বংশগত জমিদার নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
বংশগত জমিদার নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | বংশগত জমিদার |
---|---|
পরিচালক | হাসিব হোসাইন রাখি |
অভিনয় | নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ১৫ অক্টোবর ২০২৪ |
প্রথমে নাটকটি খুব সুন্দরভাবে শুরু হয়ে যায়। এখানে নায়িকা এবং তার বান্ধবীদেরকে দেখানো হয়৷ সে তার বান্ধবীদেরকে নিয়ে নায়ককে অনেকটাই অপমানজনক কথাবার্তা বলছিল৷ কারণ নায়ক ছিল অনেক কৃপন একজন ব্যক্তি৷ নায়িকার বাবা বংশগত জমিদার ছিল৷ যার ফলে নায়িকা প্রতিনিয়তই নায়ককে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। তাকে সবসময় অপমানজনক কথাবার্তা বলত৷ এভাবেই সে যখন নায়ককে অনেক ধরনের অপমান করতে থাকে এবং অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে তখন নায়ক কিছুই বলতে পারে না৷ শুধুমাত্র সে তাদের সাথে ঝগড়া করতে থাকে৷ এর পরবর্তীতে নায়ক যখন তাদের সাথে ঝগড়া করে তখন সেখানে তাদের মধ্যে অনেক বড় আকারে ঝগড়া সৃষ্টি হয়ে যায়৷ যার ফলে এখানে তারা খুব ভালোভাবেই সবকিছু সমাধানও করে ফেলে। এর পরবর্তীতে যখন এখানে নায়িকা বাসায় আসে তখন তার বাবা তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ সে এরকম রাস্তায় রাস্তায় কেন ঘুরে এবং সে এরকম সকলের সাথে ঘুরে বেড়ায় কেন৷ এরকম অনেক ধরনের কথাই তার বাবা তাকে বলতে থাকে৷ তবে সে কোনভাবে এগুলো তার কানে নেয় না।
এর পরবর্তীতে নায়ককে শাস্তি দেওয়ার জন্য নায়িকা এবং তার বান্ধবী তাকে ঘিরে ধরে তাকে সেখানে অনেকটাই মারধর করার জন্য প্ল্যান করতে থাকে৷ তবে নায়ক সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর পরবর্তীতে নায়ক নায়িকার প্রতি দুর্বল হতে থাকে এবং সে নায়িকার প্রতি যে ভালোবাসার বিষয়টি রয়েছে সেটি প্রকাশ করতে থাকে৷ সেটি প্রকাশ করতে থাকে এবং নায়িকা এই বিষয়টি বুঝতে পারে৷ নায়িকা এই বিষয়টি যখন বুঝে তখনই নায়িকা তার সাথে ঘোরাঘুরি করার জন্য চিন্তা করে৷ নায়ককে বলে যে সে যদি নায়িকার একদিনের খরচ বহন করতে পারে তাহলে সে তাকে ভালবাসবে। কারণ নায়ক অনেক কৃপণ ব্যক্তি ছিল। সে এত বেশি কৃপণ ছিল যে সে কোন জায়গায় কোন টাকা খরচ করত না৷ এর পরবর্তীতে নায়ক যখন নায়িকার এসকল খরচ গুলো বহন করে এবং ধীরে ধীরে যখন নায়কের সকল পরীক্ষা নায়ক পাস করে যায় তখন সেখানে নায়ক বলে যে তার পিতা মাতাকে নিয়ে সে নায়িকাদের বাড়িতে যাবে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য। তারা সবাই সেখানে যায় বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য।
যখন নায়িকার বাবা অর্থাৎ বংশগত জমিদারের বাড়িতে এরকম কৃপণ ব্যক্তিকে সম্বন্ধ নিয়ে আসতে দেখেন তখন তিনি অনেকটাই হাসতে থাকেন৷ তাদেরকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন৷ তবে কোনভাবেই তারা সেখান থেকে চলে যেতে রাজি ছিল না৷ তবে সেখানে নায়িকার বাবা তাদেরকে অনেক অপমান করেছে৷ সেখান থেকে দূর করে দেয়৷ তবে নায়কও একেবারে হার মানার পাত্র ছিল না৷ সে বলছিল যে সে নায়িকাকে বিয়ে করবে মানে সে নায়িকাকেই বিয়ে করবে। অন্য কাউকে সে বিয়ে করবে না৷ এর পরবর্তীতে সে অনেক ধরনের প্ল্যান নিয়ে কাজ করতে থাকে। তার বাবা যখন একটা সময় অসুস্থ হয়ে যায় তখন সেখানে নায়িকার বাবা আসে তাকে দেখার জন্য৷ তখন তারা একটা প্ল্যান করে যে নায়িকার নামে তার বাবার সকল সম্পত্তি লিখে দিবে৷ সেই সম্পত্তি গুলোর বিনিময়ে যদি তারা তাদের কৃপণতার প্রকাশ না করে সম্পর্কে বুঝতে পারে তখনই তারা আসল বিষয়টি বুঝতে পারবে। নায়িকার বিয়ের কথা অনুযায়ী যখন নায়কের বাবার সম্পদের কথা বেরিয়ে আসে তখন নায়ক এই কথাটি প্রথম শুনতে পায়৷ সে বলে যে সে এতদিন বংশগত জমিদার ছিল তাকে এরকম ফকিন্নির মত রেখেছে কেন। এরকম অনেক ধরনের কথাবার্তা বলা হয়ে থাকে। এর পরবর্তী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয় এবং বিয়ের রাতে শোনা যায় যে নায়ক কোন জায়গা জমি তার নামে করেনি৷ সবকিছুই তার বাবার নামে রয়েছে। এটা শুধুমাত্র একটা প্ল্যান ছিল বিয়ে করার জন্য। এর পরবর্তীতে সব কিছু ঠিক হয় এবং নাটকটি এভাবে শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
প্রথমে যখন নাটকের নামটি দেখানো হয় তখন এখানে নাটকটি এরকম সুন্দর হবে বলে মনে করেছিলাম। ঠিক সেরকমই হয়েছে। নাটকের মধ্যে প্রথমে যখন নায়ককে অনেক অপমান অপদস্ত করা হয় এবং জমিদারের বংশের মেয়ে যখন নায়ককে অনেক ধরনের অপমানজনক কথাবার্তা বলতে থাকে তখন সেখানে অনেকটাই অপমান বোধ করতে থাকে। তবে সে কোনভাবেই অপমান সহ্য করতে পারে না। সে ধীরে ধীরে নায়কের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে থাকে। নায়িকা তাকে এমন কিছু শর্ত দেয় যাতে করে নায়ক সেই শর্তগুলো পূরণ করলেই তাকে বিয়ে করতে পারবে। ধীরে ধীরে নায়ক তার কৃপণতা থেকে বেরিয়ে আসে এবং নায়িকার যে শর্তগুলো ছিল সেগুলো সে পূরণ করতে সক্ষম হয়। যখন তাদের বিয়ের জন্য সেখানে বাড়িতে যাওয়া হয় এবং সেখানে যখন সবাই তাকে দেখে এবং নায়িকার বাবা যখন নায়কের বাবাকে অনেক বেশি অপমান করতে থাকেন তখন তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এর পরবর্তীতে সেখানে দেখানো হয় নায়কের বাবার অনেক সম্পদ ছিল। তবে এগুলো এতদিন যাবত প্রকাশ করা হয়নি। এখনই প্রকাশ করা হয়েছে এবং একটা প্ল্যান করে সেখানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।একই সাথে আমরা যদি বাস্তবের দিকে তাকাই তাহলেও আমরা দেখতে পাব যে অনেক মানুষ রয়েছে তাদের নিজের সম্পদ তারা দেখাতে চায় না। তবে তাদের কাছে এমন কিছু সম্পদ থেকে যায় যা হয়তো অন্যান্য মানুষদের থেকেও অনেক বেশি দামী এবং অনেক বেশি মূল্যবান। আর সেরকম বিষয় সবসময় আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৭/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ যত পড়ি ততই খুব ভালো লাগে। আপনার শেয়ার করা এই নাটকটির রিভিউ পোস্ট পড়তে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। নাটক রিভিউর মাধ্যমে সহজে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী জেনে নেওয়া যায়, এই বিষয়টা আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই কাহিনীটাকে আপনি আজকে এত সুন্দর করে সবার মাঝে উপস্থাপন করেছেন, সবাই রিভিউ পড়লে আর নাটকটা দেখা লাগবেনা। সুন্দর ছিল নাটকটি।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নাটকটার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
এই দুই নায়ক নায়িকার জুটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আলমগীরের অভিনয় ও অনেক সুন্দর।তবে নাটকটি এখনো দেখা হয়নি ভাইয়া।ভাবছি সময় করে পুরো নাটকটি দেখে নিবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
নাটক দেখতে খুবই ভালো লাগে। নিলয়ের নাটক মাঝে মাঝেই দেখা হয়। এই নাটকটি আমিও দেখেছি। অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দরভাবে নাটক রিভিউ উপস্থাপন করেছেন ভাই।