অন্য ঠিকানায়!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার চাকরির বয়স প্রায় দেড় বছর হয়ে গিয়েছে। চাকরিতে জয়েন করার প্রথম কিছুদিন আমার ভাইয়ের বাসা থেকেই যাতায়াত করেছিলাম। কিন্তু দূরত্বটা বেশি হয়ে যায়। পাশাপাশি ঐ রাস্তায় যানজট থাকত অতিরিক্ত। এইজন্যই কিছুদিনের মধ্যে আমি যেখানে চাকরি করি তার ওখানে একটা কোয়ার্টারে উঠে পড়ি। ঐটা ছিল ইন্ড্রাস্টির ভেতরে। ভেতরে হওয়াই কিছুটা সুবিধা অসুবিধা দুইটাই ছিল। প্রায় একবছরের বেশি সময় ঐ কোয়ার্টারেই আমি ছিলাম। কিন্তু আর কতদিন। বেশ কয়েকমাস ধরেই শুনছিলাম রুমটা ছাড়া লাগবে। কারণ অনেক গুলো। সেসব পরবর্তীতে সময় করে বলা যাবে। সবমিলিয়ে আমাদের ১২ জনকে রুম টা ছাড়া লাগল তবে অফিস থেকে প্রথমে আমাদের জানানো হয়েছিল আগামী ৩১ তারিখের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে।
আমরাও সেভাবেই প্রস্তুত নিচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন একেবারে সবকিছু বদলে গেল। হঠাৎ ২৭ তারিখ অফিসে আমাদের এইচআর ডেকে পাঠায়। কথা বলতে গিয়ে দেখি অন্যরা সবাইও আছে। এইচআর যেটা বলল সেটা শোনার জন্য আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না একেবারেই। উনাকে বলা হয়েছে আজকেই যেন রুমগুলো খালি করা হয়। সহজ ভাষায় আজকেই আমাদের নেমে যেতে হবে। তখন আমাদের প্রশ্ন ছিল তাহলে আমরা কোথায় যাব?? কয়েক কিলোমিটার দূরে আমাদের কোম্পানির অরেকটা বিল্ডিং রয়েছে। ওখানে অনেকে থাকে। তখন এইচআর বলে ওখানেই আপনাদের জন্য রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন সময় দুপুর সাড়ে তিনটা। উনি বলেন এখই গিয়ে ব্যাগপএ গুছিয়ে বের হন। আমাদের শিফট করার জন্য কোম্পানির একটা গাড়ি দেওয়া হয়।
যথারীতি রুমে চলে আসি। রুমে এসে সবকিছু গোছাতে শুরু করি। প্রথমে আমার জামাকাপড় গুলো এরপর বইপএ তারপরে অন্যান্য সামগ্রী গুলো। সবমিলিয়ে ঘন্টাখানেক লাগে আমাদের সবকিছু গুছিয়ে নিতে। এরপর একে একেবারে মাএপএ গুলো নিচে নামাতে থাকে। কারণ আমি দ্বিতীয় তলায় থাকতাম। মালামাল গুলো যতটা এগিয়ে রাখা যায় আর কী। সব মালামাল নামাতে গিয়ে একপ্রকার আমার অবস্থা খারাপ। তিন চারটা ব্যাগ তার উপর আবার বেডিং। সবমিলিয়ে নিচে এসে অপেক্ষা করতে থাকলাম। কারণ গাড়ি ভরে যাওয়াই সেটা চলে গিয়েছে। আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা আসবে। তবে সেই সময়ের অপেক্ষা যেন আর শেষ হচ্ছিল না। ছয়টার পরে সেই গাড়ি আসে। গাড়িতে মালামাল তুলতে অনেক টা সময় চলে গেল।
এরপর যখন বের হলাম তখন সময় প্রায় সাড়ে ছয়টা। যদিও আমি খুব বেশিদিন এখানে নেই। আমার সাথে অন্যরা যারা ছিল তারা কেউ কেউ চার পাঁচ বছর এখানে ছিল। সবার মাঝেই একটা খারাপ লাগা কাজ করছিল। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চলে যায় আমাদের অফিসের সেই কোয়ার্টারে। ওখানে গিয়ে আবার মালামাল গাড়ি থেকে নামালাম। মালামাল তুলতে হবে চার তালায়। আমাদের রুম দিয়েছে ওখানে। সব মালামাল আবার চার তলায় তুলতে গিয়ে আমার অবস্থা খারাপ। মালামাল গুলো যখন সব তুললাম তখন সময় রাত আটটা। আবার পরের দিন অফিস আছে রুম ঠিক করতে হবে। বাকি রাতটা ঠিক কীভাবে কেটেছে সেটা আর বলতে চাই না আপনারাই বুঝে নেন। সবমিলিয়ে এক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে রাতটা এবং ঐ দিনটা কেটেছে আমার।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.