ছোটদের উৎসাহ দিতে হয়!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমাদের সমাজে কিছু কিছু ব্যাপার দেখলে আমার সত্যি খুব বিরক্ত লাগে। কারণ যে ব্যাপারগুলো আসলে আমরা চাই। সেই ব্যাপারগুলো বেশিরভাগ দেখে যে দেশের বাইরে খুব সুন্দরভাবে করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের দিকে যদি তাকাই। তাহলে আসলে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা বলি কিংবা সমাজব্যবস্থা যাই বলি না কেনো। সবকিছুই যেনো একেবারে মানুষের বিপরীতে অবস্থান করছে।অর্থাৎ একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হলো, যেকোনো সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা এই ব্যবস্থা গুলো তৈরি হয় মানুষের জন্য। কিন্তু এই ব্যাপারগুলো আমাদের এখানে এমন ভাবে তৈরি করা। এগুলো যেনো একেবারে আমাদের বিপরীতে থাকে কিংবা আমাদের বিপক্ষে থাকে তেমনভাবে।

যেমন একটা ব্যাপার আমি সব সময় দেখি যে, আমাদের দেশে অর্থাৎ এশিয়ান কান্ট্রি গুলোতে আসলে ছোটদের কে সেভাবে উৎসাহ দেওয়া হয় না। অর্থাৎ তাদের উপরে সব সময় সবকিছু সময়ের আগে চাপিয়ে দেওয়া হয়। যেটা আসলে অনেক বেশি বিরক্তিকর আমার কাছে মনে হয়। কারণ একটা বয়স পর্যন্ত যদি আসলে আমরা একটা মোটিভেশান না পাই। তাহলে আসলে একটা বয়স পরে আমাদের মোটিভেশন হারিয়ে যাই এবং আমরা ডিমোটিভেট হতে থাকি এবং যেটার সম্পূর্ণ প্রভাব পরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।

কারণ ছোটবেলা থেকেই আসলে সব কিছু তো উৎসাহ দিতে হয়। কিন্তু যেমন ধরুন আমি একটা একেবারে সামান্য ব্যাপার কম্পেয়ার করলে আপনারা ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। যখন আমাদের ঘরের কোনো ছোট বাচ্চা একটু একটু করে বড় হয়। তখন কিন্তু তারা প্রথমে শুরুতেই দেয়ালে আঁকা আঁকি করতে অনেক বেশি পছন্দ করে এবং সেখানে আমাদের বাঙালি বাবা মায়েদের অনেক বড় বিপত্তি থাকে কিংবা বিরক্তি থাকে এবং বাচ্চাকে মেরে ধরে হলেও সেই কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু আমি অনেক দেশের বাবা-মা এদের দেখেছি যে উনারা এই ব্যাপারটি এনজয় করে এবং উনারা নিজেরাই এটাকে আরো বেশি মোটিভেট করে যেনো বাচ্চাগুলো আরো সুন্দরভাবে আঁকাআঁকি করে। সেটা দেওয়ালে হোক আর যেখানেই হোক না কেনো। অর্থাৎ ব্যাপার গুলো আপনারাই দেখুন ওই বাচ্চাটি একেবারে শুরু থেকেই মোটিভেট পাচ্ছে ড্রইং করার জন্য, সুন্দর ভাবে আর্ট করার জন্য। যেখানে আমাদের ঘরের বাচ্চাদের ভয় পেতে হচ্ছে আর্ট করার জন্য। যেহেতু সেটা সে দেওয়ালে করছে তাই। অর্থাৎ সবকিছুই এমন আসলে আমার বলার একটা মাত্র উদ্দেশ্য হলো, ছোটদের সবসময় উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তারা যদি অন্যায় কোনো কিছু করেও ফেলে। তাও সেটা তাদেরকে সুন্দরভাবে দেখানো উচিত।

কারণ একটা বয়স পরে অবশ্যই মানুষের ভালো খারাপ, সঠিক, ভুল এইসব এর জ্ঞান বুদ্ধি চলে আসে। তখন পর্যন্ত আমি মনে করি মানুষকে একটু উৎসাহ দেওয়া উচিত তার ভালো কাজগুলোর জন্য এবং খারাপ কাজ গুলো কিভাবে ভালো কাজের রূপান্তরিত করবে সেটা শেখানো উচিত। কারণ উৎসাহ পেলে একজন মানুষ অনেক ভালো কিছু করতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।