বাংলাদেশ ভ্রমণ। পর্ব : ০৭
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আরেকটা নতুন এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
তো পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বাড়ির বারান্দাতে বসে ছিলাম। ভিতর থেকে বড়োমা বলছিল জ্যেঠুকে ,ঘরে চাল কমে গেছে। তাই ধান নিয়ে গিয়ে মেশিনে ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসতে বলল।
তখন আমি কথাটি শুনে ফেললাম এবং সাথে সাথে বড়মাকে বললাম, আমি যাব ধান ভাঙ্গাতে। জ্যেঠুক বলল, তুই পারবি না। তখন আমি কথা না শোনায় জ্যেঠু আমাকে বললো , দেখ এই গ্রামের এক দাদার বাড়িতে ভ্যান আছে। ওই ভ্যানটা নিয়ে আয়।
তো আমি যথারীতি ভ্যান আনতে গেলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখি দাদার ছোট ছেলে বসে আছে। তো আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোর বাবার ভ্যানটা কোথায়? ও আমাকে ভ্যান দেখিয়ে দিয়ে বলল , কাকা ভ্যানে করে কোথায় যাবে। আমি বললাম ধানের বস্তা নিয়ে মেশিনে ধান ভাঙ্গাতে যাব।
তখন ও আবদার করল কাকা আমি তোমার সাথে যাব। আসলে ছোট হলেও কাজে-কর্মে সে আমাকেও হার মানিয়ে দেবে। তা ও আমাকে বলল , কাকা তুমি বসো ভ্যানের উপর আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি।
তারপর ওই ভাইপো, আমার সাথে গিয়ে ভ্যানের উপরে ধানের বস্তা গুলো তুললো এবং দড়ি দিয়ে সে বস্তা গুলো ভ্যানের সাথে বেঁধে দিল। তার এ দড়ি বাঁধার কৌশল আমার জানা ছিল। তারপর আমরা বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে ওই ভাইপোর বড় দাদা দাঁড়িয়ে আছে।
তখন ওই বড় ভাইপো আমাকে বলল কাকা ওর পরীক্ষা সামনে ওকে রেখে আমি তোমার সাথে যাচ্ছি। এই কথাটি বলতেই ছোট ভাইপোর মুখ কালো হয়ে গেল।
আমি বললাম তুমি এবারের মত থাকো পরেরবার ধান ভাঙ্গার সময় আমি তোমাকে নিয়ে যাব। ছোট মানুষ তো তাই একটু কষ্ট পেয়েছে খুব। তখন আমি দোকান থেকে একটা দশ টাকা দামের রুটি তাকে কিনে দিলাম এবং বললাম আসার সময় তোর জন্য সিঙ্গারা কিনে নিয়ে আসব।
তো আমরা দুইজন ভ্যান নিয়ে এক কাকা দোকানে গেলাম ধান ভাঙ্গাতে। তো গিয়ে আমাদের সাথে দোকানে ওই কাকার সাথে দেখা হয়ে গেল। তারপর কাকা তার দোকানটি আমাকে ঘুরে দেখালেন এবং মোটরে লাইন দেওয়ার আগে আমাকে দেখালেন কিভাবে এই মটরের লাইন দিতে হয়।
তারপর মেশিন চালু হতেই ওই বড় ভাইপো উপরে ধান ঢালতে লাগলো। কিভাবে ধান ঢালতে হয় আমি প্রথমে ওই ভাইপোর ধান ঢালা লক্ষ্য করছিলাম এবং কাকা নিচে বসে বসে ধান একটি বালতিতে ভরছিলেন। কারণ এই বালতির চালগুলো তে এখনো অনেক ধান রয়েছে। তাই পুনরায় এই চাল মেশিনে দেওয়া হল। এইভাবে আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ এই দুজনার কাজ পর্যবেক্ষণ করছিলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 25/12/2022
এখনো কিন্তু আমার আজকের এই ধান ভাঙ্গার পোস্ট শেষ হয়নি। পরবর্তী পর্বে আরো মজার ঘটনা ঘটেছিল আমাদের বাড়ি যাওয়ার সময়। আসলে জিনিসটি অতটা মজারও ছিল না। যেকোনো সময় আমাদের একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো।
দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
দাদা এটা মনে হয় আপনার প্রথম অভিজ্ঞতা হাহ। আমাদের দেশে এমনি। সবার ধান স্টক থাকে জার যখন দরকার ভাঙ্গিয়ে নিয়ে আসে। আর এই ধান ভাঙ্গার একটা স্থানীয় নাম আছে কিন্তু,সেটা হচ্ছে "বারা-বানা"। তবে বাচ্চাটাকে নিয়ে গেলে পারতেন ও এমনিতেও তখন পড়তে বসত না হাহা😁।
হ্যাঁ দাদা, এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। আসলে আমাদের এখানে আমরা ছোটবেলা থেকে চালের বস্তা কিনি।
আপনি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ভ্রমণ বিষয়ে অনেক পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তবে আমার বেশি ভালো লেগেছে আপনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়ের ফটোগ্রাফি করে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আমি প্রায় প্রত্যেকটা পোষ্ট লক্ষ্য করেছি এবং ভালোভাবে পড়ে দেখেছি এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। আজকের পোস্ট ঠিক তেমনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
আমার আরো অনেক এক্সপেরিয়েন্স আছে বাংলাদেশ ভ্রমণের। যা আপনাদের সাথে আমি পরবর্তী পোস্টটে শেয়ার করবো।