বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের অভ্যাস নিয়ে আমার লেখা গল্প - পর্ব ০৪

in #new7 days ago
আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

এই উপলব্ধি থেকে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হইবে, ব্যবহৃত কৌশলের উপর নয় বরং আমাদের নিজেদের উপর আমরা লক্ষ্য করবো। অর্থাৎ আমাদের গভীরতম মনোভাব এবং সন্তানের প্রতি আমাদের যে বিলক্ষণ তার উপর আমরা নজর দেব। তাকে পরিবর্তন করার চেষ্টা থেকে আমরা বিরত থাকব এবং তার নিকট থেকে আমাদের নিজেদেরকে আলাদা করে সরে দাঁড়াতে চেষ্টা করব যাতে সে তার স্বকীয়তা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, আলাদা সত্তা ও মঙ্গল-অমঙ্গল নিজেই বুঝতে সক্ষম হয় ।

IMG_5936.JPG

For Photos I use:


Camera
Iphone 16 Pro
Lens
Wide 26 mm-Equivalent
Photographer
@fxsajol
Location
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos
Outdoor

আমরা আমাদের সন্তানকে এভাবে তার স্বকীয়তার দিক থেকে দেখতে শুরু করি। এ বিষয়ে সান্দ্রাও আমার সঙ্গে একমত হয় যে, আমরা দু'জনেই আমাদের নিজেদের মনোভাব পরিবর্তন করব। আমরা নিজেদের নিরাপত্তাবোধকে নিন্ডত করতে সন্তানের উপর নির্ভর করব না। বরং নির্ভর করব আমাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ উৎসের উপর। এতে আমাদের আত্মমঙ্গলের চিন্তা আমাদের সন্তান সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য আচরণ করছে কি-না তার উপর নির্ভরশীল হবে না।

এই পরিবর্তনের জন্য আমাদের নিজেদের মানসিক শক্তি অর্জনের দরকার হয়ে পড়ে। এই শক্তি অর্জনের জন্য আমরা অনুশীলন করি সন্তানের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে উঠার ।

তার মধ্যে আমরা সম্ভাবনা দেখতে পাই। এই সম্ভাবনা বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত। আমাদের বিশ্বাস হতে থাকে করি যে, তার নিজস্ব সময়ে ও নিজস্ব গতিতে এই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নেই এ বিষয়ে উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত থাকবো। এবং সন্তানের পথ থেকে সরে দাঁড়াতে চেষ্টা করি। এতে তার ব্যক্তিত্ব স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। তাকে আমরা স্বীকৃতি দেই, উপভোগ করি এবং মূল্য দিতে থাকি। আমরা তাকে দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে বোঝাতে চেষ্টা করি যে, তার প্রতি আমাদের ভূমিকা স্বাভাবিক।

সন্তান সম্পর্কে পুরাতন ধারণাকে আমরা যখন পরিত্যাগ করে মূল্যবোধ-নির্ভর মনোভাবের উন্নয়ন ঘটাতে মনোযোগী হই তখন আমাদের মধ্যে নতুন অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আমরা লক্ষ্য করি, আমরা তাকে উপভোগ করছি এটা লক্ষ্য করি। তুলনা বা বিচার করছি না। আমাদের নিজেদের প্রতিরূপ দিয়ে তাকে প্রস্তুত করা থেকে আমরা বিরত থাকি। সামাজিক প্রত্যাশার মানদন্ডে তাকে বিচার করা থেকে বিরত থাকি।

তাকে করুণা করা বা গঠনমূলকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য সামাজিক আঁদলে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করা থেকেও বিরত থাকি। কারণ, আমরা বুঝতে পারি জীবনের মৌলিক শক্তির দিক থেকে সে যোগ্য। তার জীবন পরিচালনা করতে সে সক্ষম। আমরা তাকে অহেতুক অন্যদের উপহাস থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিলাম। সে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে আমাদের এই নতুন অবস্থানকে । আমাদের কাছে সে তার কিছু কষ্টের কথা প্রকাশ করে। আমরা তা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনি। কিন্তু এ সময় কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকি। প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করে আমরা তাকে বোঝাতে চাই, আমরা তোমাকে রক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করি না। তোমার কোনো অসুবিধা নেই।

অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে খুব প্রত্যয়ী হয়ে ওঠে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে তার প্রত্যযের কথা প্রকাশ করতে শুরু করে। সে তার নিজস্ব ছাঁচে নিজস্ব গতিতে বেড়ে উঠতে শুরু করে। সামাজিক মানদন্ডের বিচারে পড়াশুনা, খেলাধুলা এবং সামাজিক দিক থেকে তার অবস্থান হয় উল্লেখযোগ্য। খুব দ্রুতই তার উন্নতি ঘটছিল। লক্ষ করলাম তথাকথিত স্বাভাবিক উন্নতির প্রক্রিয়াকে সে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। কয়েক বছরের মধ্যেই সে ছাত্রদের বিভিন্ন দলীয় কাজে নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়। একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে বাজি রেখে পুরস্কার নিয়ে আসতে শুরু করে। তার মধ্যে এমন এক আকর্ষণীয় এবং নিষ্কলুষ ব্যক্তিত্বের উদ্ভব ঘটে যা তাকে সকল পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে দ্বিধাহীনচিত্তে সংযুক্ত হতে যোগ্য করে তোলে।

আমি ও সান্দ্রা বুঝতে পারি, আমাদের সন্তানের অন্তরে তার নিজের সম্পর্কে যে সব গভীরতর অনুভূতি লুকিয়ে ছিল শনৈ শনৈ সেগুলো বহিঃপ্রকাশের যোগ্যতা সে অর্জন

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊
সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 21.271034134324516 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.