বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মুলক পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকের শেয়ার করে ফটোগ্রাফিটি হলো একটি পেঁপে গাছের ফটোগ্রাফি। আমার আজকের শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে পেঁপে সহ ছোট্ট একটি পেঁপে গাছের ফটোগ্রাফি। আসলে এই গাছটি খুব বেশি দিনের নয়। কিছুদিন আগে একটি নার্সারি থেকে আমার এক বন্ধু এই গাছ কিনে নিয়ে এসেছিল। আর এই ছোট্ট গাছটিতেই ফুলসহ পেঁপে এসেছে। ব্যাপারটা দেখে অনেকটা অবাকই লাগলো। এত ছোট একটি গাছে কি করে ফল এসেছে। পেঁপে গাছ এক কান্ড বিশিষ্ট একটি গাছ এই গাছগুলো খুব সহজে বেড়ে ওঠে। এই গাছগুলোর জন্য বিশেষ কোনো প্রকার যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। কোন যত্ন ছাড়াই এই গাছগুলো বড় হয়ে ওঠে এবং বছরে বেশ কয়েকবার ফল দিয়ে থাকে। এই পেঁপে গাছ সাধারণত বাড়ির উঠোনে, বাগানের কোণায় এসব জায়গায় বেশি দেখা যায়। তবে এখন অনেক ছোট ছোট পেঁপে গাছেও ফল হয়, যার জন্য ছাদ বাগানেও অনেকে এই পেঁপে গাছ লাগিয়ে থাকে। আমার বন্ধু তার বাড়ির উঠোনে এই গাছ লাগিয়েছিল। এই পেঁপে গাছটি ছাদ বাগানেও অনেক সুন্দরভাবে বেড়ে উঠত। পেঁপে শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয় পেঁপেতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ‌। পেঁপেতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ সি এবং ই, পেপেইন নামক এঞ্জাইম যা হজমে সহায়তা করে এবং রয়েছে ফাইবার। পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা পেঁপে যেমন ত্বক উজ্জ্বল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তেমনি কাঁচা পেঁপে রান্না করে খেলেও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং এই পেঁপে হার্ট ও ডায়াবেটিসের জন্য অনেক বেশি উপকারী। পেঁপে গাছের যেমন কোন যত্নের প্রয়োজন পড়ে না পর্যাপ্ত জল ও রোদ পেলেই এটি ফল দিতে শুরু করে। তেমনি অতিরিক্ত জলাবদ্ধতা হলে পেঁপে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত রোদ ও আলো যুক্ত স্থানে এই গাছগুলো লাগালে অতি সহজে বৃদ্ধি পায় এবং ফল হয়। যাইহোক, আমি আমার এক বন্ধুর বাড়ি গেছিলাম কিছু মাস আগে। তার বাড়ির সামনে উঠোনে এই পেঁপে গাছ দেখে একটু আশ্চর্য হই। কারণ গাছটি অনেক ছোট ছিল আর সেই গাছেই ছোট্ট একটি পেঁপে ফল এসেছে। আমি এর আগে এত ছোট পেঁপে গাছে কখনোই এমন ফল ধরে থাকতে দেখিনি। সেদিনই প্রথম দেখেছিলাম। তাই তখন এর কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যা আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাহলে আমার শেয়ার করা আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।

🎨পোস্ট বিবরণ🎨

শ্রেণী	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্ট টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷