এক টাকার হোটেলটি আমাদের রংপুর জেলার লালবাগ বাজারের ভিতরে অবস্থিত। তিন প্রজন্ম ধরে এই এক টাকার হোটেল পরিচালনা হয়ে আসতেছে দাদা ১৯৭৫ সাল থেকে। বাবা ১৯৯০ সাল এবং ছেলে ২০২০ সাল। বর্তমান ২০২০ সাল থেকে পরিচালনা করছেন তিন প্রজন্মের ধারক বাহক মোঃ গোলাম রব্বানী।আগের তুলনায় বর্তমানে হোটেলটি অনেক প্রসারিত করা হয়েছে এবং নতুন একটা সুন্দর রুপ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন এই এক টাকার হোটেলে অনেক মানুষের ভিড় জমে। বিশেষ করে এই হোটেলটি কারমাইকেল কলেজের পাশে হওয়ায় এখানে কারমাইকেল কলেজের স্টুডেন্টদের বেশি ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও এখানে বহিরাগত অনেক মানুষের ও ভিড় জমে।

বর্তমানে যে জিনিসপত্রের উচ্চ দাম ,সে হিসেবে এই এক টাকার হোটেলে অনেক কম দামে সব কিছু পাওয়া যায়। এবং জিনিস গুলো বেশ সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার সেখানে পাওয়া যায়। রংপুর কারমাইকেল কলেজে যাঁরা পড়ে তাঁরা অনেকই মেসে থাকে। মাঝে মধ্যে মেসে খালা না আসলে বা কোন কারণে মেসে রান্না না হলে মেসের ছেলেরা সেখানে গিয়ে অল্প টাকায় ভালো খাবার খেয়ে থাকে।এ জন্যই সেখানে বেশি ছাত্রদের ভিড় হয়ে থাকে।

আমি আর আমার দুই বন্ধু মিলে কিছুদিন আগে রংপুরে গিয়েছিলাম একটা কাজের জন্য।আমি মূলত গিয়েছিলাম কারমাইকেল কলেজে। লালবাগ মোড়ে হঠাৎ করে তিন বন্ধুর দেখা হয়ে যায়।বলা বাহুল্য যে আমার ঐ বন্ধু ঢাকায় চাকরি করে ।সে কয়দিনের জন্য বাসায় এসেছে।আমি তখন ওকে বললাম যে বন্ধু তুই তো চাকরি করিশ আজকে চল এক টাকার হোটেলে গিয়ে লাঞ্চ করবো তুই কিন্তু টাকা দিবি।ও প্রথমে রাজি ছিল না পরে এক পর্যায়ে সে রাজি হয়ে যায়। এরপর আমরা ডিরেক্ট রংপুর লালবাগের ঐতিহ্যবাহী তিন প্রজন্মের এক টাকার হোটেলে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম প্রচুর ভিড় বসার মতো কোনো সিট ফাঁকা নেই। আমরা দুই তিন মিনিটের মতো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম এরপর সিট ফাঁকা হওয়ার পর আমরা সিটে গিয়ে বসলাম।এর আগেও আমি অনেক বার সেখানে গিয়ে অনেক কিছুই খেতে দেখেছি, আমার কাছে সেখানকার সব থেকে যে জিনিসটা বেশি ভালো লেগেছে চিকেন ফ্রাই।ঐ জন্য আমি বন্ধুকে বললাম যে তিন জনের জন্য তিনটা চিকেন ফ্রাই অর্ডার দেই, তাঁরা দুজনই বললো যে ঠিক আছে।

এরপর আমি আমাদের তিন জনের জন্য তিনটা চিকেন ফ্রাই আর সেখানকার একটা প্যাকেজ ও নিয়ে নিলাম। এরপর তাঁরা দুজনে খাওয়া শুরু করলো,তারই ফাঁকে আমি কয়েকটি ফটোগ্ৰাফি করে নিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। সেখান কার চিকেন ফ্রাই খেয়ে তো আমার বন্ধু গুলো সেই প্রশংসা করলো। আপনারা যাঁরা রংপুরের আশেপাশে থাকেন এখন পর্যন্ত এই এক টাকার হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেন নি, আপনারা চাইলে এখানে এসে খেয়ে দেখতে পারেন সেখানকার সব খাবার অনেক সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যায় সেখানে।

সব মিলিয়ে আমি বলতে চাই তিন বন্ধু মিলে সেখানে লাঞ্চ করেছিলাম, সেখানকার খাবার এর কথায় বলেন আর সেখানকার দোকানের কর্মচারী এবং মালিক সহ সবাই অনেক ভালো মনের মানুষ। তাঁদের ব্যবহার কথা বার্তা সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে আমার।এর আগে যদিও অনেক দিন থেকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া হয় না, এরকম খাওয়া দাওয়া হয় না।ঐ দিন তিন বন্ধু মিলে একসাথে এক জায়গায় বসে খেতে পেরে অনেক বেশি ভালো লেগেছেল আমার।বন্ধুদের সাথে সেখানে লাঞ্চ করে আরো অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।