দূরদেশ নাটকের রিভিউ।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
দূরদেশ নাটকের রিভিউ। |
---|
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | দূরদেশ |
---|---|
পরিচালক | রুবেল হাসান |
অভিনয় | খায়রুল বাশার, তানজিম সায়রা তটিনি সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০৭ নভেম্বর ২০২৪ |
প্রথমে আপনারা নাটকের নাম দেখে বুঝতে পেরেছেন যে নাটকটি কেমন হবে। প্রথমে যখন নাটকটি শুরু হয় এবং এখানে দেখানো হয় যে নায়ক পড়াশোনা শেষ করে। সে আরো উচ্চ পড়াশোনা করার জন্য বাহিরের দেশে যাবে৷ তখন সে তার বাবা মাকে বলে যে সে বিদেশ যাবে পড়াশোনা করার জন্য৷ তখন সে তার বিদেশ যাওয়ার কাজকর্ম চালাতে থাকে৷ একটা সময় পর তার বিদেশ যাওয়ার যে কনফার্মেশন রয়েছে সেটি চলে আসে। সে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। তখন সে নায়িকার সাথে দেখা করে এবং নায়িকার সাথে কথাবার্তা বলে। তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নেয়। এর পরবর্তীতে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে সে সেখান থেকে তার গন্তব্যে পৌঁছে যায়। সেখান থেকে তার পিতা মাতার সাথে কথা বলতে থাকে এবং নায়িকার সাথেও কথা বলে। সেখানে নায়ক যার কাছে সে গিয়েছিল তার সাথে কথাবার্তা বলতে থাকে।
সে অনেক টাকা ঋণ করে দেশ থেকে বিদেশে গিয়েছিল পড়াশোনা করার জন্য। যার ফলে সে সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার চেষ্টা করে। সেখানে সে তার এক বড় ভাইয়ের কাছে গিয়েছিল। তাকে বলতে থাকে সে যেন কোন কাজ তাকে ধরিয়ে দেয়। কারণ সে পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবে। তার বাবার ঋণ পরিশোধ করে দিতে পারবে৷ তাই সে ধীরে ধীরে কাজ শুরু করতে থাকে। সে বিভিন্ন ধরনের কফি শপে কাজ করা থেকে শুরু করে ডেলিভারি ম্যান এর কাজ করতে থাকে। সে অতিরিক্ত কাজ করার ফলে তার কোমরে সমস্যা হয়ে যায়। তার এই কোমরে সমস্যার কারণে সে কোন কাজ করতে পারে না। ফলে তাকে বেড রেস্ট দেওয়া হয়। তখন তার বড় ভাইরা তাকে বলতে থাকে যে যদি সে বেঁচেই না থাকে তাহলে এত টাকা দিয়ে কি করবে। তখন নায়ক বলে যে সে যদি এখন টাকা পাঠাতে না পারে তাহলে তার বাবার ঋণের বোঝা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। তাই সে এত কষ্টের ভেতরেও কাজ করতে থাকে।
নায়িকা যখন তার অসুস্থতার কথা শুনে তখন সে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে এবং বলে যে সে এত কষ্ট কেন করছে। তার শরীর যদি সেটা সহ্য করতে না পারে। তার বেশি কাজ করার কোন প্রয়োজন নেই। এরকম অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে। তবে নায়ক কোনভাবেই কথাগুলো শুনতে রাজি ছিল না। সে প্রতিনিয়ত নিজের মত করে কাজ করতে থাকে। এভাবে কাজ করতে করতে সে এত বেশি অসুস্থ হয়ে যায় যে ডাক্তার বলে যে তার এক মাস থেকে দুই মাস একেবারে রেস্টে থাকতে হবে। তবে সে কোনভাবেই সেটি শুনে না৷ সমস্যা থাকার পরেও সে কাজে বের হয়ে পড়ে। তাকে যখন তার বড় ভাইরা বাধা দেয় তখনও সে তাদের বাধা শুনে না। সে সেখান থেকে তৈরি হয়ে কাজে বের হয়ে পড়ে। সে পরবর্তীতে অ্যাক্সিডেন্ট করে এবং সেখানেই মারা যায়। এরপর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তার পিতা মাতা অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে। কারণ তাদের একমাত্র ছেলে সেখানে এত কষ্ট করতে গিয়ে মারা গিয়েছে৷ এরপর এভাবেই নাটকটি শেষ হয়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত।
খুব সুন্দর হয়েছে নাটকটি৷ নাটকের মধ্যে এত সুন্দর কিছু বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা বাস্তবতার জীবন এর সাথে একেবারে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা যদি বাস্তবতার দৃশ্যগুলোর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো যে পিতা মাতাকে খুশি করার জন্য অথবা পিতা-মাতার সুখ শান্তির জন্য অনেকেই তাদের নিজের জীবন ধ্বংস করে দেয়। তবে সেই নিজের জীবন ধ্বংস করার পরে যখন আর নিজের জীবন নিয়ে পরিবারের কাছেই ফিরে আসা যায় না তখন আর সেই পরিশ্রম দিয়ে কি লাভ। সেই টাকা দিয়েও কি হবে। তাই নাটকের মধ্যে এরকম একটি বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নায়ক কষ্ট করতে করতে তার নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সে কোন কিছুই করতে পারল না। আসলে অনেক মানুষই অনেক মানসিক চাপে থাকে। ফলে সে তার পরিবারের জন্য সবকিছুই করতে থাকে। নিজের স্বার্থের বাহিরেও অনেক কিছু করে । তবে পরিবারের মানুষজন সেগুলো বুঝতেও চায় না। শুধুমাত্র চাপ দিতেই থাকে। যার ফলে নাটকের মতো অনেক মানুষ বাস্তব জীবনেও অনেকেই থাকে শুধুমাত্র একটা জীবন্ত লাশ হিসেবে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত অনুসারে নাটকের রেটিংঃ |
---|
৯.৮/১০
সমাপ্ত
ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি।আগামিতে অন্য কোন নাটকের রিভিউ নিয়ে আবারও হাজির হবো।ভালো থাকবেন সবাই।আর কষ্ট করে রিভিউটি যারা পড়ছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | নাটক রিভিউ । |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার।২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আমি স্টিমিট এ কাজ করি।আর এই প্লাটফর্মে জয়েন করি শখের বসে। আর সে থেকেই আজ অব্দি ভালোলাগা থেকেই কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি,আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। মাঝেমধ্যে নাটক দেখতে ভালই লাগে। যদি ওই নাটকটি আমার দেখা হয়নি তবে রিভিউ দেখে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশের নাটকগুলি আমার ভীষণই ভালো লাগে। খুবই মার্জিত ভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং প্রতিটি নাটক অনেক বেশি শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। আজকে আপনি যে নাটকটি রিভিউ করেছেন সেটি অনেক সুন্দর একটি নাটক। বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।খাইরুল বাশার ও তটীনির অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।