প্রকৃতি নিয়ে দ্বিচারণ নীতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। প্রকৃতির ভিন্নতার সাথে শীতলতার দারুণ মুহুর্তগুলো আরো দারুণভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে বৃষ্টির পরের মুহুর্ত এবং প্রকৃতির সতেজ দৃশ্যগুলো আমার কাছে দারুণ লাগে এবং দারুণ একটা চঞ্চলতা হৃদয়ে খুঁজে পাই। অন্য সময়ও প্রকৃতি ভালো লাগে, প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণও থাকে কিন্তু এমন সতেজতা পাওয়া যায় না। এটা শুধুমাত্র বৃষ্টির পরের মুহুর্তেই খুঁজে পাবেন। একটু চেক করে দেখুন, পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে যাবে আপনার কাছেও।
যদিও প্রকৃতি আগের মতো নেই, অগেন সুন্দর অবস্থানে নেই কারণ আমাদের মানসিকতা এবং স্বার্থকামিতা। আগে কিন্তু এমন ছিলো না, মানুষ চেষ্টা করতো তার বাড়ির চারপাশ এবং খোলা জায়গাগুলোতে গাছ লাগানোর। বিশেষ করে হাট যেদিন বসতো সেদিনের জন্য আগ হতেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতো, তারপর কোন গাছ কিনবে এবং সেটা কোথায় কোথায় লাগবে সেগুলোর বিষয়েও আগ হতে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখতেন। ব্যস সময় হলেই হাটে চলে যেতেন তারপর পছন্দের একাধিক গাছ ক্রয় করে নিয়ে আসতেন, নিজ হাতে যত্ন সহকারে সেগুলোকে আবার রোপন করতেন।
আমি নিজেও এমন অনেক ঘটনার স্বাক্ষী, আগেই বলে দিতেন, অমুক দিন অমুক হাটে যাবো তারপর সেখান হতে এই এই গাছগুলো কিন এখানে ঐখানে সেগুলোকে রোপন করবো। তাদের একটা পরিকল্পনা থাকতো, গাছের উপর তাদের একটা ভরসা থাকতো, তারা চিন্তা করতেন দশ বছর পর গাছটা কতটা বড় হবে, যে কোন বিপদে সেটা কতটা কাজে লাগবে। কিন্তু আমরা হয়েছি ঠিক তার উল্টোটা, গাছতো মোটেও লাগাই না বরং যেগুলো আছে সেগুলোকেও বড় হতে দিতে চাই না, সামান্য বড় হলেই আমাদের চোখে পড়ে যায় আর দ্রুত সেটা বিক্রি করার চেষ্টা করি।
সবচেয়ে অবাক লাগে, সরকারী কিংবা নানা সংস্থা হতে নানা সময়ে যে অনুদান আসে গাছ লাগানোর জন্য কিংবা হাজার হাজার চারাগাছ আসে, সেগুলোকেও আমরা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি না, সেখানেও আমরা নয় ছয় করে টাকাগুলোকে সাবার করে ফেলি, ভিন্নভাবে সেগুলোকেও হজম করে ফেলি। সত্যি বলতে আমাদের মানসিকতাটাই নষ্ট হয়ে গেছে, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে গেছে, সকল সময় সকল ক্ষেত্রেই আমরা স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
অথচ একটু বেশী উষ্ণ পরিবেশ হলেই প্রকৃতিকে দোষারোপ করতে দ্বিধাবোধ করি না, গাছের যত্ন নিতে রাজি নই, গাছ লাগাতে রাজি নই কিন্তু সমস্যা হলেই গাছের প্রতি দোষারোপ করতে কুণ্ঠাবোধ করি না, কি আজব প্রকৃতির হয়ে গেছি আমরা। আমরা স্বার্থ বুঝি কিন্তু নিজের ভালোর বিষয়টি বুঝতে পারি না, আমরা টাকার বিষয়টি ঠিক বুঝি কিন্তু নিজেদের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি বুঝতে পারি না। সময়ের সাথে সাথে আমরা পরিবর্তন হয়েছি কিন্তু সেটাও কাংখিত পর্যায়ে হয় নাই।
তারিখঃ জুন ২৭, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ উয়ার্শী, টাঙ্গাইল।
ক্যামেরাঃ রেডমি-১৩, স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের বাড়ি থেকে কুমিল্লা সিলেট হাইওয়ে রোডের দুরত্ব এক কিলোমিটার হবে। এই রাস্তায় সরকারি ভাবে কমপক্ষে দশবার গাছ লাগিয়েছে। অথচ একটা গাছও নাই। গাছের গুষ্টি সহ তুলে নিয়ে গেছে। বাঙালি কত খারাপ চিন্তা করেন।