||নাটক রিভিউ:-অনুতপ্ত||

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-অনুতপ্ত" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-অনুতপ্ত আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন পোস্ট নিয়ে আসার।তো প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে নাটক রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার।আসলে বাংলা এইরকম রোমান্টিক নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।আর আমি বেশির ভাগ মুশফিক আর ফারহানের নাটক অনেক দেখি।বলতে গেলে ফারহানের ভক্ত আমি এবং তার অভিনয় গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।তো আজকে যে নাটক টি শেয়ার করব এই নাটকটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল যার কারণে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা।এর আগেও এই নায়কের আমি অনেক গুলো নাটক দেখছি কিন্তু এই নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আশা করছি আমার নাটকের রিভিউ পড়ে আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	অনুতপ্ত
অভিনয়	পার্থ শেখ,মালাইকা চৌধুরী,আরো অনেকে
পরিচালক	কে এম সোহাগ রানা
মুক্তির তারিখ	২৭শে জুলাই ২০২৫
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৫২:৫৬

---

---

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতে নায়ক নায়িকাকে অনেক পছন্দ করে এবং প্রতিদিন তার সঙ্গে দেখা করে।কিন্তু সে কোনভাবেই মুখ খুলে তার ভালোবাসার কথা বলতে পারিনি।এইভাবে প্রায় দিনে তার সাথে দেখা করে এবং তার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।তো একদিন সাহস করে তার সামনে যায় এবং তার হাতে গোলাপ ফুল নিয়ে তার সামনে দাঁড়ায়।তো এইভাবে যখন তার পিছু লাগলো,মেয়েটি সবকিছু বুঝতে পারল এবং মেয়েটিও তাকে মনে মনে অনেক ভালোবাসতো।তো এই দিকে নায়কের বাবা একটি চাকরি করে।কিন্তু চাকরিটি হচ্ছে যে অফিসের নাম করে সে অন্য একটি কোম্পানিতে সেলম্যানের চাকরি করে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইভাবে প্রায় দিন নায়কের বাবা অফিসের নাম করে অন্য একটি চাকরি করে।কিন্তু এই খবরটি তার ছেলেও জানতো না এবং তার বউ জানতো না।কিন্তু তার বাবা যা করতেছে সবকিছু তার ছেলের জন্যই করতেছিল।তো একদিন সেলম্যানের ডিউটি করতে গিয়ে নায়কের সামনে তার বাবাকে দেখতে পায়।সে বিষয়টি দেখার পরে চুপচাপ থাকলো এবং দিনের পর দিন তাকে ফলো করলো।কিন্তু সেও মুখ খোলেনি।তো এইভাবে যখন প্রতিদিন তাকে ফলো করে দেখে যে তার বাবা এত পরিমাণ কষ্ট করে এবং পরিশ্রম করে যেটা দেখে সে কান্না ধরে রাখতে পারল না।তখন থেকে বাসায় এসে তার বাবাকে না বলিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরল এবং কান্না করা শুরু করলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো তার ছেলে যখন সবকিছু বুঝতে পারল তখন তার বাবাকে বলল যে, বাবা আমি একটি লাইফটাইম জব করবো।কিন্তু তার বাবা বলল যে তোকে এখন কোন চাকরি করতে হবে না।আমি যতদিন আছি কষ্ট করে হলেও তোকে পড়াশোনা করাবো। তুই পড়া।শুনায় মন দে।কিন্তু তার বাবার কষ্ট সে সহ্য করতে না পেরে সে ডিসিশন নিলে রাইড শিয়ারিং করার জন্য।তো এইভাবে সে তার কাজে লেগে পরলো।এভরকম প্রতিদিন সে রাইড শেয়ারিং করতো।কিন্তু ঠিক তার বাবার চোখে সে ধরা পড়ে।তার বাবা যখন এই দৃশ্যটি দেখে সে অনেক কষ্ট পেলো।তারপর বাসায় এসে তাকে জিজ্ঞেস করে।তখন তার তার বাবার কথার উত্তরে সে বলল যে,বাবার যদি চাকরির নাম করে।সেলম্যানের জব করতে পারে তাহলে আমি ছেলে হয়ে কেন রাইড রাশিয়াং করতে পারবো না।এই বিষয় গুলি যখন তার মা জানতে পারলো সে অনেক কান্না করলো।তারপর তারা সবাই একসঙ্গে একত্রিত হলো।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

এইদিকে নায়ক যাকে ভালোবাসতো, নায়িকা তাকে বলল যে দেখো আমি এইভাবে লুকিয়ে চাপিয়ে প্রেম করতে পারবো না।তখন নায়িকা বলে যে তুমি আমার বাবার কাছে সবকিছু খুলে বলো এবং তার সাথে দেখা করো।এখন তাকে সবকিছু এড্রেস দিলে,কিন্তু সে জানতো না যে তার বাবা ওখানে জব করবো।আর মেয়ের বাবা তার মালিক হবে এটা জানতো না সে।সে ওই অ্যাড্রেস অনুযায়ী তার বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।এবং তাকে সবকিছু খুলে বললো।তখন তার বাবা বলল যে তোমার বাবাকে ডেকে নিয়ে আসো আমি কথা বলবো।সঙ্গে সঙ্গে নায়ক তার বাবাকে মেয়েটির বাবার সামনে নিয়ে আসলো।কিন্তু সেও জানতো না যে,ছেলেটির বাবা এ হবে এবং মেয়েটির বাবা এই লোক হবে।তারপর অনেক ঝগড়া শুরু হলো এবং অপমান করা শুরু করলো।তো পরের দিন নায়িকা এবং নায়িকার মা সবকিছু বলল এবং তার কথা অনুযায়ী তারা নায়কের বাবার কাছে আত্মীয়র প্রস্তাব নিয়ে চলে যায়।এরপর সব কিছু কথাবার্তা হয়ে গেল এবং তারা সবাই সবাই কে মাফ করে দিলে।এবং তাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো।নাটক টি এখানেই শেষ হয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।এবং লক্ষ্য করলে নাটকের মধ্যে অনেক শিক্ষানীয় কাহিনী রয়েছে।যেমন প্রতিটা বাবা তার সন্তানকে ভালো রাখার জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করে চলে যায়।কিন্তু এই পরিশ্রম তারা কোনভাবেই তার পরিবারকে জানাতে চায় না।ঠিক তেমনি এই নাটকের মধ্যে এই দৃশ্যটি তারা ফুটে তুলেছে।যাইহোক এই নাটকটি আপনারা দেখলে সব কিছু বুঝতে পারবেন এবং আশা করছি সবার কাছে নাটকটি ভালো লাগবে।তো আজকের মত আমি এখানেই বিদায় নিলাম।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/১০