প্রকৃতি নিয়ে অনুভূতির কথা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাতের পর প্রকৃতির মাঝে রোদ্রের উজ্জ্বলতা কিছুটা হলেও পুনরায় ফিরে আসতে শুরু করেছে এবং সেই পরিচিত উষ্ণতা অনুভূত হচ্ছে দারুণভাবে। আমাদের একটা সমস্যা আছে, বৃষ্টিপাতের জন্য যেমন অস্থির হয়ে যাই ঠিক তেমনি বৃষ্টিপাত শুরু হলে পুনরায় আবার উষ্ণতার জন্য প্রার্থনা শুরু করে দেই। কারণ ঐ যে উষ্ণতায় শীত খুঁজি আবার শীতে উষ্ণতা খুঁজি। এটাই প্রকৃত বাস্তবতা, যাইহোক বৃষ্টি চলে গেলেও বন্যার একটা আতংক পুনরায় তৈরী করে দিয়ে গেছে।
কিন্তু সমস্যা আরো একটা তৈরী হওয়ার বেশ সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে, সেটা হলো ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। কারণ যেহেতু টানা বৃষ্টিপাত হয়েছিলো সেহেতু হয়তো আমরা চারপাশে তেমন একটা খোঁজ খবর রাখতে পারি নাই। তাই এখনই আমাদের চারপাশটা একটু চেক করতে হবে, যাতে কোথায় পানি আটকে না থাকে। ডেঙ্গু মশার আবাসস্থল ধ্বংস করার চেষ্টা চলমান রাখতে হবে, এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও সহজ উপায়। কারণ আমাদের আর্থিক কিংবা স্বাস্থগত সুবিধা অতো বেশী নেই। সুতরাং নিজ নিজ অবস্থান হতে আমাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করতে হবে।
যাইহোক, সবুজ প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি আজকেও শেয়ার করবো। এর আগের পর্বে আমি ধামরাই এর শেষ সীমানা এবং টাঙ্গাইল এর শুরুর সীমানার কিছু দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম। সেই জায়গায় সত্যি অনেক বেশী সুন্দর ছিলো। আমি যেখানে গিয়েছিলাম তার অন্যতম একটা আকর্ষণ ছিলো ধলেশ্বরী নদী, যেটা যমুন হতে প্রবাহিত হয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ এবং নারায়নগঞ্জের ভিতর দিয়ে গিয়ে শীতলক্ষ্যার সাথে মিলিত হয়েছে। টাঙ্গাইল এর উয়ার্শী এর সেই অংশে গিয়েছিলাম আমি। সুন্দর জায়গা দেখে বেশ কিছুটা সময় সেখানে ছিলাম, আরো কিছুটা সময় থাকার ইচ্ছাও ছিলো কিন্তু থাকতে পারি নাই।
তখন প্রায় সাড়ে তিনটা বাজে, নদীর পাড়ের অংশটাও বেশ সুন্দর ছিলো। হঠাৎ কিছু সুন্দরী থুক্কু অল্প বয়সী ভদ্র মহিলারা আসেন এবং তারা সেখানে নদীতে নেমে পড়েন গোসল করার জন্য। অগ্যতা আমাকেও সেখান হতে দ্রুত প্রস্থান করতে হয়। সুন্দর প্রকৃতির সাথে আরো কিছু সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করার সুযোগ আর থাকলো না। তবে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে ঠিক ফিরে এসেছি। আজকে নদীর পাড়ের কিছু দৃশ্য শেয়ার করছি, উভয় পাশের সবুজ প্রকৃতি সুন্দর দারুণ ও মুগ্ধকর পরিবেশ তৈরী করেছিলো।
সত্যি বলতে প্রকৃতি সর্বদাই আমাদের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরী করে কিন্তু আমরা সেটা বার বার ভুলে যাই, তারপর প্রকৃতি ধ্বংস করে নানা দুর্যোগে আবার প্রকৃতির উপরই দোষ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। সুন্দর পরিবেশ তখনই সুন্দর থাকবে যখন প্রকৃতি তার স্বরূপ ফিরে পাবে এবং নদীগুলো দূষণমুক্ত থাকবে, তা নাহলে হয়তো ঘন ঘন আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হবো। সুন্দর ও সবুজ থাকুক প্রকৃতি, সেটাই হবে আমাদের জন্য উত্তম।
তারিখঃ জুন ২৭, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ উয়ার্শী, টাঙ্গাইল।
ক্যামেরাঃ রেডমি-১৩, স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রকৃতি আর পরিবেশ নিয়ে আপনার এই লেখা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ হয়েছে। আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আর প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা খুব সুন্দরভাবে ফুটে তুলেছেন ভাই। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কথা মনে করিয়ে দেয়া খুব জরুরি ছিল। এমন সচেতনতা ও প্রকৃতির রূপ শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।