১ম পর্ব ||ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে!

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)

19-04-2025

০৬ বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হচ্ছে প্রথম কথা। আর সে সুস্থ্যতা থাকার জন্য মাঝে মাঝে বিনোদনের প্রয়োজন আছে। সেটা হতে পারে কোনো কিছু দেখে, খেলাধুলা করে অথবা ট্যুরের মাধ্যমে। গতকালকে থেকেই আমি অসুস্থ ছিলাম। প্রচন্ড রকমের ঠান্ডা লেগে যায় সেই সাথে জ্বর অনুভব করছিলাম। তো রাতে হঠাৎ করেই একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসে। ফোন দিয়ে বলে ডুয়েটে ফার্স্ট ইয়ার কি না। তারপর বললাম ফার্স্ট ইয়ার। তারপর বললো ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে একটা ট্যুরের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে ফার্স্ট ইয়ারদের কেন্দ্র করেই ট্যুরটা আয়োজন করা হয়েছে। তো আমি বলছিলাম শরীর ভালো হলে যাবো। সকাল নয়টায় ডুয়েট গেইটের সামনে বাস দাঁড়াবে। সেখান থেকে যাবে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে। তো ভাওয়াল জাতীয় উদ্যনে কখনো যাওয়া হয়নি আমার। আর আজকে যেহেতু শনিবার ছিল এদিন ভার্সিটি ও বন্ধ থাকে তাই ভাবলাম সকালে গেলে ভালোই লাগবে।

IMG20250419115031.jpg

IMG20250419114849.jpg

এই ট্যুরটা আয়োজন করেছিল ফেনীর একটি সংগঠন সেটি হলো মাতামুহুরি। ভার্সিটিতে জেলা ভিত্তিক একটা সংগঠন থাকেই। সংগঠন খুব উপকারে আসবে। কারণ আমরা ডুয়েটে অনেকের সাথেই এখনও পরিচিত নয়! ফেনী পলিটেকনিক থেকে পড়েছি। এখন ফেনী পলিটেকনিক এর বড় ভাইদের চিনি না! যারা কি না ডুয়েটে আছে। ট্যুরের মাধ্যমে ভাইদের সাথে একটা পরিচয় হয়ে যাবে। সেজন্য সকাল নয়টায় আমার বন্ধু নাসিমকে ফোন দিয়ে বললাম ট্যুরে যায়। সে আমাকে আগেই বলে রাখছিল আমি গেলে যেন তাকে বলি! সকাল নয়টায় ডুয়েটের সামনে বাস চলে আসবে। আমাদের বলেছিল সকাল নয়টায় যদি যায় ডুয়েটের এখানে চলে আসতে। তো সকাল সকাল শরীরটাও ভালো লাগছিল। ফ্রেশ হয়ে চলে এলাম ডুয়েটের সামনে। ডুয়েটে এসে দেখি সবাই হাজির এখানে! সকাল সকাল কেউ নাস্তা করে বের হয়নি। তো সবাই আমরা নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা করার পরেই বাস চলে আসে। তারপর আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম তারা একটা ফটোসেশন করলো।

IMG20250419120106.jpg

IMG20250419120102.jpg

তো আমরা ফটোসেশন করে বাসে উঠে পরলাম। গাজীপুর থেকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে যেতে বেশি সময় লাগে না। তো আমরা বাসে উঠতেই বাস ছেড়ে দিল। বাস ছাড়ার কর বড় ভাইদের সাথে মজা করতে করতে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের এখানে চলে আসলাম। আসতে আসতে ঘড়িতে তখন ১১ টা বেজে যায়। রওনা দিয়েছিলাম সাড়ে দশটার একটু আগে। তো আমরা যখন ভাওয়াল জাতীয় উদ্যনে যায় তখন দেখতে পেলাম ট্যুরিস্ট পুলিশ আসে সেখানে। পুলিশ এসে আমাদের কিছু কথা বলে। জঙ্গলের ভিতরে না যাওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট করে। আর দুজন দুজন করে যেন কোথাও না যায়। সবাই একসাথে থাকার জন্য বলে। তো বড় ভাই একজন পুলিশের নাম্বারটা নিয়ে নেয়। আমরা ওয়াচ টাওয়ারের এখানে যাবো সবাই। তারপর জঙ্গলের ভিতরে রাস্তা ধরে আমরা হাটঁতে থাকলাম! হাটঁতে হাটঁতে চলে এলাম ওয়াশ টাওয়ারে কাছে। জঙ্গলের ভিতরের গাছগুলো নতুন মনে হলো। নতুন পাতা গজাচ্ছে প্রত্যেক গাছে।

IMG20250419120059.jpg

IMG20250419121024.jpg

ওয়াচ টাওয়ারের এখানে গিয়ে দেখি আরও অনেকেই এখানে এসেছে ঘুরতে। বিশেষ করে কাপলদের বেশি লক্ষ্য করলাম। তো আমরা সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম কিছু বানর ছুটাছুটি করছে। আমরা আগে থেকেই প্লেন করে ব্যট বল নিয়ে এসেছিলাম। পিকনিকে এসে খেলাধুলা করলে ভালোই লাগবে। শুরুতেই একটা বিশেষ খেলার আয়োজন করা হয়। পরিচিতি পর্বের খেলা। সবাই হাতে হাত ধরে গোল করে দাড়ায়ঁ। তারপর বল হাতে একজন একজন করে নিজের নাম ও ডিপার্টমেন্ট বলে। এভাবে তিন মিনিট বল দিয়ে সার্কেল করে চলবে। তারপর রেনডমলি একজনকে বল দেয়া হবে। তারপর সে যাকে বল ক্যচ দেয় মানে যে বল দিল তার মান ও ডিপার্টমেন্ট বলতে হবে অন্যথায় গেম থেকে বাদ হয়ে যাবে। খেলাটা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো। কারণ খেলার মাধ্যমে বড় ভাইদের পরিচিতি পর্বটা জানতে পারবো!

চলবে,,,,,

DeviceOppo A12
Photographer@haideremtiaz
LocationW3w


10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।