রিশ হাজার টাকা নিলো। হিরো মটরসাইকেল ভালোই সার্ভিস দেয়। ধন্যবাদ।
জি ভাই সেটাই শুনেছি
হিরো গ্ল্যামার বাইকটি আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। হিরো গ্ল্যামার বাইক নিয়ে আমি একদিন কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা গিয়েছিলাম এবং ওই দিনই ব্যাক করেছিলাম। আমার কখনো মনে হয়েছিল না আমি ১২৫ সিসির কোন বাইক চালাচ্ছি। আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মাধ্যমে মোটরসাইকেলের আসল নামটা জানতে পারলাম যা শরনে ছিল না
আপনি তো দেখছি আপনার ভাইরা ভাইয়ের জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেললেন। অনেকদিন থেকে আমিও চিন্তা ভাবনা করছি যে একটা মোটরসাইকেল কিনব কিন্তু কি মোটরসাইকেল কিনব সেই বিষয়টাই ভাবতে পারছি না। মোটরসাইকেল টার দাম ও তো দেখছি অনেক বেশি।
হ্যাঁ প্রায় দেড় লাখ