নাটক রিভিউ || মেঘ হবো
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে মেঘ হবো। এই নাটকটি কয়েকদিন আগে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে খায়রুল বাশার এবং সাদিয়া আয়মান। এই নাটকটি একেবারে বাস্তব সম্মত,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | মেঘ হবো |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মাবরুর রশিদ বান্নাহ |
অভিনয়ে | খায়রুল বাশার,সাদিয়া আয়মান,সতীর্থ রহমান,শামীম আহমেদ,রাশেদ আমরান,নীরব এবং আরও অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ১০ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, খায়রুল বাশার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয় এবং ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে সে সিনিয়রদের র্যাগিং এর শিকার হয় এবং তখন সে নাটকের নায়িকা সাদিয়া আয়মানকে দেখতে পায়। অর্থাৎ তারা দু'জন একই ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। তো দেখামাত্রই সাদিয়া আয়মানকে পছন্দ করে ফেলে খায়রুল বাশার। দূর থেকে সে প্রতিদিনই সাদিয়াকে দেখতো। হঠাৎ করে সাদিয়া একদিন রিকশা থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পায় এবং বাশার স্পটে দৌড়ে যায়। তারপর সাদিয়াকে বেশ হেল্প করে এবং এতে করে সাদিয়া বুঝতে পারে, বাশার খুব পছন্দ করে তাকে। তারপর থেকে তারা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতো এবং ধীরে ধীরে তারা একে অপরকে মনে মনে ভালোবাসতে শুরু করে। তো ইউনিভার্সিটির এক সিনিয়র ভাই,বাশারের পরীক্ষার দিন ইচ্ছে করে তাকে রাস্তায় আটকে রাখে অর্থাৎ র্যাগ দেয়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এতে করে বাশারের পরীক্ষা খুব খারাপ হয় এবং সে এক পর্যায়ে সাদিয়ার সাথে র্যাগিং এর ব্যাপারটা শেয়ার করে। তো সাদিয়া তার বড় ভাইয়ের কাছে এসব শেয়ার করে এবং সাদিয়ার ভাই সবাইকে বলে দেয়,বাশার তার ছোট ভাই। তারপর থেকে বাশারকে আর কেউ র্যাগিং করে না। কারণ সাদিয়ার ভাই হচ্ছে প্রভাবশালী লোক এবং তাকে অনেকেই ভয় পায়। তো বাশার ঠিক করেছে, পহেলা বৈশাখে সাদিয়াকে প্রপোজ করবে ইউনিভার্সিটির সবার সামনে। সেদিন সাদিয়া শাড়ি পড়ে এসেছে এবং সাদিয়াকে নিয়ে সবাই কানাঘুঁষা করছে। বাশার পাঞ্জাবি পড়ে সেখানে যাওয়ার পর, সাদিয়াকে দেখে ভীষণ খুশি হয়। কিন্তু তার খুশি মুহূর্তের মধ্যেই হারিয়ে যায়। সাদিয়ার ছবি কেউ এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নগ্ন করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
এতে করে সবাই ভাবছে সাদিয়া খুবই বাজে মেয়ে। যদিও সাদিয়া বারবার বলছে এই ছবির মেয়েটা সে না। কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করেনি। এটা যখন সাদিয়ার ভাই এবং তার পরিবার জানতে পারে,তখন সবাই সাদিয়াকে ভুল বুঝে এবং তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। সাদিয়া পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার বাশারকে বলেছে সেটা। কিন্তু বাশারও সাদিয়ার কথা বিশ্বাস করে না। পরবর্তীতে সাদিয়া বাসার ছাঁদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। সাদিয়ার মৃত্যুর পর প্রমাণিত হয়,তাদের ইউনিভার্সিটির সেই সিনিয়র ভাই সেই বাজে কাজটা করেছে। অর্থাৎ বাশারের জীবনটা নষ্ট করার জন্য। তারপর পুলিশ সেই সিনিয়র ভাইকে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাশার অনেকটা পাগলের মতো হয়ে যায়। মোটকথা তার জীবনটা একেবারে এলোমেলো হয়ে যায়।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে ইউনিভার্সিটিতে যখন নিউ কামারেরা যায়, তখন অনেক সিনিয়ররা র্যাগিং করে থাকে এবং এটা অনেক সময় একেবারে বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এতে করে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সেদিন পত্রিকাকেও এমনটা দেখলাম। যাইহোক র্যাগিং করা আসলেই উচিত নয়। মূলত এই নাটকে র্যাগিং এর কারণেই শত্রুতার সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে বাশারের জীবনটা নষ্ট করার জন্য, সাদিয়ার ছবি নগ্ন করে ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ভাই। এতে করে সাদিয়া আত্নহত্যা করে এবং বাশার সেই শোকে পাগলের মতো হয়ে যায়। মোটকথা এতো সুন্দর একটি ভালোবাসার সম্পর্ক একেবারে শেষ হয়ে যায়। নাটকটি দেখে সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। আসলে প্রযুক্তি যেমন ভালো কাজে ব্যবহার করা যায়, তেমনি খারাপ কাজেও ব্যবহার করা যায়। তবে আমাদের উচিত সবসময় প্রযুক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার করা। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। যাইহোক সবাই বেশ ভালো অভিনয় করেছে। সবমিলিয়ে নাটকটি বেশ উপভোগ করেছি।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৩.১০.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1973798309258276956?t=etZ-IxZZ7dXN12vEg4xj5A&s=19
X-promotion
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আজকে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। নাটকটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। নাটকটা না দেখা হলেও রিভিউটা পড়ে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জেনে খুব ভালো লাগলো, নাটকের রিভিউ পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। সবসময় সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি দেখছি মেঘ হবো নাটকটি সুন্দর করে রিভিউ করেছেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক জায়গাতে যারা নতুন যায় তাদের সাথে অনেকে বাজে ব্যবহার করে। তবে নাটকটি আমার দেখা হয় নাই। এরকম ভালোবাসার কষ্টের নাটক দেখতে ভালো লাগে আবার অনেক কিছু অনুভূতি ও করা যায়। ভালো লাগলো আপনার নাটকটি রিভিউ পোস্ট দেখে।
আসলে এই ধরনের ব্যবহার কারোরই কাম্য নয়। নাটকের কাহিনী একেবারে বাস্তব সম্মত। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় আপনারা সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ করে থাকেন। চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে সবসময়ই চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে। এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার শেয়ার করা এই নাটকের রিভিউ খুবই সুন্দর হয়েছে। যেভাবে আপনি এখানে এই নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ একই সাথে এখানে নাটকের রিভিউ এর মধ্য দিয়ে আপনি নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনাকে খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷