উষ্ণ অনুভূতির সাথে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। উষ্ণতায় তীব্রতায় যদিও কিছুটা নীরব হয়ে যাচ্ছি মাঝে মাঝে। আসলে এই সময়টায় গরমের মাত্রাটা একটু বেশী থাকে, ঘন ঘন তাব প্রবাহের কারণে উষ্ণতার মাত্রা কয়েক গুন বেড়ে যায়। যদি মাঝে মধ্যে একটু বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় তাহলে সেদিনের সময়টা কিছুটা ভালোভাবে উপভোগ করার সুযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টিপাতও এখন সময়সূচী অনুযায়ী হচ্ছে না, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার কারণে সব কিছু পাল্টে গেছে শুধু উষ্ণতা বেড়ে যাচ্ছে নিময় মাফিক।
এখন এই উষ্ণতা বাড়ার পেছনে প্রকৃতি নয় বরং আমাদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশী, আমরা পরিকল্পনা ছাড়া যেমন নগরায়ন করেছি ঠিক তেমনি ব্যবসায়ীক মানসিকতায় সবুজ পরিবেশ না গড়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছি নানাভাবে। এই তো সেদিন প্রথম আলোতে একটা নিউজ পড়লাম, ঢাকা শহরে অংসখ্যা ছাদ রেস্তোরাঁ রয়েছে যেগুলোর কোন অনুমোদন নেই, নেই নিরাপত্তার ভালো কোন ব্যবস্থা। অথচ এখানে যদি ছাদ বাগান গড়া হতো তাহলে সেটা হলো আমাদের জন্য স্বস্তিকর কিছু এবং সেটা উষ্ণতা হ্রাস করার ক্ষেত্রে দারুণভাবে কাংখিত ভূমিকা পালন করতে পারতো।
কিন্তু এখন হয়েছে উল্টোটা, যেমন আমাদের ফায়ার সার্ভিস অফিস বলছে রেস্তোরাঁ এখন গোদের ওপর বিষফোড়া। প্রকৃতির জন্য নিদারুণ ক্ষতিকর কিছু কারণ প্রকৃতি ছাদ এখন অগ্নিকুন্ডে রূপান্তরিত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত যেমন উষ্ণতা বাড়াচ্ছে ঠিক তেমনি বাড়িয়ে দিচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের মতো নানা ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা। শুধু আশংকা বললে ভুল হবে ইতিমধ্যে ঢাকা শহরসহ বিশ্বের নানা দেশের নানা শহরের ছাদ রেস্তোরায়ঁ আগুন লেগে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক মৃত্যু হয়েছে। যা আসলে হওয়ার কথা ছিলো না কিন্তু তবুও আমরা সেখান হতে শিক্ষা নিচ্ছি না।
এটা আমাদের জন্য সত্যি একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা, আমরা যেখানে প্রকৃতি হতে দূরে যাচ্ছি, সবুজায়ন এর সুযোগগুলো নষ্ট করছি এবং নগরের জীবনকে আরো বেশী অনিরাপদ করে তুলছি। অথচ আমাদের একটু পরিকল্পনা কিংবা একটু স্বদিচ্ছায় পাল্টে যেতে পারতো পুরো শহরের চিত্র কিংবা উষ্ণতার মাত্রা। জাপান যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছাদ বাগানের ক্ষেত্রে। কিন্তু আমরা সেগুলো দেখবো না বরং উন্নয়নের দোহাই দিয়ে উল্টো পথে চলবো।
অন্য দিকে একটা সময় গ্রামীণ পরিবেশেও বেশ সবুজ ও সতেজ প্রকৃতি ছিলো কিন্তু উন্নয়নের দোহাই দিয়ে এখন কৃষি জমিগুলো ভরাট করা হচ্ছে, নিত্য নতুন আঙ্গিকে আবাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। সবুজ প্রকৃতি হারিয়ে সেখানেও দিন দিন আরো বেশী উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ছে। সবুজের অবস্থান আজ কোথায়ও নিরাপদ নয়, তাই প্রকৃতির এই উষ্ণতা স্বাভাবিক হিসেবে ঠিকই আছে, হতে পারে এটা প্রকৃতির প্রতিশোধ।
তারিখঃ মার্চ ২১, ২০২৫ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Hello @hafizullah!
This is a very important and timely post. The observation about the rising temperatures and the impact of unplanned urbanization, especially the unregulated rooftop restaurants in Dhaka, is spot on! It’s disheartening to see how these structures, lacking proper safety measures, contribute to the city's heat and pose serious fire risks. The comparison with Japan's rooftop gardens really drives home the point – we need sustainable solutions, not more concrete jungles. Your photos vividly illustrate the points you're making, too. Thank you for raising awareness about this critical issue, hopefully your words resonate with others and inspire some change.
Have you thought about reaching out to local environmental groups? Perhaps we can start a discussion around implementing stricter regulations and promoting green roofs! What do you think could be the first practical step?