বই কিনতে এবং ঘুরতে নীলক্ষেত!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
অনেক দিন হয়ে গেছিল নীলক্ষেত যাওয়া হয় না একেবারেই। ঢাকায় নীলক্ষেত আমার পছন্দের জায়গা গুলোর মধ্যে একটা। এটার কারণ আছে বেশ কয়েকটা। তবে প্রথম এবং প্রধান কারণ বইয়ের স্বর্গরাজ্য ঐটা।অনেকদিন পরে গত শুক্রবার একটু ব্রেক পেয়েছিলাম। দূর্গাপূজার জন্য ছুটি ছিল আমাদের। ক্লাসগুলো বন্ধ ছিল। এইজন্য শুক্রবার সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠতে হয়নি। বেশ অনেক টা সময় নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। অনেক দিন পর পরিপূর্ণ ভাবে ৮ ঘন্টা ঘুমিয়েছিলাম। আগে থেকেই আমার পরিকল্পনা করা ছিল নীলক্ষেত যাওয়ার। দুপুরের পর থেকেই হালকা বৃষ্টি এবং মেঘ ছিল আকাশে। মনে হচ্ছিল এই বুঝি আকাশ ভেঙে বর্ষা নেমে এলো। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল যাবনা। কিন্তু পরবর্তীতে চলেই যায়।
৪:৩০ টার দিকে বের হয় বাসা থেকে। প্রথমে চলে যায় গুলিস্তান। গুলিস্তান থেকে একটা রিক্সা নিয়ে নীলক্ষেত বই মার্কেট। গুলিস্তান থেকে নীলক্ষেত যেতে হয় পুরোপুরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের উপর দিয়ে। যাওয়ার সময় রাস্তায় খুব একটা জ্যাম ঐভাবে ছিল না। গতদিন নীলক্ষেত যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র ড্যান ব্রাউনের বই কেনা। উনার নতুন বই দ্যা সিক্রেট অব সিক্রেট বের হয়েছে। ঐটার একটা অনুবাদ ইতিমধ্যে পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। তবে আমি অপেক্ষা করছি বাতিঘরের অনুবাদ টা। যেটা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং সালমান হক করবে। সেটা এখনও আসেনি। আবার নীলক্ষেত গেলে নিজের ইচ্ছার খেয়াল টা থাকে না। বই দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করে। যাইহোক প্রথমে কয়েকটা দোকান ঘুরে বেশ কিছু বই দেখলাম।
অনেক প্রকাশনী অনেক জনপ্রিয় সব উপন্যাস নিজেদের ইচ্ছামতো প্রিন্ট করে বের করেছে। সেগুলো দেখলাম। এরপর চলে গেলাম আমি যেখানে থেকে সাধারণত বই কিনি সেখানে। ড্যান ব্রাউনের দ্যা লস্ট সিম্বল এবং অরিজিন টা আনতে বললাম। উনি নিয়ে আসলো। এগুলো বাতিঘরের প্রিমিয়াম বই। চাইলেও বেশি ছাড় দিতে পারে না। দুইটা বই ৮০০ দিয়ে নিয়ে নেয়। এর বেশি ডিসকাউন্ট অন্তত নীলক্ষেতে কেউ দেবে বাতিঘর প্রকাশনীর বইয়ে। আমার হাতে তখনও কিছু টাকা ছিল। ভাবলাম সেটা দিয়ে অন্য একটা বই নিব। কিন্তু কোনটা নেব সেটাই ভাবছিলাম। এটার জন্য বই দেখা শুরু করলাম। আমার সামনে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরনের বই ছিল। সেগলোই সব দেখছিলাম। তখন তারাশঙ্খর বন্দ্যোপাধ্যায় এর কবি উপন্যাস টা আমার নজরে আসে। এটা অনেক দিন ধরেই আমার উইসলিস্টে ছিল।
ঐটা নিয়ে নিলাম। আমার বই কেনাকাটা ততক্ষণে শেষ। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। আমি চলে যাব ঠিক তখনই একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটে যায়। একটা অসাধারণ জিনিস আমার নজরে আসে। কিন্তু সেটা কী পরবর্তী একটা পোস্টে বলব। বই কেনা শেষ করে নীলক্ষেত থেকে রিক্সা নিলাম। কিছুটা আসার পরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ওখান থেকে জ্যাম। বেশ কিছুক্ষণ জ্যামে বসে থাকলাম। আর কী করার। যাওয়ার সময় যে সময় লেগেছিল ফিরতে প্রায় তার দ্বিগুণ সময় লাগল। ঐসময় গুলিস্তান মার্কেট পুরোটাই গরম। অসংখ্য মানুষের ভীড় অসংখ্য দোকানপাট। সবমিলিয়ে একটা বড় জনসমাগম হয়েছে। সবমিলিয়ে বিকেলটা আমার দারুণ কাটে। এখন সেমিষ্টার ফাইনাল টা দিয়েই বই গুলো শেষ করে ফেলব।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1975475566250971441?t=jas04y69kjSeHPXKWGWR6w&s=19