সহজ পদ্ধতিতে ঘরোয়া মোগলাই রেসিপি।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
আমাদের রান্নাঘরে মাঝে মাঝে এমন কিছু তৈরি হয় যা বাইরে খাওয়া জনপ্রিয় খাবারকেও হার মানায়। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি একদম ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা এক স্বাদবহুল মোগলাই রেসিপি। যেটা আমি নিজে বানিয়েছি। ময়দা দিয়ে ডো তৈরি করে, তার ভেতরে ডিম, পেঁয়াজ আর মসলা ভরে তেলে ভেজে বানানো হয়েছে এই দারুণ খাবারটি। চাইলে বিকেলের নাস্তায় বা অতিথি আপ্যায়নে এটি সহজেই পরিবেশন করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
পরোটার ডো-এর জন্য:
ময়দা – ২ কাপ
লবণ – ১ চা চামচ
তেল – ১ টেবিল চামচ
পানি – ডো মাখানোর জন্য পরিমাণমতো।
পুরের জন্য:
ডিম – ২টি, প্রয়োজনে বেশি দেওয়া যেতে পারে।
পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি – ২টি
ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
লবণ – স্বাদমতো
হালকা গরম মসলা গুঁড়া – ১/৪ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া – সামান্য
ভাজার জন্য:
পরিমাণমতো তেল
রান্নার ধাপ সমূহ-
১. ডো তৈরি:
একটি বড় পাত্রে ময়দা, লবণ, এবং তেল মিশিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নরম একটি ডো তৈরি করতে হবে। ঢেকে রেখে দিতে হবে ২০-৩০ মিনিট।
২. পুর তৈরির পদ্ধতি :
একটি বাটিতে ডিম ফাটিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, লবণ ও মসলা দিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে।
৩. পরোটা গঠন:
ডো থেকে ছোট ছোট ভাগ কেটে বল বানাতে হবে। প্রতিটি বল হাত দিয়ে চ্যাপ্টা করে বেলুনে পাতলা করে নিতে হবে।
এবার মাঝখানে ডিমের মিশ্রণ দিলাম এবং চারদিক থেকে ভাঁজ করে মুড়িয়ে দিলাম যেন পুর বের না হয়।
চাইলে ছোট প্যাকেটের মতো করে বানানো যেতে পারে।
৪. ভাজা:
এবার মাঝারি আঁচে তেল গরম করে একে একে পরোটাগুলো সোনালি কালারে ভেজে নিবো। ভিতরের ডিম যেন ভালোভাবে সেট হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করে নিতে হবে।
পরিবেশন:
গরম গরম মোগলাই পরিবেশন করলাম টমেটো সস, শসা, পেঁয়াজ, লেবু এবং ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে। চাইলে একটু চাটমশলা ছিটিয়ে দিলেও দারুণ লাগে।
টিপস:
পুরে কিমা বা সবজিও যোগ করতে পারেন নিজের পছন্দমতো। ডো খুব বেশি শক্ত বা নরম হলে ভালোভাবে মুড়িয়ে রাখা মুশকিল হতে পারে। চাইলে একবার চুলায় হালকা ভেজে আবার ওভেনে বা গ্যাসে গরম করে সার্ভ করা যায়।
ব্যক্তিগত অনুভব:
এই রেসিপিটি আমি নিজে বানিয়েছি এবং ফাইনাল প্লেটিংয়ের সময় শসা, পেঁয়াজ, সস দিয়ে পরিবেশন করেছি। স্বাদে যেমন মজা, দেখতে তেমন সুন্দর! পরিবার-পরিজনের জন্য এটা একটি পারফেক্ট বিকেলের খাবার।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
মোগলাই আমার খুব পছন্দের।বিকেল বেলা গরম গরম তেলে ভাজ নাস্তা খেতে ভালোই লাগে। রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন যে কেউ এটি সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে। মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এখন বৃষ্টি পড়ছে মোগলাই খেলে ভালোই লাগবে।
আমার নিজের কাছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে কোন জিনিস খেতে এমনিতেও বেশ ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় মজাদার মোগলাই তাহলে তো আরো ভালো লাগে। কারণ মোগলাই আমার অনেক পছন্দের। আমি তো প্রায়ই মাঝেমধ্যে মোগলাই তৈরি করি বাড়িতে। আজকে আপনার মোগলাই তৈরি করা দেখে মনে হচ্ছে খেতে হবে আবারও। যাইহোক এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মোগলাই সত্যি লোভনীয় একটি রেসিপি।
মোগলাই খেতে খুবই ভালো লাগে। আর সুন্দর করে আপনি উপস্থাপন করেছেন ভাই। এভাবে তৈরি করে সার্ভ করলে সবাই পছন্দ করবে। অসাধারণ হয়েছে রেসিপি।
জী ভাই চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
এত মজার রেসিপি শেয়ার করলে লোভ সামলানো মুশকিল। আমিও এই রেসিপিটা ভালোভাবে শিখে নিলাম ভাইয়া। অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো।
মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
https://x.com/RamimHa74448648/status/1949890132246769823?t=BtGwyViNQPySC9mFJEa6WQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1949890709403947172?t=bX9j98EVBBcl3oG7gyGSdg&s=19
এরকম মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলিয়ে থাকা যায় না। আপনি তো লোভ লাগিয়ে দিলেন মজাদার একটা রেসিপি দেখিয়ে। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। এই রেসিপিটা কম বেশি সবাই পছন্দ করে বলে আমার মনে হয়। তবে আমার কিন্তু খুবই ফেভারিট। মনে তো হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন। দেখে খুব ভালো লাগলো রেসিপিটা।