বেগুন দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
আমাদের এই পৃথিবী বৈচিত্র্যময়, আর এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে যেমন বহু প্রকার প্রাণী দেখা যায় তেমন বিভিন্ন ধরনের মানুষও রয়েছে। তার মধ্যে মাছ খেতে পছন্দ করে এমন অনেক মানুষ রয়েছে আবার এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা মাছ খেতে একদমই পছন্দ করে না এমনকি মাছের গন্ধ পছন্দ করে না বা সহ্য করতে পারে না। আমি সবসময় মনে করতাম যে এই পৃথিবীতে সবাই মনে হয় মাছ খেতে পছন্দ করে শুধুমাত্র নিরামিষভোজিরাই হয়তো মাছ-মাংস-ডিম এসব খায় না। কিন্তু কিছু বছর আগে আমি এ ব্যাপারে জানতে পারলাম যে পৃথিবীতে এমনও অনেক মানুষ আছে যারা নিরামিষভোজী নয়, মাংস ডিম অন্যান্য মাংসাশী খাবার খেলেও শুধুমাত্র মাছই খায় না। তবে সে ব্যাপারে তাদের নিজস্ব মতামত রয়েছে। মাছ একটি খুবই সুস্বাদু এবং ভালো খাবার যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে থাকে, আমাদের শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে থাকে। আমি মাছ খেতে বেশ পছন্দ করি, আর মাছের সাথে যেকোনো সবজি দিয়ে রান্না করলে ভীষণই সুস্বাদু খেতে হয়ে থাকে। তেমনি আজ বেগুন দিয়ে বাটা মাছ রান্না করবো যা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে চলুন শুরু করা যাক বেগুন দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি।
-:বেগুন দিয়ে বাটা মাছ রান্নার উপকরণ:-
বাটা মাছ
বেগুন
পেঁয়াজ
কাঁচা লঙ্কা
গোটা জিরে
হলুদ
লবণ
তেল
-: বেগুন দিয়ে বাটা মাছ রন্ধন পদ্ধতি:-
বেগুন দিয়ে বাটা মাছ রান্না করার জন্য প্রথমে আমি ছয় টুকরো মাছ নিয়ে নিয়েছি এবং মাছগুলোকে ভালো করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। এবার হলুদ, লবণ মাখিয়ে রেখে দিলাম। দুটি বড় আকারের বেগুন মাঝারি আকারের টুকরো করে কেটে নিলাম। একটি মাঝারি আকারের পেঁয়াজ কুচি করে নিলাম এবং সাথে পাঁচটি কাঁচালঙ্কা চিড়ে নিলাম।
কড়াইতে চার চামচ পরিমাণ তেল নিয়ে নিলাম। এবার তেল একটু গরম হতেই মাছের টুকরোগুলো রং পরিবর্তন করে ভেজে নিলাম। সব টুকরো মাছ ভাজা হয়ে গেলে অবশিষ্ট তেলে দিয়ে দিলাম গোটা জিড়ে ফোড়ন।
ফোড়ন ভাজা হয়ে গন্ধ ছেড়ে দিলেই দিয়ে দিলাম কুচি করে রাখা পেঁয়াজ। বেশ কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজটা হালকা বাদামি রং করে ভেজে নিলাম। এবার দিয়ে দিলাম বেগুনের টুকরো গুলি এবং চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা।
ভালো করে নাড়াচাড়া করে সব উপকরণ সুন্দর করে মিশিয়ে এক মিনিট ভাজা করে দিয়ে দিলাম পরিমাণমতো হলুদ এবং লবণ। হলুদ, লবণ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ঢেকে রেখে ভেজে নিলাম। ঢাকা দিয়ে ভাজার কারণে বেগুনগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেল আবার ভাজা হয়ে গেল।
বেগুনগুলো ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল। বেশ কিছুক্ষণ জাল হবার পরে জল ফুটে আসলেই দিয়ে দিলাম ভেজে রাখা মাছের টুকরো গুলি। যেহেতু বেগুন আগে থেকেই সেদ্ধ হয়ে গেছে তাই বেশি সময় লাগবে না রান্না হতে। জল ফুটে পরিমাণ মতো ঝোল হয়ে গেলে প্রস্তুত হয়ে গেল বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল। মসলা ছাড়া হালকা পাতলা এই বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
https://x.com/PussFi_FNDN/status/1969417896138064360?t=8kIGPDbEjMEZkoIYN_sxRQ&s=19
বেগুন দিয়ে বাটা মাছের দুর্দান্ত রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। বেগুন দিয়ে মাছের ঝোল করলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
এটা হল আমার পছন্দের রেসিপি। মাছ এর সাথে বেগুন যুক্ত করে রান্না করা রেসিপিটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে তবে যদি সাথে কয়েকটি আলু দেওয়া যায় তাহলে খেতে কিন্তু আরো ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। এরকম লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বাহ আপনি তো খুব মজার রেসিপি করেছেন। বেগুন দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি বানিয়েছেন। তবে মাছের সাথে বেগুন দিলে খেতে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ এত মজার রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেগুন দিয়ে বাটা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
আপনি তো দেখছি আজকে আমার খুব পছন্দের একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। এই খাবারটা আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি অনেক মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করলেন। নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল আর খেতেও খুব ভালো লেগেছিল। আমার তো আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে অনেক লোভ লেগেছে।
আমার কাছে তো এরকম রেসিপি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। দেখে তো বুঝতেই পারছি এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। সবাই একসাথে খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। এখন যদি পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম। যারা কখনো এই রেসিপিটা তৈরি করেনি তারা সহজে এটা শিখে নিতে পারবে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন এই মজার রেসিপিটা। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুন খুবই প্রিয় একটি সবজি। আর এই সবজি দিয়ে মাছের ঝোল খেতে অসাধারণ লাগে। চমৎকার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আপনি শেয়ার করেছেন আপু।
বেগুন এবং বাটা মাছ আমার খুব প্রিয়। আজকে মজার কিছু করছেন আপনি। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে যে কোন কিছু খেতে বেশ মজা লাগে। মজার বেগুন ও বাটা মাছের রেসিপি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন ধাপে ধাপে।