ধৈর্য্য!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সময় মানুষ কে সবকিছুই শিখিয়ে দেয়। কষ্ট করে বাঁচতে শিখিয়ে দেয় সবকিছু মানিয়ে নিতে শিখিয়ে দেয়। আর এই সময়ের জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়। কোন কিছুই রাতারাতি হয় না। সবকিছুর জন্য একটা পদ্ধতি আছে সিস্টেম আছে। সেটার মাধ্যমেই হয়। যদি হঠাৎ করে কিছু হয় তখন আর সেটার ব্যাখ্যা কোনভাবেই থাকে না। তখন সেটা হয়ে যায় কাকতলীয়। কথাগুলো বলার যথেষ্ট কারণ আছে। আমি নিজে বাড়ি ছেড়ে কখনও থাকিনি। আমার কলেজের চার বছর বাড়ি থেকেই কেটেছে। যদিও আমার অনেক বন্ধু মেসে থাকত। কিন্তু আমি থাকতাম না। কারণ আমি বাড়ি থেকে যাতায়াত করা যেত দ্বিতীয়ত মেসের খাবার। যেগুলো অনেক সময় খাওয়া যায় না একেবারেই। এইজন্যই আমি মেসে থাকতাম না।
আমি যখন ঢাকা আসি অনেকেরই ধারণা ছিল আমি হয়তো মানিয়ে নিতে পারব না। অথবা খাবার খেতে পারব না। সত্যি বলতে মানিয়ে নিতে আমার খুব একটা কষ্ট হয়নি। কারণ বাড়িতেও আমি একাকিত্বের সাথেই কাটাতাম। এখানে এসে অফিস টাইমের বাইরে সেই একাকিত্ব টা আরও বেশি নিকট হয়ে গেল। সুতরাং সবমিলিয়ে ভালোই চলছিল। আর খাবারের কথা যদি বলি খাওয়ার ক্ষেত্রে আমি সবসময় বেশ শৌখিন। অর্থাৎ যেমন তেমন খাবার আমি মোটেও খেতে পারি না। আমার মা আমার খাবারের দিকটা সবসময় আলাদাভাবে খেয়াল রাখত। কিন্তু ঢাকায় এসে এটা আমি সবচাইতে বেশি মানিয়ে নিয়েছি। প্রথম প্রথম কষ্ট হতো এখন সব ঠিকঠাক। আর আমাদের মেসের বাবুর্চির রান্না ভালো। কিন্তু সে ইচ্ছা করেই ভালো রান্না করে না। অনেক দিন মাছের আঁশ ঐভাবেই থাকে মাছের গায়ে হা হা।
যে আমি আগে সপ্তাহে একদিন মাছ খেতাম না। সেই আমি এখন সপ্তাহে ৪ দিন মাছ খাই। পরিবর্তন টা বুঝতে পারছেন। এগুলো হয়েছে মূলত মানিয়ে নেওয়ার জন্য। গতবছর আমার চাকরি হওয়ার বাড়ি থেকে আসার সময় আমার সবচাইতে বেশি খারাপ লাগছিল আমার সেই প্রাক্তনের জন্য। মনে হচ্ছিল ওর সাথে এখন আর প্রতি সপ্তাহে দেখা হবে না। নিয়মিত কথা হবে না। এসব ভাবতেই খারাপ লাগছিল। কিন্তু তারপরও তো যেতেই হবে। মনকে বুঝিয়ে চলে তো এসেছিলাম। কিন্তু তারপর ক্রমাগত তার সাথে আমার যোগাযোগ কমে আসে। একটা সময় গিয়ে সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঐসময় মূলত যে অভিজ্ঞতা টা আমার হয়েছে। ঐসময় আমি যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সাফার করেছি সেটা আমার জীবনের শিক্ষা হয়ে থাকবে।
ঐসময়ের যন্ত্রণার একটা ভালো দিক আছে। এখন আর ছোটখাট সমস্যা বা যন্ত্রণা আমাকে খুব একটা কষ্ট দিতে পারে না। ঐসময়ের ঐ সাফার করা টা আমি এমনভাবে শিখে গিয়েছি এখন আর কোন বাঁধাই কোন একাকিত্ব কোন ঝামেলায় আমার উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। এটা অবশ্য ভালো হয়েছে। নিজেকে এসব পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পেরে মনে হচ্ছে এক সুন্দর পথ তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপনার জীবনে যখনই সমস্যা আসে সেই সমস্যা কিন্তু একা আসে না কখনোই। সেই সমস্যা সাথে করে নিয়ে আসে সম্ভাবনা। সমস্যা এবং সম্ভাবনা যেমন খুবই নিকট শব্দ। তেমন ই কিন্তু Problem এবং possibility. সুতরাং একটা যখন আসবে আরেকটা ঠিক তার পাশেই অবস্থান করবে। আপনার কাজ শুধু সেটাকে খুজে নেওয়া।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
The leaves closely resemble sugarcane leaves
0.00 SBD,
51.97 STEEM,
51.97 SP