বাংলাদেশি জনপ্রিয় ধারাবাহিক “চিটার এন্ড জেন্টেলম্যান” ক্রমে পরিণত হচ্ছে এমন এক নাটকে, যেটি দর্শকদের হাসির পাশাপাশি চিন্তার খোরাকও দিচ্ছে। এর ৩৫ তম পর্বে গল্পের গতি, চরিত্রগুলোর মানসিক দ্বন্দ্ব এবং চমকপ্রদ মোড় দর্শকদের বেশ আলোড়িত করেছে।৩৫ তম পর্বে দেখা যায়, আগের পর্বে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি এবার নতুন রূপ নিচ্ছে।

“চিটার” চরিত্রটি এবার যেন একটু ভিন্ন পথে হাঁটছে—যেখানে তার বুদ্ধি ও ঠাণ্ডা মাথার কৌশলের পাশাপাশি এক ধরনের আবেগের ছোঁয়াও দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে “জেন্টেলম্যান” চরিত্রটি তার নীতিবোধ ও সততার কারণে নতুন সমস্যায় পড়েছে।একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে দেখা যায়, দুজনের মুখোমুখি কথোপকথন পুরো পর্বের কেন্দ্রবিন্দু। এখানেই দর্শক বুঝতে পারে, নাটকের আসল দ্বন্দ্ব কেবল “চিটিং” বা “ভদ্রতা”-র লড়াই নয়, বরং মানুষের প্রকৃত স্বরূপ বোঝার চেষ্টা।

সংলাপগুলো বেশ বাস্তবধর্মী ও প্রাঞ্জল। বিশেষ করে “চিটার”-এর ব্যঙ্গাত্মক কথা আর “জেন্টেলম্যান”-এর সংযত প্রতিক্রিয়া পুরো দৃশ্যকে প্রাণবন্ত করেছে।দুজন প্রধান চরিত্রের অভিনয় নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। চিটার চরিত্রে অভিনয়কারীর চোখের এক্সপ্রেশন ও দুষ্টু হাসি গল্পে প্রাণ এনে দিয়েছে। জেন্টেলম্যান চরিত্রে অভিনয়কারীর সংযমী অভিনয় দর্শকের সহানুভূতি অর্জন করেছে।পরিচালক পর্বটি উপস্থাপন করেছেন একটি স্মার্ট ছন্দে।

ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল ও লাইটিং ব্যবহার নাটকের আবহকে আরও জোরালো করেছে।কিছু অংশে গল্পের গতি একটু ধীর মনে হয়েছে। পাশাপাশি একটি সাইড চরিত্রের দৃশ্যগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ মনে হয়েছে, যা মূল প্লটের তীব্রতা কিছুটা কমিয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন, এই পর্বে নাটকের আবেগময় দিকটি আগের চেয়ে অনেক বেশি স্পষ্ট। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, “চিটার”-এর চরিত্রে মানবিকতা যোগ হওয়ায় গল্প আরও গভীর হয়েছে।একটি ভারসাম্যপূর্ণ পর্ব —।

যেখানে হাসি, ধোঁকা, আবেগ এবং দর্শনের মিশেল ঘটেছে।এটি শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং একটি বার্তা দেয়। “প্রতারণা আর ভদ্রতার মাঝে পার্থক্য সবসময় স্পষ্ট নয়; কখনো কখনো দুটিই একই মুখোশে লুকিয়ে থাকে।চলতি ধারাবাহিকের গতি দেখে মনে হচ্ছে, পরবর্তী পর্বগুলো আরও চমকপ্রদ হতে চলেছে। দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন—এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে কে: চিটার নাকি জেন্টেলম্যান?

আমার ব্যক্তিগত মতামত:

আর টিভি কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এতো সুন্দর একটা ধারাবাহিক নাটক উপহার দেওয়ার জন্য।নাটকটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে আমার। তাই তো আপনাদের মাঝে রিভিউ করতে চলে আসলাম। আপনারা যারা এই নাটকটি দেখেন নি তাদেরকে এই নাটকটি দেখার অনুরোধ রইল। আপনারা সময় করে এই নাটকটি দেখে নিয়েন। যেহেতু এই নাটকে আখম হাসান আছেন , আশা করছি আপনাদের ও এই নাটকটি বেশ ভালো লাগবে। এবার যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৮ দিব।

বি:দ্র: উপরের সব কটি ফটোগ্ৰাফি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে এবং নাটকের লিংক টিও ইউটিউব থেকে কপি লিংক করা হয়েছে।

🔗নাটকের লিংক🔗: